বিজ্ঞাপন

বন্দরের ভাড়া মওকুফ ও ৫০০ কোটি টাকা ঋণ সহায়তা চায় বারভিডা

May 31, 2020 | 5:17 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: করোনাভাইরাস মহামারির সংকটে মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ডে পড়ে থাকা আমদানি করা ৮ হাজার গাড়ির দুই মাসের (এপ্রিল ও মে) ভাড়া মওকুফ চেয়েছে বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস  ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা)। একইসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ সহায়তা প্যাকেজের আওতায় সরকারের কাছে ৫০০ কোটি টাকা ঋণ সহায়তাও চেয়েছে সংগঠনটি। এই দুইটি সহায়তা দেওয়া হলে বারভিডা সরকারকে এক হাজার কোটি টাকার রাজস্ব দিতে পারবে বলেও আশ্বাস দিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (৩১ মে ) দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বারভিডা এ প্রস্তাব দিয়েছে। সংগঠনের প্রেসিডেন্ট আবদুল হক রাজধানীর বিজয়নগরে বারভিডার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এই দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে বারভিডার সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম আনোয়ার সাদাত উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, দুই বন্দরে ৮ হাজার আমদানি করা গাড়ি ইয়ার্ডে রক্ষিত রয়েছে। এসব গাড়ির জন্য এপ্রিল ও মে মাসের বন্দর ভাড়া মওকুফ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ সহায়তা প্যাকেজের আওতায় ৫০০ কোটি টাকার ঋণ সহায়তা দেওয়া হলে বন্দরে থাকা গাড়িগুলি ছাড়ের শুল্ক পরিশোধ করা যাব। এছাড়া কর বাবদ স্বল্পতম সময়ে সরকার এক হাজার কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব পেতে পারে।

তিনি বলেন, সরকার মহামারির সময়ে চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনারের জন্য বন্দর ভাড়া মওকুফ করেছিল। যেহেতু বন্দর দুই মাস বন্ধ ছিল, তাই আমদানি করা গাড়িগুলো ছাড় করার ক্ষেত্রে ওই দুই মাসের জন্য বন্দর ভাড়া মওকুফ করতে বারভিডা নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, তথা সরকারকে বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছে। অতীতেও বিপর্যয়কর বিভিন্ন পরিস্থিতিতে সরকারের পক্ষ থেকে বন্দর ভাড়া মওকুফ এবং শুল্ক-কর মওকুফ করে দেওয়ার দৃষ্টান্ত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে বারভিডা প্রেসিডেন্ট বলেন, করোনা মহামারি থেকে দেশের অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধারে সরকার বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে স্বল্পসুদে ৩০ হাজার ও ২০ হাজার মোট ৫০ হাজার কোটি টাকার যে ঋণ সুবিধা দিয়েছে, তাতে বারভিডা একটি ট্রেডিং সংগঠন হিসেবে সুবিধা পাচ্ছে না। তাই প্যাকেজ ঋণ সুবিধার আওতায় বারভিডাকে বিশেষ বিবেচনায় ৫০০ কোটি টাকার একটি ঋণ সহায়তা প্যাকেজ দেওয়ার সুপারিশ করছি।

তিনি বলেন, রিকন্ডিশন্ড মোটরযান খাতে ঋণ দেওয়া হলে তা সরকারের জন্য ১০০ ভাগ নিরাপদ। গাড়ির ডক্যুমেন্টের বিপরীতে এই অর্থ ব্যাংকে জমা হবে এবং বারভিডা এক্ষেত্রে গ্যারান্টি দেবে।

আবদুল হক বলেন, বর্তমানে মধ্যবিত্ত শ্রেণি, যাদের সামর্থ্য রয়েছে তারা গণপরিবহন সীমিত থাকার এই সময়টিতে গাড়ি কেনার সুযোগ কাজে লাগাতে পারেন এবং এর মাধ্যমে এ খাতের ব্যবসায়ীরা যেমন হতাশামুক্ত হবেন, একইসঙ্গে মোটরযান বাণিজ্য খাতে স্থবিরতা কাটিয়ে একটি ইতিবাচক আবহ তৈরি হবে।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দরে বারভিডা সদস্যদের আমদানি করা প্রায় ৮ হাজার গাড়ি ইয়ার্ডে রক্ষিত আছে। মহামারির ফলে ব্যবসায়িক কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকলেও ব্যবসায়ীদের তাদের শোরুম বা অফিস ভাড়া বহন করতে হচ্ছে এবং কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে হচ্ছে। ফলে ব্যবসায়ীরা প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।

সারাবাংলা/জিএস/টিআর

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন