বিজ্ঞাপন

ডেঙ্গু প্রতিরোধে ডিএনসিসির অভিযান, ১৬ হাজার টাকা জরিমানা

May 12, 2020 | 9:49 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ডেঙ্গু প্রতিরোধে পরিচালিত আটটি ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ১৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১২ মে) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ডিএনসিসির বিভিন্ন এলাকায় এসব ভ্রাম্যমাণ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। বিকেলে ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা আতিকুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিএনসিসি’র অঞ্চল-১-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়ন উত্তরা ১ নম্বর ওয়ার্ডের সেক্টর-৭ ও সোনারগাঁ জনপথে এবং ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কুড়িল অম কুড়াতলীতে প্রায় ২০টি নির্মাণাধীন ভবন ও অফিস পরিদর্শন করেন। এসময় চারটি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে সেসব বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়। তিন দিনের মধ্যে ওই সব স্থানের জমা পানি অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অঞ্চল-২-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এএসএম শফিউল আজম মিরপুরে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময়ে তিনি ১১টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং একটিতে এডিস মশার লার্ভার অস্তিত্ব খুঁজে পেলে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

বিজ্ঞাপন

অঞ্চল-৩-এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরিফুল ইসলাম ওয়ার্ড-২১-এর বাড্ডার ‘ক’ ব্লক ও মধ্যবাড্ডা এলাকায় মোট আটটি অভিযান পরিচালনা করেন। এসময়ে এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়ায় পাঁচটি মামলায় মোট ৪ হাজার টাকা জরিমানা করে আদায় করা হয়। এছাড়া সাতটি প্রতিষ্ঠানকে এডিস মশার বংশবিস্তার সম্পর্কে সচেতন করা হয়েছে এবং একটি প্রতিষ্ঠানকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

অঞ্চল-৫-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ হোসেন ডিএনসিসির ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের আসাদ এভিনিউ এলাকায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এসময়ে ৯টি নির্মাণাধীন আবাসিক ভবনের ভেতরের পরিবেশ সন্তোষজনক পাওয়া যায়। তবে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের একটি পরিত্যক্ত ভবন সম্পূর্ণ অরক্ষিত অবস্থায় তালাবদ্ধ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে এটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার জন্য নোটিশ দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

অঞ্চল-৬-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরীন উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টরে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময়ে প্রায় ৫০টি বাড়ি, প্রতিষ্ঠান, স্থাপনা পরিদর্শন করে নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশের বিষয়ে জনগণকে সচেতন করা হয়। দুইটি নির্মাণাধীন স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। কিন্তু ভবন মালিক বা সংশ্লিষ্ট কাউকে পাওয়া যায়নি। তাদেরকে নোটিশ দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং এডিস মশার প্রজনন স্থানগুলো ধ্বংস করা হয়।

অঞ্চল-৭ ও ৮-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবেদ আলী ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তরখানের মাজার রোড এলাকায় অভিযান চালান। এসময় প্রায় ১৮টি স্থাপনা পরিদর্শন করে কোনো জরিমানা করা হয়নি। তবে এলাকাবাসীকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও জমা পানি ফেলে দেওয়ার বিষয়ে সচেতন করা হয়েছে।

অঞ্চল-৯ ও ১০-এর ৩৭ ও ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডে বেশকিছু বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন ডিএনসিসির প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল হামিদ মিয়া। এসময়ে জনসাধারণকে এডিস মশার প্রজননস্থল ধংসে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার গুরুত্ব ও জমা পানি ফেলে দেওয়ার বিষয়ে সচেতন করা হয়, তবে কাউকে জরিমানা করা হয়নি।

এদিকে, ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রোসলিনা পারভীন গুলশান-১ ও গুলশান-২ এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এসময়ে একাধিক নির্মাণাধীন ভবনে প্রচুর ময়লা-আবর্জনা ও এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় সেগুলো দ্রুত অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয় এবং দুইটি নির্মাণাধীন ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাওয়ায় তাদের ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

বিজ্ঞাপন

এছাড়া অভিযান চলাকালে সব এলাকাতেই এলাকাবাসীকে এডিস মশার বিস্তার রোধে সচেতন করা হয়। অভিযান চলাকালে সাংবাদিক, এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তি ও ডিএনসিসির স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দিতে ডিএনসিসির মোবাইল কোর্ট আগামীকালও অব্যাহত থাকবে বলেও জানানো হয়েছে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।

সারাবাংলা/এসএইচ/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন