বিজ্ঞাপন

আক্রান্ত ছাড়ালো ৮ হাজার, মৃত্যু ১৭০

May 1, 2020 | 2:35 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দেশে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্তের সংখ্যা আট হাজার পেরিয়েছে। সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৭১ জন, যা আগের দিনের তুলনায় ৭ জন বেশি। এতে করে দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হলো আট হাজার ২৩১ জন। একই সময়ে এই ভাইরাসে আক্রান্ত আরও দুই জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৭০ জনে।

বিজ্ঞাপন

শক্রবার (১ মে) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নিয়মিত বুলেটিনে সংস্থাটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য তুলে ধরেন। তিনি জানান, ২৪ ঘণ্টায় নতুন ১৪ জনসহ এ করোনায় আক্রান্ত ১৭৪ জন সুস্থ হয়েছেন দেশে।

অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, সেন্ট্রাল পুলিশ হাসপাতাল, নিপসম ও স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের তিনটি ল্যাব করোনাভাইরাস পরীক্ষায় যুক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট ৩১টি ল্যাবে কোভিড-১৯ শনাক্তের নমুনা পরীক্ষা চলছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই ৩১টি ল্যাবে ৫ হাজার ৯৫৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে পরীক্ষা করা হয়েছে ৫ হাজার ৫৭৩টি।

তিনি বলেন, ৩১টি ল্যাবের ৫ হাজার ৫৭৩টি নমুনা পরীক্ষার ফলে দেখা গেছে, নতুন করে ৫৭১ জনের শরীরে কোভিড-১৯-এর উপস্থিতি রয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৮ হাজার ২৩১ জনে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৭০ জন। মৃতদের মধ্যে একজন পুরুষ, একজন নারী। একজন ঢাকার, একজন ঢাকার বাইরের। একজনের বয়স ৫১ থেকে ৬০, একজন ষাটোর্ধ্ব।

বিজ্ঞাপন

গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ জন সুস্থ হয়েছেন জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এই কর্মকর্তা বলেন, এ নিয়ে হাসপাতাল থেকে মোট ১৭৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ডা. নাসিমা জানান, এর বাইরে প্রায় আটশ মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাসের আর কোনো লক্ষণ বা উপসর্গ নেই। তবে তাদের এখনো পরীক্ষা হয়নি।

কোভিড-১৯ রোগীদের প্রতি স্বাভাবিক আচরণের আহ্বান জানিয়ে ডা. নাসিমা বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া কোনো অপরাধ নয়। যারা আক্রান্ত হচ্ছেন, তারা আর দশজন সাধারণ রোগীর মতোই একটি রোগে আক্রান্ত। তাদের প্রতি স্বাভাবিক আচরণ করতে হবে। কিন্তু আমরা অনেক জায়গা থেকেই খবর পাচ্ছি, কোভিড-১৯ আক্রান্তদের সঙ্গে সঠিক আচরণ করা হচ্ছে না। এই প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

তিনি আরও বলেন, এই ভাইরাস এখন কমিউনিটি ট্রান্সমিশন পর্যায়ে আছে। অর্থাৎ সমাজের যেকোনো ব্যক্তি সচেতন না থাকলে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন। আজকে যিনি আক্রান্ত নন, কাল যে তিনি আক্রান্ত হবেন না, এই গ্যারান্টি কেউ দিতে পারবে না।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসবি/টিআর

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন