স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ভাইস-প্রেসিডেন্ট ফেডেরিকা মগরিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীকে জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার মতো অমানবিক নির্যাতন করায় মিয়ানমারের ওপর নিষেধ্বাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে ইইউ।
ব্রাসেলসে শুক্রবার সকালে ইইউর সঙ্গে বাংলাদেশের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে ইইউ ভাইস-প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে এই কথা বলেন।
ইইউ-এর ব্রাসেলস কার্যালয় থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে ইইউ ভাইস-প্রেসিডেন্ট ফেডেরিকা মগরিনি শুক্রবার বৈঠক করেন। বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু এবং বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।
ফেডেরিকা মগরিনি বৈঠকে আবুল হাসান মাহমুদ আলীকে জানান, ইউরোপীয় কাউন্সিল গত ২৬ ফেব্রুয়ারি এক বৈঠকে রোহিঙ্গা গণহত্যায় জড়িত মিয়ামনারের সেনাদের প্রতি নিষেধ্বাজ্ঞা এবং মিয়ানমারের প্রতি অস্ত্র নিষেধ্বাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওই বৈঠকে মিয়ানমারের প্রতি নেওয়া সিদ্ধান্ত অনতিবিলম্বে কার্যকর করা হচ্ছে।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ইউরোপীয় কাউন্সিলের বৈঠকে বলা হয়, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর মানরবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। রাখাইনে গণহত্যা ঘটিয়েছে দেশটির সেনারা। অত্যাচার সইতে না পেরে এবং প্রাণ বাঁচাতে সে সময় ৬ লাখ ৮০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে উদারতার পরিচয় দিয়েছে।
বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো হচ্ছে, ইউরোপীয় কাউন্সিল চায় রোহিঙ্গা নির্যাতনের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা হোক। মিয়ানমারের প্রতি ইইউ-এর যে অস্ত্র নিষেধ্বাজ্ঞা রয়েছে তা আরও বাড়ানো হোক। রাখাইনের গণহত্যার সঙ্গে মিয়ানমারের যে সকল সেনারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা হোক। পাশাপাশি ওই সকল সেনাদের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধ্বাজ্ঞা এবং বিদেশে থাকা তাদের সকল সম্পদের ওপর নিষেধ্বাজ্ঞা আরোপ করা হোক।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সরকার মিয়ানমারের এই ধরনের নিষেধ্বাজ্ঞা আরোপ করেছে।
সারাবাংলা/জেআইএল/আইজেকে