বিজ্ঞাপন

মালিক, সরকার— শ্রমিক ছাঁটাইয়ের সঠিক তথ্য নেই কারও কাছেই

May 10, 2020 | 10:32 pm

এমদাদুল হক তুহিন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে দেশের পোশাক কারখানায় কত শ্রমিক ছাঁটাইয়ের শিকার হয়েছেন, তার সঠিক সংখ্যা নেই সরকারের কাছে। বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন ও মালিক পক্ষ থেকেও পাওয়া গেছে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য। কোনো কোনো শ্রমিক সংগঠনের দাবি, এরই মধ্যে ৩০ থেকে ৪০ হাজার শ্রমিক ছাঁটাই হয়েছে। কেউ বলছেন, এই সংখ্যা ১০ থেকে ২০ হাজার। সব তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করলে সংখ্যাটি ৩০ হাজারের কম হবে না বলেও ইঙ্গিত দিয়েছে আরেক শ্রমিক সংগঠন।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, পোশাক কারখানার মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র তথ্যমতে, গত এক মাসে ১৫ হাজারের বেশি শ্রমিক ছাঁটাই হয়েছে। পোশাক কারখানার মালিকদের আরেক সংগঠন বিকেএমএই বলছে, তাদের একটি কারখানায় ৫০০ শ্রমিক ছাঁটাই হলেও পরে তাদের পুনঃনিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় ছাঁটাইয়ের সঠিক সংখ্যা জানতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের অপেক্ষায় রয়েছে সরকার।

জানতে চাইলে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান সারাবাংলাকে বলেন, মহামারি করেনাভাইরাসের সময়েও বিভিন্ন কারখানায় শ্রমিক ছাঁটাই হয়েছে। এটি খুবই বেদনাদায়ক। আমরা বলেছি, এই সময়ে কোনো শ্রমিককে ছাঁটাই করা যাবে না। যেসব কারখানায় ছাঁটাই হয়েছে, তার তালিকা তৈরি করছে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর। গোয়েন্দা সংস্থাংও এ ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করছে। আমরা এই দু’টি রিপোর্ট পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে পারব।

এক প্রশ্নের উত্তর প্রতিমন্ত্রী বলন, ছাঁটাই হওয়া শ্রমিকের সংখ্যা সম্পর্কে এখনো সঠিক তথ্য নেই। কলকারখানা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর থেকে সম্প্রতি জানানো, হয়েছে ৩৬০টি কারখানায় ১ হাজার ২৭৫ জন শ্রমিক ছাঁটাই হয়েছে। সংখ্যাটি এমন বলেছে। আবার শ্রমিক সংগঠনগুলো ৩০ থেকে ৪০ হাজারের যে সংখ্যাটি বলছে তাও বিশ্বাসযোগ্য নয়। কারণ যখন আমি শ্রমিক নেতা ছিলাম, তখন একজন ছাঁটাই হলে আমরাও ৫ জনের কথা বলেছি। অর্থাৎ শ্রমিক সংগঠনগুলো বাড়িয়ে বলে। আবার মালিকপক্ষও সঠিক তথ্য প্রকাশ করে না। তারা যে ১০ হাজার বলছে, সেটিও সঠিক কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। এজন্য আমরা গোয়েন্দা সংস্থা এবং কলকারখানা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছি। পরে ওইসব কারখানা মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, শ্রমিকদের ৪০ শতাংশ মজুরি কেটে নেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার, কারখানা লে-অফ, ছাঁটাই, বরখাস্ত, জোরপূর্বক ইস্তফা নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবিতে গত ৩ মে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রীর কাছে একটি স্মারকলিপি দিয়েছে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র। সেই স্মারক লিপিতে ৬২টি কারখানায় প্রায় ২৫ হাজার শ্রমিক ছাঁটাই করা হয়ছে বলে জানানো হয়েছে।

জানতে চাইলে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার বৃহস্পতিবার (৭ মে) সারাবাংলাকে বলেন, ‘স্মারকলিপিতে আমরা ২৫ হাজার শ্রমিক ছাঁটাইয়ের কথা বলেছিলাম। এখন এই সংখ্যা ৪০ হাজারে দাঁড়িয়েছে’।

আর সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি নাজমা আক্তারের মতে, পোশাক কারখানায় শ্রমিক-কর্মচারী মিলেয়ে ছাঁটাইয়ের সংখ্যা দাঁড়াবে ৫০ থেকে ৬০ হাজারে। সারাবাংলাকে তিনি বলেন, ‘শুধু শ্রমিক নয়, সুপারভাইজর, লাইন ইনচার্জ, ফ্লোর ম্যানেজারসহ মিড লেভেল ম্যানেজম্যান্টের অনেকেই ছাঁটাই করা হয়েছে। শ্রমিকরা ত্রাণ চাইতে পারলেও তারা কিন্তু চাইতে পারবেন না। এমন কর্মচারীরা এখন খুবই বিপদে পড়েছেন। সব মিলিয়ে পোশাক কারখানায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী ছাঁটাই হয়েছেন।’

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম রনির মতে, সারাদেশে লে-অফসহ প্রায় ২০ হাজারের মতো শ্রমিক ছঁটাই হয়েছে। একই বিষয়ে গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরামের সভাপতি মোশরেফা মিশু সারাবাংলাকে বলেন, সারাদেশে আমাদের কর্মী রয়েছে। আমাদের তথ্যমতে পোশাক কারখানায় ছাঁটাই হওয়া শ্রমিকের সংখ্যা কোনভাবেই ২০ হাজারের কম হবে না।

আর জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল হক আমিন সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব তথ্যমতে এখন পর্যন্ত ১৬ থেকে সাড়ে ১৬ হাজার শ্রমিক ছাঁটাই হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে যেসব সংগঠন কাজ করে, সবার কাছে ৮ হাজার, ১০ হাজার, ১২ হাজার শ্রমিক ছাঁটাইয়ের তথ্য রয়েছে। আবার একই কারখানার তথ্য বিভিন্ন সংগঠনে পুনরাবৃত্তি হয়েছে। ফলে সবগুলো তথ্য যদি এক সঙ্গে কাজ করা যায় তবে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের সংখ্যা হাজার ত্রিশেকের কম হবে না।

তিনি বলেন, শ্রমিক ছাঁটাইয়ের বিরুদ্ধে আমরা প্রথম থেকেই সোচ্চার। শ্রমিক ছাঁটাই না করার জন্য বিভিন্ন স্থানে জোর দাবি জানিয়ে আসছি। প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, শ্রমিক ছাঁটাই হবে না। কিন্তু এই ভয়েস যথেষ্ট নয়। এখনো শ্রমিক ছাঁটাই চলছে। তাই আমাদের শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। কিছু অ্যাগ্রেসিভি মুভমেন্টে নামতে হবে। যারা ছাঁটাই করছেন, প্রধানমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও বিজিএমইএ’র কথা মানছে না, তাদের বিরুদ্ধে আমরা আমরা কঠোর আন্দোলনে নামতে যাচ্ছি।

ছাঁটাই বন্ধের দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম রনি বলেন, কিছু কারখানায় অর্ডার কমে গেছে সত্যি। আবার কিছু কারখানায় এখনো যে অর্ডার আছে, তা দিয়ে আরও দুই-তিন মাস চলতে পারবে। সীমিত আকারে কাজ চালিয়ে যেতে অনেকেই বাধ্য হয়ে শ্রমিক ছাঁটাই করছেন। কিন্তু করোনার এই সময়ে মানবিক কারণেই শ্রমিক ছাঁটাই করা উচিত নয়। আমরা তাদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর আন্দোলনে যাব।

বিজ্ঞাপন

শ্রমিক নেত্রী জলি তালুকদার সারাবাংলাকে বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরু থেকে ছাঁটাইয়ের ফলে শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করছে। এই সময়ে মালিকপক্ষ শ্রমিকদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করছে। কাজে যোগ না দিলে ছাঁটাই হবে— শ্রমিকদের এমন হুমকিও দেওয়া হয়েছে। শ্রমিকরা বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজে ফিরেছে। আবার ফিরে এসেও যে কাজ পেয়েছে তা নয়। অনেককেই চাকরিচুত্য করা হয়েছে। তারা গেট থেকেই ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, শ্রমিকরা কাজে যোগ দিলেও তাদের মধ্যে এখনো আতঙ্ক কাজ করছে। গার্মেন্টস কারখানায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। যারা বাধ্য হয়ে কাজে যোগ দিয়েছিল, তারাও এখন জীবনের হুমকির মুখে। শ্রমিকের সঙ্গে এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ জানিয়ে আসছি।

যেসব কারখানায় ছাঁটাই

বাংলাদেশ জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী লীগের তথ্যমতে ছাঁটাই হয়েছে এমন কিছু কারখানা হচ্ছে— বভস অ্যাপারেলস (২০০), টর্গ ফ্যাশন (৪০০), স্প্যটার্ন গার্মেন্টস (২১০), আইএফএল ফ্যক্টরি (৩০০), ব্যাবিলন ক্যাজুয়েল (১৫০০), আলটিমেট ফ্যাশন, ফেলকোন ইন্টারন্যাশনাল, ফ্যাশান ফোরাম, রোমা ফ্যাশন নিটক্সেজিট, এমবিএম গার্মেন্টস, অ্যাপারেল, এক্সপেয়ারস, জিতা গার্মেন্টস।

এছাড়াও ছাঁটাই হয়েছে লুইটেক্স ইন্ডাট্রিজ, ভিশন অ্যাপারেলস, জয়েন্ট টেক্স, স্টারলিং স্টাইল, রেডিয়্যান্স গার্মেন্টস, পলমল গ্রুপের একটি কারখানা, আয়শা ক্লোথিং, এক্সপার্টেড ড্রেসেস, ম্যারিডিয়ান ফ্যাশন, এফ এন ডি ফ্যাশন, এস টি আর এস অ্যাপারেলস, ডেবনিয়ার গার্মেন্টস, এনভয় গার্মেন্টস, এশিয়ান গার্মেন্টস, লিভাইস টেক্সটাইল, সিনহা নিট ডেনিম, রেদোয়ান গার্মেন্টসের মতো কারখানাগুলোতে।

গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের তথ্যমতে ছাঁটাই হওয়া কারখানাগুলো হলো— অরিয়ন এল্যিউর নিটওয়্যার, ডেনিস নিটওয়্যার (১০০০ জন), ডেনিম এশিয়া লিমিটেড (১০০০), ডেকো গার্মেন্টস (১৪০), সিএ নিটওয়্যার (৭০০), এলিগ্যান্ট গার্মেন্টস (১২০), তাসমীয়া নিটওয়্যার (৫০০), কাইজার নিটওয়্যার (৫৫০),  প্যানিসিয়া সোয়েটার (৩০০),  বেস্ট সার্ট, ওয়েস্ট লাইন ফ্যাশন, ইন্টার ফ্যাব ম্যানুফ্যাকচারিং, ফ্যাটার ফ্যাশন, ইউনিগিয়াস গার্মেন্টস, পশমি সোয়েটার, আহসান কম্পোজিট (৫৪০), সালেক কম্পোজিট (৮০), ফেয়ার ওয়াশিং লি (১৫০), এপেক্স ফুটওয়্যার (৪০০) ও জন লিবার্স নিটওয়্যার লিমিটেড (১০০)। এরকম আরও ৪২টি কারখানার নাম ও নামের পাশে ছাঁটাই হওয়া শ্রমিকের সংখ্যা উল্লেখ করছে সংগঠনটি।

যা বলছে মালিকপক্ষ

জানতে চাইলে বিকেএমইএ’র প্রথম সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম সারাবাংলাকে বলেন, যারা ৩০ থেকে ৪০ হাজার শ্রমিক ছাঁটাই হওয়ার কথা বলছেন, তাদের বলব এই রিপোর্টটি আমাদের কাছে জমা দিতে। ছাঁটাই কিভাবে হয়েছে, কোন প্রেক্ষাপটে হয়েছে, তা আমরা খতিয়ে দেখব। যদিও ছাঁটাই মালিকের আইনগত অধিকার, তবে করোনার এই সময়ে আমরা আমাদের সব সদস্যকে অনুরোধ করেছি কোনো শ্রমিককে ছাঁটাই না করতে। আর তারা যে ৩০ থেকে ৪০ হাজার শ্রমিক ছাঁটাই হওয়ার কথা বলছেন, সেটি বিশ্বাসযোগ্য না হওয়ার কারণেই আমরা তালিকা দেখতে চাই।’

সংগঠনটির পরিচালক ফজলে শামীম এহসান সারাবাংলাকে বলেন, আমাদের সংগঠনের একটি সদস্য কারখানায় ৫০০ শ্রমিক ছাঁটাই হয়েছিল। পরে তাদের আবার পুনঃনিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কোনোভাবেই এর বেশি শ্রমিক ছাঁটাই হয়নি। আমাদের পক্ষ থেকে কঠোর অবস্থান নেওয়া হয়েছে। যারা সংখ্যাটি বাড়িয়ে বলছে, তারা ভুল বলছে।

জানতে চাইলে বিজিএমইএ’র পরিচালক (শ্রম) রেজওয়ান সেলিম সারাবাংলাকে বলেন, শুক্রবার পর্যন্ত ১৫ হাজার ৬৯৯ জন শ্রমিক ছাঁটাই হয়েছে। গত একমাসে তারা ছাঁটাই হয়েছেন। বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই মহামারির সময়ে কোনোভাবেই যেন শ্রমিক ছাঁটাই না করে। আমরা তাদের অনুরোধ করেছি। তবে ছাঁটাই কিন্তু মালিকেরও অধিকার। বর্তমানে কঠোর অবস্থান নেওয়ায় শ্রমিক ছাঁটাই কমে এসেছে। আর শ্রমিক সংগঠন সব সময় একটু বাড়িয়ে বাড়িয়ে বলে।

বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি সালাম মুর্শেদী সারাবাংলাকে বলেন, ৩০ থেকে ৪০ হাজার শ্রমিক ছাঁটাইয়ের অভিযোগ অবিশ্বাস্য। আমি ৬ হাজার শ্রমিক ছাঁটাইয়ের তথ্য জেনেছি। সেটিও আবার বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ’র সদস্যভুক্ত কারখানায় নয়। ছোট ছোট কারখানায় কিছু শ্রমিক ছাঁটাই হয়েছে। তবে সংখ্যাটি এত বড় নয়। আর আমরা নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এই সময়ে কোন শ্রমিককে ছাঁটাই করা হবে না। নতুন করে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের অভিযোগও সত্য নয়।

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি ও বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ’র সদস্যভুক্ত কোনো কারখানা তার কর্মীদের এখন ছাঁটাই করছে না। যারা ওই কথাগুলো বলছে, সেগুলো বানানো কথা। শ্রমিকদের উসকানি দিয়ে তারা পোশাক খাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। যদি শ্রমিক ছাঁটাই হয়ে থাকে, তবে কোন কারখানায়, কী কারণে এবং কারখানাটি কোন সংগঠনের, তা উল্লেখ করতে হবে। শ্রমিক একেবারেই ছাঁটাই হয়নি, তাও নয়। ছাঁটাই হয়েছে, কিন্তু সেটা ৩০ থেকে ৪০ হাজার— এটি কোনোভাবেই বিশ্বাসযোগ্য নয়।’

ফাইল ছবি

সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর

Tags: , , , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন