বিজ্ঞাপন

জীবন ও জীবিকায় অগ্রাধিকার দিয়ে বাজেট হবে গণমুখী: কাদের

June 10, 2020 | 4:52 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে জীবন ও জীবিকাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে গণমুখী ও কল্যাণমুখী বাজেট জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় সবার সঙ্গে আলোচনা করে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সিদ্ধান্ত নেন। বাজেট প্রণয়নের আগেও দীর্ঘ সময় নিয়ে অংশীজনদের মতামত ও পরামর্শ নিয়েছেন। অর্থনীতিবিদ ছাড়াও অভিজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে গবেষণা ও পার্টির ইশতেহারের সঙ্গে সমন্বয় করে বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন- হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা ২০ কিলোমিটার মেট্রোরেল চুক্তি সই

বুধবার (১০ ‍জুন) ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট এমআরটি লাইন-৫-এর (মেট্রোরেল) নর্দান রুটের চুক্তি সই অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়েছে তিনি এসব কথা বলেন। সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন তিনি।

বিজ্ঞাপন

বাজেট প্রণয়নে কারও পরামর্শ নেওয়া হয় না— বিএনপি মহাসচিবের এমন মন্তব্যকে ‘সত্যের অপলাপ’ বলে অভিহিত করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, অংশীজনদের মতামত ও পরামর্শ নিয়েই বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। জীবন ও জীবিকাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে গণমুখী ও কল্যাণমুখী একটি বাজেট আগামীকাল (বৃহস্পতিবার, ১১ জুন) জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হবে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় যেসব এলাকায় লকডাউন ঘোষণা করা হবে, সেসব এলাকার মানুষদের ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলায় আহ্বান জানান সরকারের এই সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই সিদ্ধান্ত আপনার-আমার আমাদের সবার কল্যাণে নেওয়া হয়েছে। আর যেসব এলাকা লকডাউনের আওতামুক্ত, এসব এলাকার বাসিন্দারাও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন। কারণ স্বাস্থ্যবিধি না মানলে যদি পরিস্থিতির অবনতি ঘটে এবং করোনা সংক্রমণের ‘সেকেন্ড ওয়েভ’ শুরু হয়, তাহলে সরকার সারাদেশের জন্য কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে।

‘তাই প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। পরিস্থিতির আরও অবনতি না ঘটিয়ে আসুন, আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যে পরামর্শ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে নির্দেশনা, সেটা অক্ষরে অক্ষরে পালন করি। এই সময় কেটে যাবে আমাদের সকলের সমন্বিত প্রয়াসে। আমরা করোনা সংকট থেকে মুক্তি পাব— এই প্রত্যাশা করি,’— বলেন ওবায়দুল কাদের।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে হেমায়েতপুর থেকে গাবতলী-মিরপুর-১০-কচুক্ষেত-বনানী-গুলশান-২ হয়ে ভাটারা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ মেট্রোরেল রুটের বিস্তারিত নকশা প্রণয়ন ও নির্মাণকাজ তদারকির জন্য পরামর্শক নিয়োগের চুক্তি করা হয়। ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ রুটে সাড়ে ১৩ কিলোমিটার পাতাল ও সাড়ে ছয় কিলোমিটার হবে উড়াল।

সারাবাংলা/এনআর/টিআর

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন