বিজ্ঞাপন

চুয়াডাঙ্গায় অসময়ে তরমুজ চাষ, লাভের মুখ দেখছেন কৃষক

May 18, 2020 | 8:28 am

রিফাত রহমান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গা জেলায় অসময়ে তরমুজ চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন কৃষকরা। বিঘা প্রতি ৪০ থেকে ৪৮ হাজার টাকা খরচ করে লাভ করছেন দেড় থেকে দুই লাখ টাকা। আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ায় তরমুজ চাষে ঝুঁকছেন চাষীরা। তবে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বাজারে এ তরমুজের দাম অনেকটাই কমেছে।

বিজ্ঞাপন

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলায় চার হাজার ২৭৪ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় তিন হাজার ৭৮ বিঘা, দামুড়হুদা উপজেলায় ৫৭৩ বিঘা ,জীবননগর উপজেলায় ২১৮ বিঘা ও আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৩৮ বিঘা জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছে। অল্প খরচে ৪৫ দিন থেকে শুরু করে ৬৫ দিনের মধ্যে এক লাখ থেকে দেড় টাকা লাভ হওয়ায় এই জেলায় তরমুজ চাষ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এ ব্যাপারে সদর উপজেলার দীননাথপুর গ্রামের তরমুজ চাষী হারিচ মিয়া সারাবাংলাকে জানান, তিনি পাঁচ বছর যাবত ব্লাক বেরি জাতের তরমুজ চাষ করে আসছেন। বীজ বপনের দুমাসের মাথায় ফল পাওয়া যায়। গত বছরে এ সময়ে তরমুজের দাম মণ প্রতি  দুই হাজার ৮০০ টাকা পেয়েছি। কিন্তু এখন করোনা মহামারির কারনে দাম ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা মণ পাচ্ছি। এ কারনে লোকসান না হলেও খুব একটা লাভ হবে না।

বিজ্ঞাপন

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গাড়াবাড়ীয়া গ্রামের তরমুজ চাষী আব্দুল কাদের বলেন, গোল্ডেন ক্রাউন তরমুজের জাতটা হাতে পাওয়ার পর চাষ করে বেশ লাভবান হয়েছি। বিঘাপ্রতি চাষে খরচ হয় ৪৫ থেকে ৪৮ হাজার টাকা। খরচ বাদে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা লাভ হয়েছে। কিন্তু এবার করোনার কারণে লাভ একটু কম হবে।

চুয়াডাঙ্গা একই উপজেলার গাড়াবাড়ীয়া গ্রামের তরমুজ চাষী শামীম বলেছেন, গোল্ডেন ক্রাউন জাতের তরমুজের বাজার অনেক ভাল। এ বছর আমি ১ বিঘা জমিতে চাষ করেছি। আগামী বছর তিন বিঘা জমিতে চাষ করবো। বেশী লাভ হওয়ায় এলাকার অনেক চাষী এই তরমুজ চাষের দিকে ঝুঁকছে।

বিজ্ঞাপন

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ তালহা জুবাইর মাসরুর বলেন, ব্লাক বেরি ও গোল্ডেন ক্রাউন জাতের তরমুজ অসময়ে মাচায় চাষ হয়। এর ফলন ভাল, চাষ লাভজনক। করোনার কারনে প্রথম দিকে ট্রাক ঠিকমত না চলার কারনে দাম একটু কম পাওয়া গেলেও এখন ভাল দাম পাওয়া যাচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলায় অসময়ে ব্লাক বেরি ও গোল্ডেন ক্রাউন জাতের তরমুজ চাষ হয়েছে ৪ হাজার ২৭৪ বিঘা জমিতে। বিঘা প্রতি ৮০ মন হিসাবে ফলন পাওয়া যাবে তিন লাখ ৪২ হাজার মণ। ব্লাক বেরি জাতের তরমুজ ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হলেও গোল্ডেন ক্রাউন জাতের তরমুজ বিক্রি হচ্ছে  এক হাজার ৫০০ থেকে এক হাজার ৬০০ টাকা মন দরে। এ হিসাবে প্রতি মণ এক হাজার ২০০ টাকা হিসেবে বিক্রি হবে ৪১ কোটি ৪০ হাজার টাকায়। তরমুজ চাষ এ জেলার অর্থনীতির আশীর্বাদ। এ চাষের ধারা ধরে রাখতে সরকারি সাহায্য সহযোগীতার দাবী জানিয়েছেন তরমুজ চাষীরা।

সারাবাংলা/আরএফ/একেএম

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন