বিজ্ঞাপন

‘ডিজিটালাইজড হচ্ছে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ড’

June 10, 2020 | 5:12 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ড ডিজিটালাইজড করার কথা জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। এছাড়া তিনি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির অবৈধ কার্ড বাতিলে কর্মকর্তাদের শক্ত পদক্ষেপও নিতে বলেছেন।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১০ জুন) মন্ত্রীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবন থেকে চট্টগ্রাম বিভাগের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় সরকারি গুদামের মজুদ বাড়াতে ধান চাল ক্রয়ে গতি বাড়াতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘কৃষক বোরোতে এবার বাম্পার ফলন ও ন্যায্য দাম পাচ্ছে। ধান চাল ক্রয়ে সরকারি সংগ্রহের গতি বাড়াতে হবে। এছাড়া নির্দেশনা অনুযায়ী খাদ্যশস্যের মান যাচাই করে সংগ্রহ করতে হবে।’ ধান-চাল কেনায় কেউ অনিয়ম করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ারও হুশিয়ারী দেন তিনি।

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘এ কর্মসূচির আওতায় সুবিধাভোগীদের তালিকা নিয়ে কিছু অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তাই প্রতিটি জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে চিঠি দেওয়া হয়েছিল অতি দ্রুত যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত গরীব ও দুস্থদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে নতুন করে তালিকা পাঠাতে।’

বিজ্ঞাপন

এজন্য যেকোনো প্রকার হুমকি-ধমকিকে ভয় না করে স্বজনপ্রীতির ঊর্ধ্বে থেকে প্রকৃত গরিব ও দুঃস্থদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে তালিকা প্রস্তুত করার নির্দেশ দেন। প্রয়োজনে প্রতিটি উপজেলায় অতীতে তালিকা তৈরি করার সময়ে যে ট্যাগ অফিসার ছিলেন তাদেরকে সরিয়ে নতুন করে কোনো ট্যাগ অফিসারকে দায়িত্ব দিয়ে হালনাগাদ করে নতুন তালিকা প্রণয়ন করার নির্দেশ দেন। মন্ত্রী বলেন, ‘এ দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে প্রয়োজনে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ড ডিজিটালাইজড করা হবে।’

ভিডিও কনফারেন্সে চট্টগ্রাম বিভাগের আওতাধীন প্রতিটি জেলার করোনা মোকাবিলা পরিস্থিতি, চলতি বোরো ধান কাটা-মাড়াই, সরকারিভাবে ধান চাল সংগ্রহসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন মন্ত্রী।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মার্চ-এপ্রিল ও সেপ্টেম্বর-অক্টোবর এবং নভেম্বর এই পাঁচ মাস খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ৫০ লাখ পরিবারকে প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল প্রতি কেজি ১০ টাকা দরে প্রদান করা হয়। কিন্তু এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় মে মাসেও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় চাল দেওয়া হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

এবারের প্রকিউরমেন্ট যেন কৃষকবান্ধব প্রকিউরমেন্ট হয়, চালের মান নিয়ে কোনো আপস নেই জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘লটারি করার পর নির্বাচিত কৃষকের তালিকা যেন ইউনিয়ন পরিষদ অফিসের তথ্যকেন্দ্রে এবং উপজেলা খাদ্য অফিসে দৃশ্যমানভাবে টানানো হয়। নির্বাচিত কৃষক ধান দিতে না পারলে সঙ্গে সঙ্গে তালিকায় অপেক্ষমান কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করার নির্দেশ দেন তিনি। পাশাপাশি কোনো কৃষক যেন তার স্লিপ মধ্যস্বত্বভোগী ফড়িয়াদের নিকট বিক্রি না করেন এজন্য মন্ত্রী সাবধান করে দেন।

সভায় উপস্থিত জেলা প্রশাসকেরা এবং জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকগণসহ মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ আশ্বস্ত করে বলেন নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই টার্গেটকৃত ধান-চাল সংগ্রহ করা সম্ভব হবে।

সারাবাংলা/জেআর/এমআই

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন