বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে ৫০ লাখ পরিবারকে দেওয়া হবে নগদ অর্থ

May 11, 2020 | 5:56 pm

ঝর্ণা রায়, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: তৈরি পোশাক শ্রমিকদের পাশাপাশি এবার দেশের নিম্ন আয়ের মানুষ যেমন রিকশা-ভ্যান চালক ও মোটর শ্রমিক, নির্মাণ শ্রমিকদের মতো পেশাজীবীরা সরকারি সহায়তা পাবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দফতর থেকে বিভিন্ন পেশার প্রায় ৫০ লাখ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে নগদ অর্থ।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (১৪ মে) গণভবন থেকে এই উদ্যোগের উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। এই কার্যক্রমে যুক্ত থাকা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সোমবার (১১ মে) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে কর্মহীন হয়ে পড়েছে কয়েক লাখ নিম্ন আয়ের মানুষ, যাদের একটি বড় অংশই দিনমজুর। সারাদেশে কর্মহীন এমন পেশাজীবীদের মধ্য থেকে ৫০ লাখ পরিবারের হাতে নগদ আড়াই হাজার টাকা তুলে দেওয়া হবে। এতে সরকারের প্রাথমিকভাবে খরচ হচ্ছে ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকা।

জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এই কার্যক্রমের উদ্যোক্তা হলেও স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় স্থানীয় প্রশাসন, জেলা প্রশাসক এবং জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে এর তালিকা তৈরি করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। এ কাজের সঙ্গে আরও যুক্ত রয়েছে তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগ।

বিজ্ঞাপন

যাদের ত্রাণ দেওয়া হবে তাদের মধ্যে আছে, রিকশা-ভ্যান চালক, মটর শ্রমিক, নির্মাণ শ্রমিক, কৃষি শ্রমিক, গৃহকর্মী, পরিবহন শ্রমিক, হকার, নৌ-শ্রমিক ও দোকানের কর্মচারীরা। তবে বিশেষ করে যারা দিনমজুর, অর্থাৎ যারা এর আগে সরকারের কোনো সহায়তার আওতায় আসেননি এমন ৫০ লাখ পরিবারকে চিহ্নিত করে তালিকা তৈরি করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শাহ্ কামাল সারাবাংলাকে বলেন, এই উদ্যোগ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নেওয়া হয়েছে। আমরা শুধু ব্যবস্থপনার দায়িত্বে রয়েছি। গ্রাম-শহরের মিলিয়েই এ সহায়তা দেওয়া হবে। আমরা ঈদের আগেই অসহায় দরিদ্র কর্মহীন মানুষদের মধ্যে এই অর্থ বিতরণ করব, যেন সকলের সঙ্গে তারাও ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে পারেন।

তিনি আরও বলেন, এই শ্রেণিপেশার মানুষদের সহায়তা দিতে এপ্রিল মাসে প্রধামন্ত্রী ঘোষণা দেওয়ার পর প্রথমে প্রতি পরিবারকে ১ হাজার করে টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। পরে আড়াই হাজার করে টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। টাকা বিতরণের জন্য এরই মধ্যে সব ধরনের প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে বলেও জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

জানা যায়, এরই মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দুই শাখা থেকে এই অর্থ ছাড় করা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৫০ লাখ পরিবারকে নগদ অর্থ দেওয়ার জন্য ১ হাজার ২৫৭ কোটি টাকা ছাড় করা হয়েছে। এর মধ্যে অর্থ বিভাগের বাজেট শাখা-১ থেকে ৬২৭ কোটি টাকা ও বাজেট শাখা-৩ থেকে ৬৩০ কোটি টাকা ছাড় করা হয়েছে। সুবিধাভোগী পরিবারগুলোর মধ্যে ওই টাকা বিতরণ খরচ বাবদ আরও সাত কোটি টাকা ছাড় করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয় ‍সূত্রে আরও জানা যায়, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ওইসব পরিবারের মধ্যে অর্থ পাঠানো হবে। বিকাশ, নগদ, শিওর ক্যাশ এবং রকেটের মাধ্যমে টাকা পাঠানো হবে। সেক্ষেত্রে তাকে ওই অ্যাকাউন্টের জন্য অতিরিক্ত চার্জ বহন করতে হবে না। সে ভর্তুকি দেবে সরকার। পুরো আড়াই হাজার টাকাই তুলতে পারবেন তারা।

সারাবাংলা/জেআর/এমআই

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন