বিজ্ঞাপন

কোভিড-১৯: সুলভ মূল্যের ভেন্টিলেটর তৈরি করছে ‘আফগান ড্রিমার্স’

May 21, 2020 | 5:12 pm

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণে সৃষ্ট বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ মোকাবিলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার ভেন্টিলেটর। যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের সংকটাপন্ন কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য মোটরপার্টস থেকে সুলভ মূল্যের ভেন্টিলেটর তৈরি করছে পশ্চিমাঞ্চলীয় হেরাত প্রদেশের নারীদের রোবটিক্স টিম – আফগান ড্রিমার্স। খবর বিবিসি।

বিজ্ঞাপন

বিবিসি জানিয়েছে, ১৪ থেকে ১৭ বছর বয়সী আফগান ড্রিমার্সের সদস্যরা এমন একটি ভেন্টিলেটর মেশিনের প্রোটোটাইপ তৈরি করেছেন, যেখানে টয়োটার করোলা গাড়ির একটি মোটর ও হোন্ডা মোটর সাইকেলের চেইন ড্রাইভ ব্যবহার করতে হবে। এই ভেন্টিলেটরের সাহয্যে সংকটাপন্ন কোভিড-১৯ রোগীর সাময়িক উপশমের ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে।

এছাড়াও, বর্তমানে ভেন্টিলেটর বাজার মূল্য ৩০ হাজার থেকে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। এবং চাহিদার তুলনায় যোগান সামান্য। সেখানে আফগান ড্রিমার্স বলছে, তাদের উদ্ভাবিত ভেন্টিলেটরগুলো সর্বোচ্চ ৬০০ মার্কিন ডলার দাম পড়বে।

বিজ্ঞাপন

উদ্ভাবিত ভেন্টিলেটরটির ব্যাপারে আফগান ড্রিমার্সের টিম লিডার সোমায়া ফারুকি বিবিসিকে জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসক ও নার্সদের লড়াইয়ের প্রতি সম্মান জানিয়ে ও তাদের প্রচেষ্টাকে আরও বেগবান করতেই তারা এই ভেন্টিলেটর বানানোর কাজে হাত দিয়েছেন। তাদের এই ভেন্টিলেটর হয়তো আদর্শ হবে না, কিন্তু সংকটের মুহুর্তে পরিস্থিতির উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।

এর আগে, ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত এক আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে আলোচনায় এসেছিল আফগান নারীদের এই রোবটিক্স টিম।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, আফগানিস্তানের তিন কোটি ৮৯ লাখ মানুষের জন্য ভেন্টিলেটর রয়েছে মাত্র ৪০০। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় অপর্যাপ্ত ভেন্টিলেটর সুবিধার কথা মাথায় রেখেই আফগান ড্রিমার্সের সদস্যরা মোটরপার্টসের সাহায্য ভেন্টিলেটর বানানোর প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে সচেষ্ট হয়। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি মাসের শেষ নাগাদ আফগান ড্রিমার্স উদ্ভাবিত ভেন্টিলেটর বাজারে আসবে।

এ ব্যাপারে আফগান ড্রিমার্স রোবটিক্স টিমের সদস্য নাহিদ রহিমি বিবিসিকে জানান, তাদের প্রচেষ্টায় যদি একজন সংকটাপন্ন রোগী প্রাণও বেঁচে যায়, তা হবে পরম পাওয়া।

অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার (২১ মে) এই প্রতিবেদন লেখা অবধি আফগানিস্তানে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন আট হাজার ৬৭৬ জন, মৃত্যু হয়েছে ১৯৩ জনের এবং সেরে উঠেছেন ৯৩৮ জন।

প্রসঙ্গত, আফগানিস্তানে নারীদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৩০ শতাংশেরও কম। এমন বৈরি পরিস্থিতিতে বেড়ে উঠেও আফগান নারীরা প্রযুক্তিগতভাবে যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, তা অতুলনীয় বলে উল্লেখ করেছে বিবিসি।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/একেএম

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন