বিজ্ঞাপন

সেশনজট ঠেকাতে শেকৃবির শিক্ষাকার্যক্রমে আংশিক পরবর্তন

May 11, 2020 | 4:16 am

শেকৃবি প্রতিনিধি

ঢাকা: কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে বন্ধ থাকা শিক্ষা কার্যক্রমে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাব্যবস্থায় কিছু পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। আপাতত অনলাইনে অল্পকিছু কার্যক্রম চালালেও করোনা শেষে ক্লাসের সময়সূচী, কার্যদিবস ইত্যাদিতে পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে তারা।

বিজ্ঞাপন

শেকৃবির সব শিক্ষার্থির কারিগরি সুবিধার আওতায় না থাকায় ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ কার্যক্রমের অনেকটাই প্র্যাকটিক্যালভিত্তিক হওয়ায় তাদের পক্ষে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালানো সম্ভব হচ্ছে না। এমন অবস্থায় করোনা মহামারি শেষে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচলানায় কিছু পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শেকৃবি কর্তৃপক্ষ।

মহামারি চলাকালীন শিক্ষা উপকরণ সমুহ (ক্লাস নোট) একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে প্রদান করা হবে। এছাড়াও স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি এর ক্লাসগুলোর শিক্ষা দিবস ৫ দিনের পরিবর্তে ৬ দিনই করা হবে। ৫৫ মিনিট থেকে ক্লাসের নির্ধারিত সময় ৪৫ এ ধার্য করে সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত ক্লাস পরিচালনা করা হবে।

রোববার (১০ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দীন আহাম্মদের উপস্থিতিতে ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ সেকেন্দার আলীর সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভায় সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ সেকেন্দার আলী বলেন, ‘অনলাইন ভিত্তিক ক্লাস নেয়ার ক্ষেত্রে বিবেচনা করতে হবে তা কতটুকু ফলপ্রসূ হবে। টেকনিক্যাল এডুকেশনের ক্ষেত্রে আংশিক ডিজিটালাইজেশন সম্ভব হলেও পুরোপুরি করলে তা ফলপ্রসূ হয় না। এখানে হাতে কলমে শেখার বিষয়গুলো প্রাধান্য বেশি পাওয়ায় তা একটু জটিল হয়ে পড়ে।’

সভা থেকে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি অ্যাসাইনমেন্টস, থিসিস এবং অন্যান্য সম্পর্কিত কাজগুলি এই পরিস্থিতিতে ডিজিটাল উপায় (অনলাইন) ব্যবহার করে দ্রুত সম্পাদন করার চেষ্টা করা হবে এবং চলমান থিসিস সেমিস্টার থিসিস ডিফেন্স অফিস খোলার পর পরিচালনা করা হবে। এছাড়াও মহামারি চলাকালীন কয়েকটি সেমিস্টারের স্থগিত ফলাফল অতি দ্রুত প্রদানের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অনুষদকে যথাযথ ব্যাবস্থা নেয়ার আহবানও জানানো হয় এ সভায়।

উপ উপাচার্য আরও জানান, ‘স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি থিসিসের গাইডলাইনগুলো আমি এবং সংশ্লিষ্ট অনেক শিক্ষকই অনলাইন ভিত্তিক করে যাবার চেষ্টা করছি। চেষ্টা করছি যেন পুনরায় শিক্ষাকার্যক্রম শুরুর তিন থেকে চার সপ্তাহের ভেতরে চলমান সকল সেমিস্টার শেষ করে ফেলতে পারি।’

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে কৃষি অনুষদের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মনিরুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সিদ্ধান্ত প্রশংসনীয়। আমরা অনেকেই গ্রামে থাকি, অনেকের পক্ষে অনলাইনে ক্লাস করার উপায় নাই। সেক্ষেত্রে ক্লাস নোট গুলো দিয়ে ক্যাম্পাস খুললে দ্রুত সেমিস্টার শেষ করাটাই ভালো। তাছাড়াও ব্যাবহারিক ক্লাস গুলোও অনলাইন এ করা যায় না। সেটির জন্যও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় খোলা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।’

উল্লেখ্য, কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে জনজীবনের স্থবিরতা’র বিরূপ প্রভাব পড়েছে দেশের শিক্ষা খাতে। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় অনলাইনে ক্লাস নিয়ে ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এভাবে কার্যক্রম চালালেও সার্বিক দিক বিবেচনায় পিছিয়ে আছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এক্ষেত্রে অনলাইন ভিত্তিক ক্লাস প্রদান সম্ভব না হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশনজট রুখতে মহামারি উত্তর শিক্ষা কার্যক্রমে আনা এই পরিবর্তনগুলো ফলপ্রসূ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

সারাবাংলা/আরএফ

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন