বিজ্ঞাপন

চাল আত্মসাতে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান সাইফুলের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ

May 5, 2020 | 3:51 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ত্রাণের চাল আত্মসাতের অভিযোগে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে দ্রুত মামলা ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (৫ মে) ইউনিয়নের ২৬ জন নাগরিকের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান এ নোটিশ পাঠান।

নোটিশটি স্বরাষ্ট্র সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক ও শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর পাঠানো হয়েছে।

পরে আইনজীবী ইশরাত হাসান জানিয়েছেন, অবিলম্বে ত্রাণের চাল আত্মসাৎকারী চেয়ার‌ম্যানের বিরুদ্ধে মামলা ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে হাইকোর্টে রিট করা হবে।

বিজ্ঞাপন

নোটিশে বলা হয়েছে, সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার যমুনা নদীর ভাঙনে শিকার কৈজুরী ইউনিয়নের অধিকাংশ মানুষ দরিদ্র ও ভূমিহীন। করোনাভাইরাসের সংক্রামণ থেকে বাঁচাতে একমাস ধরে এই ইউনিয়নে সরকার ঘোষিত লকডাউন চলমান রয়েছে। ফলে ইউনিয়েনের খেটে খাওয়া মানুষগুলো কর্মহীন হয়ে পড়েছে। কর্মহীন ও অসহায় মানুষদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ত্রাণের চাল আত্মসাৎ করেছে এই চেয়ারম্যানের মো. সাইফুল ইসলাম। এ ঘটনায় ত্রাণ বঞ্চিত হাজারও অসহায় মানুষ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নেয়। ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম ও সাধারণ জনগণের বিক্ষোভের খবর পেয়ে গত ১৫ এপ্রিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামসুজ্জোহা ঘটনাস্থলে আসলে সাধারণ জনগণ ত্রাণের চাল আত্মসাৎ ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তাকে অবহিত করেন। কৈজুরী ইউনিয়নে ত্রাণ সংক্রান্ত অনিয়মের ঘটনা ওই দিন থেকে দেশের জাতীয় বিভিন্ন ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচার হয়।

ত্রাণের আত্মসাতের চলমান অভিযোগের মধ্যেই চেয়ারম্যানের নিজস্ব লোক বলে পরিচিত ও ১০ টাকার চালের ডিলার আলাউদ্দিনের কাছ থেকে ত্রাণের ২০ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়। ইউএনও ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তা জব্দ করে ডিলার আলাউদ্দিনকে আটক করে নিয়ে যায় এবং শুধু ডিলারের বিরদ্ধে মামলা করা হয়। এর পর গত ২৭ এপ্রিল ১২০ বস্তা চাল জব্দ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

উল্লেখিত ঘটনা সমূহ বিভিন্ন প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার করা হয়। এরপরও দুর্নীতিবাজ ত্রাণ আত্মসাৎকারী চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রশাসন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করে বরং উক্ত চেয়ারম্যানকেই প্রধান করে ত্রাণ বিতরণের জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

ত্রাণের চাল চুরির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতি থাকলেও চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম প্রভাবশালী হওয়ায় তাকে এখন পর্যন্ত আইনের আওতায় আনা হয়নি বরং চেয়ারম্যান এখন পর্যন্ত দাপটের সঙ্গে ত্রাণ কার্যক্রমে অনিয়ম করে যাচ্ছে। এছাড়া এবং তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া জনগণের বাড়ি ভাংচুরসহ হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছে। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি।

এমনকি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দায়ের করা হলেও কোনো অজ্ঞাত কারণে উক্ত এজাহার এখনো মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়নি। এজাহার মামলা হিসেবে রেকর্ড না করে নাগরিকদের আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।

এছাড়া গত ২৯ এপ্রিল ত্রাণ আত্মসাৎকারী চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত আবেদন দেওয়া হয়েছে। গত ৩ মে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে ত্রাণ আত্মসাতকারী চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আবেদন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

নোটিশে দ্রুত ত্রাণ আত্মসাৎকারী চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেডকে/এমআই

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন