বিজ্ঞাপন

খালেদার চিকিৎসায় মেডিকেল টিম পাঠানোর দাবি

March 5, 2018 | 4:33 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ঢাকা:খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য কারাগারে বিশেষজ্ঞ মেডিকেল টিম পাঠানোর দাবি জানিয়েছেন সচেতন চিকিৎসক সমাজ।

সোমবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘সচেতন চিকিৎসক সমাজ’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সংগঠনটির নেতারা।

অর্থপেডিক বিশেষজ্ঞ ও বিএমএর সাবেক সহসভাপতি অধ্যাপক রফিকুল কবির লাবু সংবাদ সম্মেলনে বলেন, জাতি খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন। তার স্বাস্থ্যগত সমস্যাগুলোর সমাধান দরকার। সরকারের উচিৎ হবে তাড়াতাড়ি কারাগারে বিশেষজ্ঞ একটি মেডিকেল টিম পাঠিয়ে খালেদা জিয়ার শরীরের সার্বিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়া।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘২০ বছর ধরে ডায়াবেটিসে ভুগছেন খালেদা জিয়া। কারাগারের পরিবেশ আর সরকারের নির্যাতনে তার রক্তের শর্করা কমে বা বেড়ে যেতে পারে। এ বিষয়গুলোর সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন হয়। অথচ কারাগারের পরিবেশ তার এ বিষয়গুলো সার্বিকভাবে দেখা সম্ভব নয়। এ ছাড়া তার উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে। একাকীত্বের কারণে যে কোনো সময় একিউট (চরম) হৃদরোগে আক্রন্ত হতে পারেন। তার চোখেও সমস্যা আছে। চোখের পরিচর্যা প্রয়োজন। এতো সমস্যায় আক্রান্ত খালেদা জিয়ার জন্য জরুরী ভিত্তিতে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।’

রফিকুল কবির আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে বক্ষব্যাধিতে আক্রান্ত। তার শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা আছে। তাকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে পরিত্যক্ত জরাজীর্ণ ভবনে রাখা হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থার যে কোনো সময় অবনতি ঘটতে পারে।’

সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর কোনো সমস্যা হলে তার জন্য একমাত্র সরকারই দায়ী থাকবে বলেও হুঁশিয়ার করেন রফিকুল করিব।

বিজ্ঞাপন

সাংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশে মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাবেক সভাপতি ও সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক অধ্যক্ষ ডা. এ কে এম আজিজুল হক, উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কিডনি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আব্দুস সালাম, এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ সহযোগী অধ্যাপক ডা. শহীদুল আলম, ড্যাবের সহসভাপতি অধ্যাপক ডা. শহীদ হাসান, অধ্যাপক ডা. মোস্তাক আহমেদ, ডা. হারুন-উর রশিদ, ডা. মো. শহিদুল আলম ও ডা. গাজী আব্দুল হক।

সারাবাংলা/আইএ/এমআই

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন