বিজ্ঞাপন

‘নতুন ৫ হাজার টেকনোলজিস্ট নিয়োগ শিগগিরই’

May 17, 2020 | 4:07 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: চিকিৎসা খাতকে শক্তিশালী করতে আরও নতুন অন্তত ৫ হাজার মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগের কাজ চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। খুব শিগগিরই এই নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১৭ মে) রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে করোনা মোকাবিলায় ২ হাজার বেডের অস্থায়ী হাসপাতাল কেন্দ্র উদ্বোধনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

সরকার কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, করোনা মোকাবেলায় গেল ১০ দিনের মধ্যে ২ হাজার চিকিৎসক ও ৫ হাজার নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে আরও পাঁচ হাজার মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। আমরা আশা করছি, খুব শিগগিরই এই নিয়োগ প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হবে।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মাত্র ২০ দিনের মধ্যে বসুন্ধরা অস্থায়ী কোভিড হাসপাতাল সরকার প্রস্তুত করতে সক্ষম হয়েছে। এটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল। এখানে অত্যাধুনিক মোট ২০১৩টি আইসোলেটেড শয্যা রয়েছে, যার মধ্যে ৭১টির সঙ্গে অক্সিজেন সিলিন্ডার যুক্ত করা রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রী বলেন, এখানে অন্তত ৪০০টি পোর্টেবল অক্সিজেন সিলিন্ডার রয়েছে। আইসিইউ ব্যাবস্থাসহ এই হাসপাতালটি উন্নত দেশের কোভিড অস্থায়ী হাসপাতালের থেকে কোনো অংশেই পিছিয়ে নেই। এটি করোনা লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

জাহিদ মালেক বলেন, করোনা মোকাবিলায় দেশে এখন প্লাজমা থেরাপির কাজ চলছে। পাশাপাশি আমেরিকায় উৎপাদিত ওষুধ রেমডেসিভির এখন দেশেই তৈরি হচ্ছে। সরকার এই ওষুধ মজুত করছে বলে জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

নন-কোভিড হাসপাতালে সাধারণ রোগীদের বাধ্যতামূলকভাবে চিকিৎসা দিতে সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালকে চিঠি দেওয়া হয়েছে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। মানুষ যেন করোনার লক্ষ্মণ থাকলে তথ্য গোপন না করেন, সে বিষয়েও সবাইকে অনুরোধ করেন।

সাধারণ ছুটিতে পালনীয় বিষয়গুলো শিথিল করা প্রসঙ্গে জাহিদ মালেক বলেন, সরকার প্রথম থেকেই একটি সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করেছে। যখন লকডাউন জরুরি ছিল, তখনই লকডাউন করা হয়েছে। যখন শিথিল করা প্রয়োজন, তখন স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা সাপেক্ষে শিথিল করা হয়েছে। সবদিক বিবেচনা করে সরকার যা কিছু করছে, তা ভেবেচিন্তেই করছে। মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পারলে করোনা মোকাবিলার পাশাপাশি দেশ অর্থনৈতিকভাবে বড় ধরনের ক্ষতি থেকে রেহাই পাবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম। তিনি বলেন, করোনায় আক্রান্তদের ৮৫ শতাংশই ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর জেলার। বাকি ১৫ শতাংশ ছড়িয়ে আছে সারাদেশে। এদের জন্য এই হাসপাতালটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা গ্রুপ ও ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর বলেন, সুষ্ঠুভাবে হাসপাতালটি তৈরি করার জন্য আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানাই। একইসঙ্গে এখানে হাসপাতাল গড়ে তুলতে আমাদের যে উদ্যোগ প্রধানমন্ত্রী গ্রহণ করেছেন, এজন্য তাকেও ধন্যবাদ জানাই। এটি যেন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা যায়, এজন্য আপনারা সবাই দোয়া করবেন।

বিজ্ঞাপন

এসময় সবাইকে সবার পাশে থেকে দেশের প্রয়োজনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে সায়েম সোবহান আরও বলেন, যে যেভাবে পারুন, বাংলাদেশকে সাহায্য করুন। সবাই মিলে আমরা চেষ্টা করি যেন করোনামুক্ত থাকতে পারি।

সারাবাংলা/টিএস/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন