বিজ্ঞাপন

রাসায়নিকে পাকানো ৪০ টন আম ও ৪ টন মেয়াদোত্তীর্ণ খেজুর জব্দ

May 10, 2020 | 8:42 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বাইরে থেকে দেখলে টসটসে হলুদ রঙের হলেও ভেতরের আঁটি কিন্তু শক্তই হয়নি। অথচ কাঁচা আম কেমিক্যাল দিয়ে পাকিয়ে বাজারে বিক্রি করছে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। আর এদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে রাসায়নিকে পাকানো ৪০ টন আম ও ৪ টন মেয়াদোত্তীর্ণ খেজুর জব্দ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১০ মে) রাসায়নিক পাকানো আম বিক্রি ও মেয়াদোত্তীর্ণ খেজুর ফের প্যাকেটজাত করে বিক্রির খবর পেয়ে রাজধানীর বাদামতলীতে অভিযান চালায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) ভ্রাম্যমাণ আদালত। এদিন দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে অভিযান। অভিযানে নেতৃত্ব দেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।

আরও পড়ুন: আমের বাইরে পাকা ভেতরে কাঁচা, আড়তে র‌্যাবের অভিযান

তিনি বলেন, ‘অভিযানে বাদামতলীর ১২টি আড়ত থেকে মোট ৪০ টন রাসায়নিকে পাকানো আম ও মেয়াদোত্তীর্ণ ৪ টন পচা খেজুর জব্দ করা হয়। এজন্য কয়েকটি আড়তকে ৪১ লাখ টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া তিনজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং চারটি আড়ত সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

সারওয়ার আলম জানান, আমের ভর মৌসুম শুরুর আগেই অসাদু ব্যবসায়ীরা বেশি লাভের আশায় রাসায়নিক আম পাকিয়ে তা বিক্রি শুরু করেছে। সঙ্গে মেয়াদোত্তীর্ণ খেজুরও। যে আমগুলো বিক্রি করা হচ্ছিল সেগুলো বাজারে আসতে আরও ১০ থেকে ১৫ দিন অপেক্ষা করতে হতো।

তিনি জানান, অসাদু ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফার আশায় অপরিপক্ক আম কেমিক্যাল দিয়ে পাকিয়ে বিক্রি করছে। বাহিরটা দেখতে হলুদ টসটসে, কিন্তু ভেতরে একদম অপরিপক্ক। এসব রাসায়নিকে পাকানো আম। যা খেলে মানুষের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি তৈরি হবে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইউজে/পিটিএম

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন