May 11, 2020 | 1:06 am
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: লৌহ খনির সঠিক অবস্থা নির্ণয়ের পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হওয়া যাবে কিনা সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের নির্দেশ দিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেছেন, এ সংক্রান্ত প্রতিটি কাজ দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করার চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
রোববার ( ১০ মে) ভূতাত্ত্বিক জরীপ অধিদফতরের বিদ্যমান প্রকল্প ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় তিনি আরও বলেন, বিস্ফোরক পরিদপ্তরের কার্যক্রম জনবান্ধব করার উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে হবে। বিস্ফোরক বা দাহ্য পদার্থ মজুদ, ব্যবহার বা পরিবহন সংক্রান্ত শিষ্টাচার অংশীজনদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। সেক্ষেত্রে পরিদফতর ও অংশীজনদেরে যৌথ উদ্যোগে সাধারণ জনগণ ও ব্যবহারকারীদের সচেতন করতে নিয়মিত আলোচনা সভা, সেমিনার,সিম্পোজিয়াম, টক শো আয়োজন করা যেতে পারে।
রাজধানীর বারিধারায় তার বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পর্যালোচনা সভায় অংশ নেন তিনি।তিনি বলেন, উন্নত বিশ্বের সঙ্গে সমন্বয় করে বিস্ফোরক পরিদফতরকে আধুনিক করা প্রয়োজন। প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। এসময় কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন অধিক লোকবল নিয়োগ দেওয়ার উপর জোর দেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় হাইড্রোকার্বন ইউনিট –এর কার্যক্রম নিয়ে আলোচনায় বলেন, হাইড্রোকার্বন ইউনিটকে আমরা জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের পেট্টোলিয়ান ও মিনারেল খাতের থিংকট্যাংক হিসেবে দেখতে চাই। নতুন কোন বিষয় বা নতুন কোন ধারণা অথবা অপ্রচলিত জ্বালানির ব্যবহার বা ভবিষ্যৎ জ্বালানি নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি গবেষণা করবে। মানবসম্পদ উন্নয়নেও হাইড্রোকার্বন ইউনিট দায়িত্ব নিতে পারে।
ভার্চুয়াল এই সভায় অন্যান্যের মাঝে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আনিছুর রহমান, খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালক মোঃ জাফর উল্লাহ,হাইড্রোকার্বন ইউনিট –এর মহাপরিচালক এ এস এম মঞ্জুরুল কাদের, ভূতাত্ত্বিক জরীপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন ও বিস্ফোরক পরিদফতরের প্রধান বিস্ফোরক পরিদর্শক মো. মঞ্জুরুল হাফিজ উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/জেআর/আইই