বিজ্ঞাপন

সবাই রেডি, শুরু হচ্ছে ‘ঘরে বসে আয়নাবাজি’

May 6, 2020 | 6:40 pm

এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক

ঢাকা: আয়নাবাজিখ্যাত নির্মাতা অমিতাভ রেজা এখন নিজের ঘরে। আয়নাবাজির অন্যতম চরিত্র আয়না, হৃদি আর সাংবাদিক সাবেরও নিজ নিজ ঘরে। এর মধ্যে অমিতাভ রেজা সবাইকে ভিডিও কনফারেন্সে পজিসন নিতে বলছেন। একে একে সবাই রেডি হয়ে গেলেন আর সেই সঙ্গে শুরু হতে যাচ্ছে, ‘ঘরে বসে আয়নাবাজি।’

বিজ্ঞাপন

‘ঘরে থেকে আয়নাবাজির’ টিজার দেখতে এখানে ক্লিক করুন : টিজার

ইতোমধ্যেই প্রচারিত হয়েছে ‘ঘরে বসে আয়নাবাজির’ টিজার। যেখানে দেখা যায়, অমিতাভ ভিডিও কনফারেন্সেই নির্দেশনা দিচ্ছেন। ক্যামেরা ঠিক করতে বলছেন আয়না চরিত্রের অভিনেতা চঞ্চলকে। ঘরে বসে কেন এত মেক-আপ নিয়েছে জানতে চাইছেন, হৃদি চরিত্রে অভিনেত্রী নাবিলার কাছে। একে একে সবাই জানায় তাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন অভিনয়ের জন্য, এবার রেডি।

করোনা ভাইরাসের সংকটকালীন সময়ে রহস্যঘেরা সচেতনতামূলক গল্প নিয়েই দর্শকদের সামনে আবারও ফিরে এসেছে আয়নাবাজি। যেখানে অভিনেতা, নির্মাতা এবং সকল কলাকুশলীরাই কাজ করেছেন ঘরে বসেই। নতুন আঙ্গিকে ওয়েব সিরিজ হয়ে আয়নাবাজি ফিরে এসেছে মানুষকে জাগাতে আর কোভিড-১৯ সর্ম্পকে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থ্যা ‘ব্র্যাক’ ও অস্ট্রেলিয়ান এইডের সহযোগিতায় শুরু হতে যাচ্ছে সিরিজ, ‘ঘরে বসে আয়নাবাজি’।

বিজ্ঞাপন

কোভিড-১৯, করোনা ভাইরাসে জর্জরিত মানুষের দৈনন্দিন জীবন। সকলে নিজেদের জায়গা থেকে চেষ্টা করছে এই মহামারী করোনাভাইরাসকে প্রতিরোধের। আর এই প্রতিরোধকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে এবং সচেতনতা বৃদ্ধি করতে এবার আয়নাবাজির তারকারা আসলেন, ‘ব্র্যাক-আয়নাবাজি কোভিড-১৯ সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন’এ।

নাসিফ ফারুক আমিনের গল্পে প্রথম সিরিজের তিনটি পর্বে উঠে এসেছে করোনাকালীন সময়ে আয়নাবাজির চরিত্রগুলোর জীবনযাপন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এবং সুরক্ষা বজায় রাখতে করণীয় সর্ম্পকে সচেতনতা তৈরি করাই এই ক্যাম্পেইনের উদ্দেশ্য।

ব্রাক ‘আয়নাবাজি’ কোভিড-১৯ সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন সিরিজের নির্মাতা অমিতাভ রেজা বলেন, ‘আয়নাবাজি মানুষের মনে গেঁথে রয়েছে। সেই চরিত্রগুলো যেন এবার মানুষকে সচেতন করতে পারে, সেটাই লক্ষ্য। আর করোনাভাইরাসে সঙ্গে যে লুকোচুরি করা যায় না, বরং সচেতন হতে হবে সেই তথ্যটি আমরা প্রদান করার চেষ্টা করেছি। একই সঙ্গে নিরাপদ থাকতে করনীয়গুলোও উঠে এসেছে এই সিরিজে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘নন্দিত চলচ্চিত্র আয়নাবাজির গল্পের ধরণ ও প্রতিটা চরিত্রই দর্শক সমাদৃত। এই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় ইতোপূর্বে ঈদে দেশে প্রথমবারের মতো আয়নাবাজি অরজিনাল সিরিজ বানানো হয়েছিল। এবারে কোরোনা মহামারিকালের ভিন্ন প্রেক্ষাপটে সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে সচেতনটামূলক সিরিজগুলি ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।’

‘ঘরে বসে আয়নাবাজির প্রযোজক জিয়াউদ্দিন আদিল বলেন, ‘সংস্কৃতির একটা দায়বদ্ধতা থাকে। করোনার এই সংকট সময়ে আয়নাবাজি চলচ্চিত্রের দলটি সচেতনতা তৈরির একটা দায়বদ্ধতা অনুভব করেছে, সেখান থেকেই ‘ঘরে বসে আয়নাবাজি’ নির্মানের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ব্র্যাক এবং অস্ট্রেলিয়ান এইডকে ধন্যবাদ এমন সচেতনতামূলক সৃষ্টিশীল প্রোগ্রামের সহযোগিতায় এগিয়ে আসার জন্য। এটা শুধু আয়নাবাজির ফিরে আসাই নয়, শুধু ঘর থেকেই যে ওয়েব সিরিজ বানিয়ে ফেলা যায়, তারও কিন্তু একটা দৃষ্টান্ত স্থাপিত হতে যাচ্ছে।’

ব্র্যাকের পরিচালক (কমিউনিকেশন অ্যান্ড আউটরিচ) মৌটুসি কবির বলেন, ‘করোনাভাইরাস মহামারির যে সংকটের মধ্য দিয়ে আমরা যাচ্ছি, সেখানে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি। সকলের মাঝে সুরক্ষা আর করণীয় সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য আয়নাবাজির দর্শকপ্রিয় চরিত্রগুলোর মাধ্যমে আরও সহজ আর পরিচিত উপায়ে জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্যই আমাদের এই উদ্যোগ।’

‘ঘরে বসে আয়নাবাজি’ সিরিজে প্রতিটি পর্বের দৈর্ঘ্য সাত থেকে আট মিনিট। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আয়না কিভাবে প্রতিকূলতাকে জয় করে আর সেখানে প্রতিবেশি এবং নিকটজনরা কিভাবে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে সেটাই এই সিরিজে প্রকাশিত হয়েছে। এখানেও আয়না চরিত্রে চঞ্চল চৌধুরীর রহস্যময় অভিনয় মানুষকে মুগ্ধ করবে বলে আশা নির্মাতাদের।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এমআই

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন