বিজ্ঞাপন

মাকে বাঁচাতে এক ফুটবলারের আর্তনাদ

May 29, 2020 | 4:56 am

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: মায়ের স্বপ্ন বাঁচাতে যেখানে মাঠে দাঁপিয়ে বেড়ানোর কথা তার সেই ফুটবলার ছেলে এখন মাকে বাঁচাতে অর্থের অভাবে হিমশিম খাচ্ছেন। মায়ের দুই কিডনিই প্রায় অকেজো হয়ে যাচ্ছে। অর্থ-জমি সম্ভল যা ছিল সবই এখন মায়ের দাওয়া নিতেই ফুরিয়ে যাওয়া অবস্থা। মহামারী করোনা মাকে বাঁচানোর ছেলের কষ্ট আর আকুতি বাড়িয়ে দিয়েছে দ্বিগুণ। দেশের বন্ধ ফুটবল আর দুর্বিষহ লকডাউন বিপত্তিতে বন্ধ বাবার দোকানে অর্থের চাকা স্থবির হওয়ায় নিরুপায় ছেলের অসহায়ত্বের করুণ দৃশ্য এখন মানবতাকে খুঁজছে।

এমন কঠিন পরিস্থিতিতে অসহায় হয়ে মানবিক সাহায্যের আকুতি করছেন দেশের বয়সভিত্তিক জাতীয় ফুটবল দলে খেলা উদীয়মান ফুটবলার জাহিদ আহসান বাধন।

লকডাউন অবস্থায় বাবার একমাত্র দোকানটাও বন্ধ। করোনায় ফুটবল বন্ধ থাকায় অর্থের পথও বন্ধ। জমি-জমা যা এক-আধটু যা ছিল সেগুলো বিক্রি করে কিডনি রোগে মুমূর্ষু মায়ের চিকিৎসা চালিয়ে গেছেন। দেশের এমন স্থবির পরিস্থিতি মাকে বাঁচানোই যেন জীবনের সবচেয়ে নিষ্ঠুর চ্যালেঞ্জ হয়ে গেছে মুক্তিযোদ্ধার হয়ে অনূর্ধ্ব-১৮ দলে খেলা এই তরুণ ফুটবলারের।

বিজ্ঞাপন

ডায়ালাইসিস অন্তত দু’বার করে ডায়ালাইসিস করাতে হচ্ছে মাকে। প্রতি সপ্তাহে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা যোগান দিতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে পুরো পরিবার।

নিরুপায় মাকে বাঁচাতেই ছেলে বাধনের আর্তনাদ, ‘গত তিন বছর ধরে কিডনি রোগের চিকিৎসা করে চলেছি। আমার খেলা থেকে আর বাবার দোকান থেকে আয়ের খরচে সেই চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছি। গত একবছর ধরে আম্মার দুই কিডনি প্রায় নষ্ট হয়ে গেছে। আম্মুর কিডনি প্রতিস্থাপন করার মতো আর্থিক অবস্থা নাই।’

তার উপরে করোনায় অর্থ যোগান দেয়াই যেন দুর্বিষহ হয়ে গেছে তার, ‘সপ্তাহে দুই-তিনটা ডায়ালেসিস করাতে হয় আম্মার। সপ্তাহে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ করতে হয়। খ্যাপ খেলে বা বাবার দোকান থেকে আয় করে সেটা চালায় নিতে পারছিলাম। এখন মহামারী করোনায় সব বন্ধ থাকায় আম্মার চিকিৎসা করতে পারছি না। তার অবস্থা খুবই করুন।’

বিজ্ঞাপন

এমতাবস্থায় দেশের প্রধানমন্ত্রীসহ সামর্থবানদের মানবিক সাহায্যের আহ্বান জানিয়েছেন বাধন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বা বাফুফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আছেন আবার বিভিন্ন ক্লাবের বড় কর্মকর্তারা আছেন সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আপনারা যদি দয়া করেন, আমার আম্মাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন তাহলে আমি আবার ফুটবল খেলতে পারবো। আমাদের আত্মীয় স্বজন কেউ নাই। আমরা ছোট্ট একটা পরিবার। আমাদের সাহায্য করার কেউ নাই।’

মায়ের স্বপ্ন ছেলে বড় ফুটবলার হবে। সেই পথেই এগোচ্ছেন বাধন। ময়মনসিংহের জেলা ফুটবলে শুরু করে ফার্স্ট ডিভিশন খেলে যাচ্ছেন এই উদীয়মান ফুটবলার। মাঝে ২০১৫ সালে অনূর্ধ্ব জাতীয় ফুটবল দলের ক্যাম্পে ডাক পেয়েছিলেন। সেই দলের সতীর্থ রাকিব হাসান এখন সিনিয়র জাতীয় দলের পরিচিত মুখ। বাধনের ইচ্ছাটাও সেরকম। তবে তার আগে মাকে বাঁচানোই যেন একমাত্র লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে বাধনের।

মায়ের চিকিৎসায় এখন দরকার অর্থ। আপনার সামান্য সাহায্য বাঁচিয়ে তুলতে পারে বাধনের মায়ের প্রাণ। বাঁচতে পারে একটা উদীয়মান ফুটবলারের স্বপ্নও। সাহায্যের জন্য বাধনের ব্যক্তিগত এই নাম্বারে (০১৬১৬৭৬৭৬৮৯)। তার মা এখন ময়মনসিংহ জেলা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন।

সারাবাংলা/জেএইচ

বিজ্ঞাপন

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন