বিজ্ঞাপন

নিষেধাজ্ঞার কারণে সিটি ছাড়তে পারেন ডি ব্রুইন

May 3, 2020 | 6:46 pm

স্পোর্টস ডেস্ক

ম্যানচেস্টার সিটির ২৮ বছর বয়সী বেলজিয়ান মিড ফিল্ডার কয়েক মৌসুম ধরেই দুর্দান্ত সময় কাটাচ্ছেন। এর মধ্যে টানা দুই মৌসুম ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে জিতেছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ। এছাড়াও বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা মিড ফিল্ডারের তকমাও নিজের করে রেখেছেন কেভিন ডি ব্রুইন। এবার অবশ্য ভিন্ন কথা শোনা যাচ্ছে এই বেলজিয়ানকে ঘিরে। উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে দুই মৌসুমের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছে সিটিজেনরা। আর শোনা যাচ্ছে নিষেধাজ্ঞা না উঠলে ক্লাব ছাড়তে পারেন ডি ব্রুইন।

বিজ্ঞাপন

সিটিজেনদের সঙ্গে ২০২৩ সাল পর্যন্ত চুক্তি রয়েছে ডি ব্রুইনের। তবে বিশ্বের বড় বড় ক্লাবগুলোও তাকিয়ে আছে ডি ব্রুইনের দিকে। বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলারকে নিজেদের দলে পেতে মরিয়া পিএসজি থেকে শুরু করে ইউরোপের বড় বড় ক্লাবগুলো।

এ ব্যাপারে ডি ব্রুইন বলেন, ‘আমি এখন কেবল অপেক্ষা করছি। সিটি আপিল করেছে, আর তারা মনে করছে তারা শতভাগ সঠিক। আমি তাই অপেক্ষা করছি শেষ পর্যন্ত কি সিদ্ধান্ত আসে তার জন্য। আমি আমার ক্লাবকে বিশ্বাস করি। কিন্তু যখন নিষেধাজ্ঞার ব্যাপার পুরোপুরি সিদ্ধান্ত জানা যাবে তখন আমিও আমার সিদ্ধান্ত নেব’

তিনি আরো যোগ করেন, ‘দুই বছর আসলে অনেক সময়। এক বছর হলেও আমি সেটা আলাদা ভাবে দেখতাম। কিন্তু আমি সিটিতে বেশ খুশী আছি। আমি বিশ্বের সেরা একটি দলে খেলি, আমি ইংল্যান্ডে খেলি যেটা বিশ্বের অন্যতম সেরা একটি লিগ। আমি সত্যিই এটা পছন্দ করি। আমি আমার চ্যালেঞ্জ চালিয়ে যেতে চাই। তবে সেই সঙ্গে আমার নিজের ব্যাপারটাও দেখতে চাই। যা হবে সেটা দেখা যাবে।’

বিজ্ঞাপন

কেবল খেলোয়াড়দের ম্যানচেস্টার সিটি ছাড়ার গুঞ্জন উঠেছে তা নয়, সেই সঙ্গে গুঞ্জন উঠেছে সিটিজেন কোচ পেপ গার্দিওলার ক্লাব ছাড়ারও। এ ব্যাপারে ডি ব্রুইন বলেন, ‘আমার মনে হয় পেপ তার চুক্তি অনুযায়ী সিটিতেই থাকবে। তবে চুক্তি শেষ করে চলে গেলেও আমি এখানে থাকতে চাই। আমি আগেও অন্যান্য কোচের সঙ্গে কাজ করেছি, নতুন কোচ আসলে তার সঙ্গেও কাজ করব। পেপ ম্যানচেস্টার সিটি ছাড়লেও অন্য কোচের সঙ্গে আমি কাজ করব।’

গত মার্চ মাস থেকে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগসহ সকল ইউরোপিয়ান ফুটবল টুর্নামেন্ট স্থগিত রয়েছে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় আবারো ফুটবল্মাঠে ফেরানোর আলোচনা চলছে। এব্যাপারে ডি ব্রুইন বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে আগামি দুই সপ্তাহের মধ্যেই আমরা আবারো অনুশীলনে ফিরতে পারবো। সরকার যতদ্রুত সম্ভব ফুটবল মাঠে ফেরানোর চিন্তা করছে বলেই আমার মনে হচ্ছে। আমরা যখন খেলা শুরু করব তখন সবাইকে পরীক্ষা করা হবে। আমার মনে হচ্ছে খেলোয়াড়রা নিজেদের জন্য নয়, পরিবারের জন্য বেশি ভয় পাচ্ছে।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএস

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন