বিজ্ঞাপন

আরও এক ইউপি চেয়ারম্যান ও ৩ সদস্য বরখাস্ত

April 29, 2020 | 5:43 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ত্রাণ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগে আরও একজন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ও ৩ জন ইউপি সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞাপন

দুপুরে (২৯ এপ্রিল) স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত পৃথক পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এ নিয়ে মোট ৩৯ জন জনপ্রতিনিধিকে বরখাস্ত করা হলো। তাদের মধ্যে ১৬ জন ইউপি চেয়ারম্যান, ২২ জন ইউপি সদস্য এবং ১ জন জেলা পরিষদ সদস্য।

সাময়িক বরখাস্তকৃত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হলেন- কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার টৈটং ইউপি’র জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী। সাময়িক বরখাস্তকৃত ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যরা হলেন নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার চর-আড়ালিয়া ইউপি’র ৮ নং ওয়ার্ডের মোঃ বাচ্চু মিয়া, কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার নন্দলালপুর ইউপি’র ৭ নং ওয়ার্ডের মো. শরিফুল ইসলাম এবং দৌলতপুর উপজেলার দৌলতপুর ইউপি’র ৯ নং ওয়ার্ডের মো. হাবিবুর রহমান।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, কক্সবাজার জেলার টৈটং ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম চৌধুরী সরকারি ত্রাণের চাল আত্মসাতের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন এবং কক্সবাজার জেলা প্রশাসক আইনানুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছেন।

বিজ্ঞাপন

পৃথক প্রজ্ঞাপনে আরো উল্লেখ করা হয় নরসিংদী জেলার চর-আড়ালিয়া ইউপি সদস্য মো. বাচ্চু মিয়া করেনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে নিম্নআয়ের মানুষের জন্য সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়ে জেলহাজতে রয়েছেন এবং নরসিংদীর জেলা প্রশাসক আইন অনুযায়ী তাঁকে অপসারণের সুপারিশ করেছেন।

এ ছাড়া কুষ্টিয়া জেলার নন্দলালপুর ইউপি সদস্য মো. শরিফুল ইসলাম করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি ত্রাণ লুটের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন এবং দৌলতপুর ইউপি সদস্য মোঃ হাবিবুর রহমান সরকারি ত্রাণ ভুয়া মাস্টাররোলে বিতরণ দেখিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে বিধায় কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক আইন অনুযায়ী তাদের স্বীয় পদ হতে অপসারণের সুপারিশ করেছেন।

প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয়, উল্লেখিত চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ কর্তৃক সংঘটিত অপরাধ মূলক কার্যক্রমের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন নয় মর্মে সরকার মনে করে। কাজেই স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ৩৪(১) ধারা অনুযায়ী তাদের স্বীয় পদ হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

বিজ্ঞাপন

একইসময় পৃথক পৃথক কারণ দর্শানো নোটিশে কেন তাদেরকে চূড়ান্তভাবে তাদের পদ থেকে অপসারণ করা হবে না তার জবাব পত্র প্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠানোর জন্য প্রজ্ঞাপনে অনুরোধ জানানো হয়।

সারাবাংলা/এসএইচ/একে

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন