May 21, 2020 | 3:43 pm
সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: সুপার সাইক্লোন আম্পান মোকাবিলায় সরকারের দক্ষতার কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় শেখ হাসিনা সরকার আবারও দক্ষতার বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। যার ফলে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি আশঙ্কার তুলনায় অনেক কম হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার (২১ মে) দুপুরে তাঁর সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। এ সময় তিনি বলেন, ‘সুপার সাইক্লোন আম্পান এরইমধ্যে আঘাত হেনেছে। বেশ কয়েকটি জেলা ক্ষয়ক্ষতি ব্যাপক না হলেও একেবারে কমও হয়নি। সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী, হাতিয়াসহ বেশকিছু এলাকায় জলোচ্ছ্বাস বেড়িবাঁধ ভেঙে ফসল হানি এমনকি কিছু কিছু জায়গায় প্রাণহানীও ঘটেছে।
পূবার্ভাস অনুযায়ী ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় শেখ হাসিনা সরকার আবারও দক্ষতার বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। যার ফলে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি আশঙ্কার তুলনায় অনেক কম হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সরকার দুর্যোগ পূর্ববর্তী, দুর্যোগকালীন এবং দুর্যোগ পরবর্তী পুনবার্সন প্রস্তুতি যথাযথভাবে সম্পন্ন করেছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ঝড়ের আগে বিভিন্ন জেলায় প্রশাসন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং আওয়ামী লীগ কর্মীরা প্রায় ২৪ লাখ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে এসেছে।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দুর্যোগ পরবর্তী ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা বেড়িবাঁধ মেরামতসহ সার্বিক পুনবার্সন এরইমধ্যে প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষ করোনার পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতিও মোকাবিলা করছে। আমাদের আজ দুটো চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করছি।’
এ সময় তিনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপদ্রুত এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
কাদের বলেন ‘মানুষের দোয়া এবং শেখ হাসিনা সরকারের পূর্বপ্রস্তুতি আমাদেরকে ঘূর্ণিঝড় হতে অল্প ক্ষতির মধ্যে দিয়ে উত্তরণ ঘটিয়েছেন। পাশাপাশি সুন্দরবন সুরক্ষা প্রাচীর হিসেবে কাজ করেছে। দুর্যোগ পরবর্তী পুনবার্সন, পানিবন্দি মানুষের সুরক্ষা এবং ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ মেরামতে শেখ হাসিনার সরকার ও আওয়ামী লীগ আপনাদের পাশে রয়েছে। মনে রাখবেন আপনারা একা নন, শেখ হাসিনার মতো দরদী দক্ষ নেতৃত্ব আপনাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিকভাবে রয়েছে।’
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বলেন, ‘কিছুদিন ধরে আমাদের অসাবধানতা অসচেতনতার জন্য করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুহার বেড়েই চলছে। যারা সামাজিক দূরত্ব মেনে চলছেন না, স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না, অহেতুক যেখানে সেখানে সমাগম করছেন তারা জেনে শুনেই সংক্রমণ ও মৃত্যুকে ডেকে আনছেন।’
সারাবাংলা/এনআর/একে