বিজ্ঞাপন

আঙিনা ছোট বলেই বুমরাহর অমন রান-আপ!

June 1, 2020 | 3:45 pm

স্পোর্টস ডেস্ক
গতির ঝড় তুলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নাম কামিয়েছেন যারা তাদের প্রায় সবাইকে দেখা গেছে লম্বা রান-আপে বোলিং করতে। সেই ওয়েস হল থেকে শুরু করে ডেনিস লিলি, মাইকেল হোল্ডিং, শোয়েব আখতার, ব্রেট লি বা শন টেইট, প্রত্যেকের রান-আপই ছিল লম্বা। কিন্তু এখানে আশ্চর্য ব্যতিক্রম জাসপ্রিত বুমরাহ।

বিজ্ঞাপন

ঘণ্টায় নিয়মিত ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করে থাকেন, কিন্তু রান-আপ মোটেও বড় নয়। কয়েক পাঁ দৌড়েই গতির ঝড় তুলতে সক্ষম ভারতীয় পেসার। বুমরাহর এমন ক্ষমতায় বিস্মিত অনেকেই। ভারতীয় পেসার নিজেই সেই বিস্ময়ের খোলাসা করলেন।

ক্রিকেট শুরু করেছেন বাড়ির আঙিনায়। আঙিনায় বড় রান-আপ নেওয়ার জায়গা ছিল না। সে কারণেই নাকি ছোট রান-আপেই অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন বুমরাহ। পরে সেটা আর পরিবর্তন করতে চাননি।

জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক ফাস্ট বোলার ইয়ান বিশপ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক পেসার শন পোলকের সঙ্গে আইসিসির একটি ডিজিটাল আয়োজনে কথা বলতে এমন কথা জানিয়েছেন বুমরাহ।

বিজ্ঞাপন

ভারতীয় তরুণ তারকা বলেন, ‘আমি বাড়ির আঙিনায় খেলে বেড়ে উঠেছি। আমার রান-আপ এত ছোট, কারণ আমাদের আঙিনায় খুব বেশি জায়গা ছিল না। যে রান-আপ দেখছেন, এইটুকুই সর্বোচ্চ নিতে পারতাম তখন। হয়তো সে কারণেই এই রান-আপে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। পরে অবশ্য বড় রান-আপে বোলিং করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু দেখলাম, গতি বাড়ছে না, কিছুই বদলাচ্ছে না। তাহলে কেন অযথা কষ্ট করে বড় রান-আপ নেব!’

বুমরাহর অদ্ভূত বোলিং রান-আপ বরাবরই বাড়তি চর্চার উপলক্ষ্য। অ্যাকশন বদলানোর পরমার্শও নাকি পেয়েছিলেন অনেকবার। বুমরাহ জানালেন, সে কথা কানে তোলেননি কখনোই।

ভারতীয় পেসার বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, আমি খুব বেশি কোচিং পাইনি। কোনো পেশাদার কোচিং বা ক্যাম্পে কখনও যোগ দেইনি। এখনও পর্যন্ত, সবকিছু নিজে শিখেছি। টিভি দেখে, ভিডিও দেখে। আপনাআপনি হয়েছে। সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ নেই এমন অ্যাকশনের। অ্যাকশন নিয়ে অনেকেই অবশ্য অনেক কিছু বলেছে বদলাতে। আমি কখনোই তাতে কান দেইনি। নিজের ওপর বিশ্বাস ছিল আমার, স্রেফ চেয়েছি এটিতেই উন্নতি করে যেতে।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএইচএস/জেএইচ

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন