বিজ্ঞাপন

‘স্বাধীনতার জন্য জাতিকে তৈরির লক্ষ্যেই বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা ঘোষণা’

June 7, 2020 | 4:47 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘স্বাধীনতার জন্য জাতির মনন তৈরির লক্ষ্যেই ছয় দফা ঘোষণা করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।’

বিজ্ঞাপন

রোববার (৭ জুন) ছয় দফা দিবস উপলক্ষে সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দিবসটি উপলক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজ ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস। ১৯৬৬ সালের এই দিনে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ছয় দফা প্রস্তাব পেশ করেছিলেন। প্রকৃতপক্ষে যার লক্ষ্য ছিল ধাপে ধাপে যাতে জাতি স্বাধীনতার দিকে যায়, সেজন্য জাতির মনন তৈরি।’

এই ৬ দফার পক্ষে বাংলাদেশ তথা তৎকালীন পূর্ব বাংলার মানুষ অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছেন এবং ছয় দফার ভিত্তিতেই ১৯৭০ সালে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল; উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এদেশের মানুষের নিরঙ্কুশ সমর্থনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয় লাভ করেছিলেন। কয়েকটি বাদে পূর্ব বাংলার প্রায় সব কটি আসনেই তিনি জয়লাভ করেছিলেন।’

বিজ্ঞাপন

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৫৩তম জন্মদিনে ১৯৭২ সালে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রখ্যাত রাজনীতিক কমরেড মনি সিংহের বক্তব্য উদ্ধৃত করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘১৯৫১ সালেই বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরিকল্পনা করেছিলেন। সেসময়ই বঙ্গবন্ধু তার চিঠিতে মনি সিংহকে লিখেছিলেন যে, তিনি স্বাধীনতার পরিকল্পনা করছেন। এতে তার সমর্থন আছে কি না, তাও জানতে চেয়েছিলেন।’

ইতিহাসের দিকে তাকিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বহু আগে, পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই বঙ্গবন্ধু উপলব্ধি করেছিলেন যে, আসলে এই পাকিস্তানের মধ্যে বাঙালিদের অধিকার প্রতিষ্ঠা সম্ভবপর নয়, বাঙালিরা সবসময় নিষ্পেষিত হবে, নির্যাতিত হবে। সেজন্য বহু আগেই তিনি স্বাধীনতার পরিকল্পনা করেছিলেন। নানা আন্দোলন, সংগ্রাম পরিকল্পনার ধারাবাহিকতায় ১৯৬৬ সালে ছয় দফা ঘোষণা করেছিলেন জাতির মনন তৈরি করার লক্ষ্যে, স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে।’

একই সঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসময় আক্ষেপ করে বলেন, ‘তবে স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর পরও এটি দুঃখজনক যে, একটি রাজনৈতিক দল বিএনপি তারা এখনো স্বাধীনতাবিরোধীদের পৃষ্ঠপোষকতা করেন, তাদের দলের মধ্যেও বহু স্বাধীনতাবিরোধী আছে। এবং এখনো স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষের শক্তি নিয়ে আমাদের কথা বলতে হয়। স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর পর এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এনআর/এমআই

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন