বিজ্ঞাপন

‘চলতি মৌসুমে বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে, খাদ্যের অভাব হবে না’

May 9, 2020 | 6:04 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, চলতি মৌসুমে সারাদেশে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে করে খাদ্যের কোনো অভাব হবে না। সঠিক সময়ে নতুন ফসল ঘরে তুলতে পারলে বরং খাদ্য উদ্বৃত্ত থাকবে।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (৯ মে) দুপুরে মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবন থেকে নওগাঁ জেলার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী। ভিডিও কনফারেন্সে জেলার করোনা মোকাবিলা পরিস্থিতি, চলতি বোরো ধান কাটা-মাড়াই, সরকারিভাবে ধান চাল সংগ্রহ, আম উৎপাদন ও বাজার ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

খাদ্যমন্ত্রী সাধনচন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘আশা করা যাচ্ছে, চলতি বোরো মৌসুমে প্রায় ৩ কোটি ৫০ লাখ মেট্রিক টন চাল উৎপাদিত হবে (বোরো এবং আমন)। এছাড়া প্রায় ২০ থেকে ২৫ লাখ মেট্রিক টন আউশ ধান উৎপাদিত হবে। এই উৎপাদন দিয়ে দেশের চাহিদা পূরণ করেও উদ্বৃত্ত থাকবে। তাই প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশে সরকারিভাবে অন্য যেকোনো বছরের তুলনায় এবার বেশি ধান চাল সংগ্রহ করা হচ্ছে, যা করোনা দুর্যোগ মোকাবিলায় বড় সহায়ক হবে।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশে ধান ও চাল সংগ্রহ শুরু হয়েছে। খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা করোনা মোকাবিলা করে এই সংগ্রহ কার্যক্রম চালাচ্ছেন। শস্য সংগ্রহে যাতে কোনো অনিয়ম না হয় সেজন্য খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখতে হবে।’ এছাড়া সংগ্রহ কার্যক্রমে সকলকে সহযোগিতা ও করোনা মোকাবিলায় সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপদ দূরত্ব মেনে চলার আহবান জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘লটারির মাধ্যমে প্রকৃত কৃষকদের মধ্যে থেকে কৃষক নির্বাচন করা হবে। যদি কোনো কৃষক তার টিকিট মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছে বিক্রি করে তাহলে সেই কৃষকের কার্ড বাতিল হয়ে যাবে। এছাড়া মধ্যস্বত্বভোগীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘দেশের মানুষের জীবন ও জীবিকা নিশ্চিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আগে থেকেই সারাদেশে ৫০ লাখ পরিবারকে (বছরে পাঁচ মাস) প্রতি মাসে ৩০ কেজি (১০ টাকা কেজি) বিতরণ করা হচ্ছে। করোনাকালীন কর্মহীন দরিদ্র মানুষের কথা চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আরও ৫০ লাখ পরিবারেকে এর আওতায় আনা হবে।’

তিনি বলেন, ‘যদি কেউ সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখে তবে তাকে অবশ্যই সরকারি নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে। গ্রাহকদের প্রবেশের সময় হ্যান্ড গ্লাভস ও মুখে মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং প্রবেশপথে হাত ধোয়ার জন্য সাবান এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে।

বিজ্ঞাপন

ভিডিও কনফারেন্সে নওগাঁ-৪ আসনের এমপি ইমাজ উদ্দিন প্রামানিক, নওগাঁ-৩ আসনের এমপি সলিম উদ্দিন তরফদার, নওগাঁ-৫ আসনের এমপি ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন, পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান, জেলা সিভিল সার্জন আখতারুজ্জামানসহ সেনা, বিজিবি, খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীরা বক্তব্য দেন। এছাড়া জেলার ১১টি উপজেলার উপজেলা চেয়ারম্যান, নির্বাহী অফিসার, ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা অংশ নিয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন।

সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন