বিজ্ঞাপন

করোনা পিছিয়ে দিলো পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন

May 28, 2020 | 1:08 am

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: করোনাভাইরাসের সংক্রমন ঠেকাতে দেশজুড়ে যে অবরুদ্ধ পরিস্থিতি চলছে তার প্রভাব পড়েছে সব খাতে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে গিয়ে ব্যহত হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ সব প্রকল্পের কাজ। চলতি মাসে পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট উৎপাদন শুরু করলেও জুনে চালু করতে পারছে না এ প্রকল্পের দ্বিতীয় ইউনিট।

বিজ্ঞাপন

প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সরকারি প্রতিষ্ঠান নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানী লিমিটেড এবং চীনের ন্যাশনাল মেশিনারি পোর্ট অ্যান্ড ইম্পোর্ট কোম্পানী- সিএমসি সমান সমান মালিকানায় পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় দু’টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে বিসিপিসিএল। প্রতিটি কেন্দ্রে ৬৬০ মেগাওয়াট করে উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে। যার একটি অর্থাৎ প্রথম ইউনিট চলতি মাসে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু করলো।

দ্বিতীয় ইউনিট আগামী মাসে অর্থাৎ জুনে উৎপাদন শুরুর কথা থাকলেও তা সম্ভব হচ্ছেনা বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী শাহ আব্দুল মাওলা।

তিনি বলেছেন, করোনাভাইরাস সংক্রমন রোধে লকডাউনের কারণে দেশী-বিদেশি সকল কর্মী ছুটিতে। তাই প্রকল্পের কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নির্ধারিত সময়ে উৎপাদনে যাওয়া মুশকিল হয়ে যাবে।

বিজ্ঞাপন

জানা যায়, এই প্রকল্পে প্রায় দুই হাজার চীনা প্রকৌশলী ও শ্রমিক এবং পাঁচ হাজারের বেশি দেশী কর্মী কাজ করছে। বিদেশী কর্মীদের প্রায় ৭শ জন দেশে গিয়ে করোনাভাইরাসের কারণে ফিরতে পারেনি। ভাইরাসের সংক্রমন রোধে দেশি কর্মীরাও বিরত রয়েছেন। ফলে দুই মাস ধরে এই প্রকল্পের কাজ কার্যত বন্ধ রয়েছে। তাই নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের দ্বিতীয় ইউনিট উৎপাদনে যেতে পারবে কীনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

এ প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. সুলতান আহমেদ সারাবাংলাকে জানান, নির্ধারিত সময়ে উৎপাদনের টার্গেট এখনো রয়েছে। তবে তা নির্ভর করবে দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বিস্তারের ওপরে।

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা প্রথম ইউনিট নির্ধারিত সময়েই উৎপাদনে নিয়ে আসতে পেরেছি। বর্তমানে দেশে বিদ্যুতের কোনো ঘাটতি নেই। তাই এ প্রকল্পের উৎপাদন কিছুটা পিছিয়ে গেলে ক্ষতির আশংকা নেই।’

বিজ্ঞাপন

এদিকে প্রকল্পের বিলম্বের বিষয় বিবেচনায় নিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি পাঠিয়েছে বিসিপিসিএলের চীনা অংশীদার চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইম্পোর্ট ও এক্সপোর্ট করপোরেশন-সিএমসি।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৩০ মার্চ পটুয়াখালী জেলার কলাপড়ার ধানখালী ইউনিয়নে ১৩২০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ শুরু হয়। আমদানি করা কয়লায় চালিত এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি দেশের সবচেয়ে বড় এবং নির্মাণে ব্যবহার করা হচ্ছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। বাংলাদেশ এ চীনের সমান মালিকানা হলেও এ প্রকল্পের অর্থের যোগান দিচ্ছে চীনের এক্সিম ব্যাংক। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ হাজার কোটি টাকা।

সারাবাংলা/জেআর/জেএইচ

বিজ্ঞাপন

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন