বিজ্ঞাপন

‘মন্ত্রণালয়গুলোর কাছে প্রকল্প ও অর্থবরাদ্দের চাহিদা চাওয়া হয়েছে’

April 30, 2020 | 12:54 pm

করোনাভাইরাসের প্রভাবে স্থবিবরতা চলছে সব কিছুতেই। এরই মধ্যে একদিকে চলতি অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) ফের কাঁটছাট করতে হচ্ছে। অন্যদিকে আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য এডিপি তৈরি করতে হচ্ছে। সময়েরও রয়েছে চরম সংকট। জুনে শেষ হচ্ছে চলতি এডিপি আর মে মাসের মধ্যেই তৈরি করতে হবে নতুন এডিপি। এরকম একটি পরিস্থিতিতে কি কাজ এবং কিভাবে কাজ করছে পরিকল্পনা কমিশন। এসব নিয়ে সারাবাংলার সঙ্গে এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন পরিকল্পনা সচিব মো. নূরুল আমিন। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন সারাবাংলার স্টাফ করেসপন্ডেন্ট জোসনা জামান

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা: আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের নতুন এডিপি তৈরির কাজ কত দূর?

নূরুল আমিন: কাজ চলছে। ইতোমধ্যেই এডিপি তৈরির নীতিমালা জারি করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী প্রকল্প নির্ধারণ এবং অর্থবরাদ্দের চাহিদা চাওয়া হয়েছে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর কাছে। (২৭ এপ্রিল) পর্যন্ত ৫৫টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের তথ্য আমরা পেয়েছি। বাকি গুলোও দুএকদিনের মধ্যে হাতে আসবে। তারপর মোট করে দেখা হবে তাদের চাহিদার কি অবস্থা। অর্থমন্ত্রণালয় থেকে নতুন এডিপির জন্য বরাদ্দ নির্ধারণ করা হলে সেই অর্থ এবং মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর চাহিদার মধ্যে সমন্বয় করে তৈরি করা হবে নতুন এডিপি।

সারাবাংলা: চলতি অর্থবছরের এডিপি ফের কাঁটছাট প্রসঙ্গে কিছু বলুন?

বিজ্ঞাপন

নূরুল আমিন: মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে আমরা জেনেছি করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা কাটা হবে। কিন্তু এখনো অর্থমন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত কোনো চিঠি পাইনি। তবে স্বাভাবিক কারণেই গত ১৯ মার্চে এডিপি সংশোধনের পর থেকেই করোনার কারণে প্রকল্পের কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি। ফলে খুব বেশি অর্থ ব্যয় করাও যায়নি। তাই এখন পর্যালোচনা করে দেখা হবে কোন কোন প্রকল্পের টাকা লাগবে আর কোন কোন প্রকল্পের টাকা ছাঁটতে হবে।

সারাবাংলা: করোনার কারণে আগামী অর্থবছরের এডিপিতে কি পরিবর্তন আসছে?

নূরুল আমিন: পরিবর্তনতো অবশ্যই আসছে। কেন না আগে সেক্টরভিত্তিক অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রে পরিবহন সেক্টরে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হতো। কিন্তু আগামী অর্থবছরের এডিপিতে গুরুত্বের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন এসেছে। নতুন এডিপিতে করোনার কারণে সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাচ্ছে স্বাস্থ্য সেক্টর। তার পরই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে কৃষি সেক্টরে এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ গুরুত্ব রয়েছে সামাজিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রকল্প বা কার্যক্রমে। কেন না সরকার চায় করোনার কারণে উদ্ভুদ্ধ পরিস্থিতিতে কোনো মানুষই যেনো না খেয়ে মারা না যায়। সবার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা: করোনার কারণে সম্পদের সীমাবন্ধতা আছে, সেক্ষেত্রে প্রকল্প গ্রহণে কি করবেন?

নূরুল আমিন: আমরা নতুন এডিপি তৈরির যে নীতিমালা জারি করেছিলাম সেখানেই সুস্পষ্ট করে বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছি। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় থেকে নতুন প্রকল্প গ্রহণের চেয়ে চলমান প্রকল্প সমাপ্ত করার প্রতি অধিক গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। তাছাড়া একান্ত প্রয়োজন ছাড়া নতুন প্রকল্প যাতে না নেয়া হয় সেজন্যও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সারাবাংলা: করোনার কালীন বৃহৎ এ কর্মষজ্ঞ কিভাবে পরিচালনা করছেন?

নূরুল আমিন: ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা কাজে লাগানো হচ্ছে। অনলাইনের মাধ্যমেই মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর কাছ থেকে সব ধরণের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তাছাড়া আমি নিজেও জরুরি নথিগুলো অনলাইনের মাধ্যমে স্বাক্ষর করছি। স্বাস্থ্য নিরাপত্তা বিধি মেনেই কাজ করা সম্ভব হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা: ব্যাস্থতার মধ্যেও সময় দেয়ায় আপনাকে ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

নূরুল আমিন: সারাবাংলাকেও ধন্যবাদ। আপনারও নিরাপত্তার মধ্যে থেকে কাজ করবেন।

সারাবাংলা/জেজে/এমআই

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন