বিজ্ঞাপন

টুইটারে ‘মিথ্যা’ বলেছিলেন ট্রাম্প

June 4, 2020 | 11:48 pm

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক

মাইক্রো ব্লগিং ওয়েবসাইট টুইটারের ‘মোমেন্টস’ সেকশনে প্রকাশিত এক আর্টিকেলে দাবি করা হয়েছে – মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রথম প্রতিরক্ষা সচিব জেনারেল জেমস মাতিসকে জড়িয়ে এক টুইটার বার্তায় ‘মিথ্যা’ বলেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। খবর বিবিসি।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের পর ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করে সাবেক প্রতিরক্ষা সচিব জেমস মাতিস বলেছিলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দেখা প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট – যিনি নাগরিকদের ঐক্যবদ্ধ করার বদলে বিভক্ত করে দিচ্ছেন।

তার জবাবে, বৃহস্পতিবার (৪ জুন) স্থানীয় সময় সকাল সাতটায় প্রকাশিত এক টুইটার বার্তায় ট্রাম্প বলেছিলেন – জেনারেল জেমস মাতিসকে তিনিই ‘ম্যাড ডগ’ উপনাম দিয়ে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছিলেন।

এদিকে, টুইটারের ‘মোমেন্টস’ সেকশনে প্রকাশিত ওই আর্টিকেলে বলা হয়েছে ট্রাম্পের প্রথম প্রতিরক্ষা সচিব জেনারেল জেমস মাতিস নিজেই তার পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। আর তার উপনাম ট্রাম্পের শাসনামলের আগ থেকেই প্রচলিত ছিল।

বিজ্ঞাপন

সেখানে বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস, মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন, দ্য ন্যাশনাল রিভিউ, দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট এবং দ্য ডিসপ্যাচের কয়েকটি সূত্র ব্যবহার করে টুইটারের মোমেন্টস টিম জানিয়েছে – সিরিয়া থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছিলেন জেনারেল জেমস মাতিস। এবং তার ‘ম্যাড ডগ’ উপনামটি ২০০৪ সালে দেওয়া হয়েছিল।

এমন এক সময়ে টুইটাররের এই আর্টিকেলটি প্রকাশিত হলো যার কিছুদিন আগেই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোর ওপর রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় নির্বাহী আদেশ জারি করে যুক্তরাষ্ট্রের যোগাযোগ শালীনতা আইনে সংশোধনী আনা হয়েছে। ট্রাম্পের একাধিক টুইটার বার্তায় ‘ফ্যাক্ট চেক’ লেবেল সেঁটে দেওয়ার পর, এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

 আরও পড়ুন – সোশ্যাল মিডিয়ার বিরুদ্ধে ‘কঠোর পদক্ষেপ’ নিচ্ছেন ট্রাম্প

অন্যদিকে, টুইটার সিইও জ্যাক ডোর্সে এই ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগের অপর এক প্লাটফর্ম ফেসবুকের দুর্দশা দেখে আনন্দঘন দিন কাটাচ্ছেন। ট্রাম্পের ‘মিথ্যা’ বক্তব্যের ব্যাপারে টুইটার তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবহারকারীদের জানিয়ে দিলেও ট্রাম্পের সঙ্গে মুখোমুখি অবস্থানে যেতে চান না ফেসবুক প্রধান মার্ক জুকারবার্গ।

বিজ্ঞাপন

ইতোমধ্যেই, ফেসবুকের নীতিনির্ধারনী পর্যায়ের প্রায় ৪০ জন কর্মী মার্ক জুকারবার্গের কাছে এক খোলা চিঠিতে জানিয়েছেন – ট্রাম্পকে অনৈতিক সুবিধা দিয়ে ফেসবুকের আদর্শের সঙ্গে তিনি বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।

প্রসঙ্গত, এই প্রথমবার যে ট্রাম্প টুইটারে ‘মিথ্যা’ বলেছেন এমনটা নয়। ২০১৯ সালের মার্চে তিনি পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিনপিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতার নাম নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করেছিলেন এবং ২০২০ সালের এপ্রিলে তিনি মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে বলেছিলেন – প্রেসিডেন্ট চাইলে লকডাউন তুলে নিয়ে অঙ্গরাজ্যগুলো পুনরায় চালু করার ব্যাপারে স্থানীয় সরকারকে বাধ্য করতে পারেন।

সারাবাংলা/একেএম

Tags: , , , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন