বিজ্ঞাপন

সিলেটে প‌রিবহন শ্রমিকদের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, কাউন্টার ভাঙচুর

June 2, 2020 | 6:40 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি সেলিম আহমদ ফলিক মিয়াকে ঘিরে সিলেটের বাস টার্মিনালে দফায় দফায় শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শ্রমিকদের এক পক্ষের দাবি, তাদের ওপর গুলিবর্ষণ করা হয়েছে। পরে তারা বিক্ষুব্ধ হয় ফরিদ মিয়ার অফিস এনা কাউন্টারে ভাঙচুর চালায়। সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও র‌্যাব মোতায়েন করা হয়। একপর্যায়ে র‌্যাব টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে শ্রমিকদের সরিয়ে দেয়।

মঙ্গলবার (২ জুন) বিকেল সাড়ে ৩টায় সিলেটের প্রধান বাস টার্মিনাল কদমতলীতে শ্রমিকদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিকেল পৌনে ৫টা পর্যন্ত দফায় দফায় এই সংঘর্ষ চলে।

বিজ্ঞাপন

জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক নেতারা জানান, ঈদের আগে সাহায্য-সহায়তা না দেওয়ায় সিলেটের পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সেলিম আহমদ ফলিকের ওপর ক্ষুব্ধ হয় পরিবহন শ্রমিকদের একাংশ। বিকেল ৩টার দিকে তারা বিক্ষোভ করে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় আসে। সেখানে আসার পর ফলিকের সমর্থকরা তাদের ওপর হামলা চালালে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন পরিবহন শ্রমিক আহত হন।

এদিকে, শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি ফলিক মিয়া সিলেটে এনা পরিবহনের দায়িত্বে রয়েছেন। ফলে সংঘর্ষের সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা এনা পরিবহনের কাউন্টার ভাঙচুর করে।

বিজ্ঞাপন

জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের দাবি, ফলিক মিয়ার ছেলে রোকন এনা কাউন্টারের ছাদ থেকে শ্রমিকদের ওপর চার রাউন্ড গুলি বর্ষণ করেন। এরপর শ্রমিকরা এনা কাউন্টারের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন।

উত্তেজিত শ্রমিকরা বলেন, শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি সেলিম আহমদ ফলিক শ্রমিকদের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তাকে আর শ্রমিক সংগঠনের নেতা হিসেবে দেখতে চান না।

সিলেট মহানগর পুলিশের দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ফজল জানান, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে রয়েছে। শ্রমিকরা তাদের নিজেদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে দুই পক্ষে বিভক্ত হয় সংঘর্ষে জড়িয়েছে। একটি বাস ভাঙচুর ও এনা পরিবহনের কাউন্টার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ অবস্থা বুঝে পদক্ষেপ নেবে।

ঘটনাস্থলে সিলেটের সবগুলো পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা জড়ো হয়েছেন। ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন নেতা দুলাল আহমদ জানান, ফলিক মিয়ার বিরুদ্ধে শ্রমিকদের একটি বড় অংশ আন্দোলন শুরু করে। বিষয়টি মীমাংসার জন্য ট্রাক-বাস হিউম্যান হলারসহ সব ধরনের পরিবহন শ্রমিক নেতারা ঘটনাস্থলে আসেন। এর মধ্যেই সংঘর্ষে তারা হতচকিত হয়ে পড়েন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএ/টিআর

Tags: , , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন