বিজ্ঞাপন

মাহমুদুল্লাহর মহত্ত্ব বোঝালেন দুই ‘অধিনায়ক’

May 5, 2020 | 2:27 am

স্পোর্টস ডেস্ক

মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক ২০০৭ সালের জুলাইয়ে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কলম্বোতে। সে হিসেবে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে আন্তর্জতিক পর্যায়ে খেলছেন ডানহাতি অলরাউন্ডার। তবে কাছাকাছি সময়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু করা সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল বা মুশফিকুর রহিমের চেয়ে পরিসংখ্যানের দিক দিয়ে অনেকটাই পিছিয়ে মাহমুদুল্লাহ। বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্ত্তজা ও বর্তমান অধিনায়ক তামিম ইকবাল বলছেন, পরিসংখ্যানে পিছিয়ে থাকলেও রিয়াদ দলের জন্য দিনের পর দিন যা করে যাচ্ছেন তা অমূল্য।

বিজ্ঞাপন

পূর্বঘোষণা অনুযায়ী সোমবার (৪ মে) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের লাইভ আড্ডায় যুক্ত হয়েছিলেন মাশরাফি আর তামিম। বিভিন্ন আলোচনার মাঝে উঠে আসে মাহমুদুল্লাহর প্রসঙ্গ।

দলে বিকল্প হার্ড হিটার ব্যাটসম্যান নেই যিনি ছয়-সাত নম্বরে নেমে দ্রুত গতিতে রান তুলতে পারবেন। ফলে দলের স্বার্থে অভিজ্ঞ মাহমুদুল্লাহকে মিডল অর্ডার থেকে নিচের দিকে নামিয়ে ব্যাটিং করানো হচ্ছে। এর ফলে ইনিংস বড় করার সুযোগ পান না তিনি। তবে শেষ দিকে ছোট বা মাঝারি যে ইনিংসটা খেলেন সেটাই অনেক সময় জয়-পরাজয়ের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দেয়। তবুও মূল্যায়ন পান কই? মাহমুদুল্লাহকে নিয়ে মাশরাফি, তামিমের আক্ষেপটা এই জায়গাতেই।

মাশরাফি বলেন, ‘আমার অনেক সময় মনে হয় রিয়াদ ভিভিএস লক্ষণের (ভারতের সাবেক কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান) মতো। প্রয়োজন নেই রান করছে না। কিন্তু দলের যখন প্রয়োজন তখন সে আছে। আমি মনে করি রিয়াদ যদি চার-পাঁচ নম্বরে ব্যাটিং করার সুযোগ পেত তাহলে ওর পরিসংখ্যান অন্যরকম হতে পারতো। দলের ভালো জন্য ওকে আমাদের ছয় নম্বরে ব্যাটিং করাতে হয়। আর এই কারণে সে তার ক্যারিয়ারের অনেক রান নষ্ট করেছে। আমাদের শেষ দিকে তেমন ব্যাটসম্যান নেই বলে তাকে এটা করতে হচ্ছে এবং সে হাসিমুখে সেটা মেনেও নিয়েছে। ওর জন্য আমার আসলে খারাপ লাগে। ওর নামের পাশে সাত-আট হাজার রান থাকতে পারত। সে শুধুই দলের জন্য খেলে। তারপরও যখন সে ব্যর্থ হয় তখন ঠিকই সমালোচনা শুনতে হয়। তবে আমি মনে করি সে বাংলাদেশ দলের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছ এবং করে।’

বিজ্ঞাপন

তামিম বোঝাতে চেয়েছেন শেষ দিকে খেলা মাহমুদুল্লাহর ছোট ইনিংসগুলো কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, ‘আমরা (টপ অর্ডারে যারা) হয়তো ৭০-৮০ করি মানুষ বাহ্বা দেয়। রিয়াদ ভাই ২৫-৩০ রানের ইনিংসগুলো খেলেন তার জন্য তিনি হয়তো ততোটা বাহ্বা পান না তবে আমি মনে করি তার এই ছোট ইনিংসগুলোই পার্থক্য গড়ে দেয়। বড় ভূমিকা রাখে। ওই ২৫-৩০ রানই ম্যাচ জেতায়।’

সারাবাংলা/এসএইচএস/এসএস

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন