বিজ্ঞাপন

অনলাইনে থিয়েটার ফ্যাক্টরি’র ‘আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে’ উৎসব

June 14, 2020 | 5:14 pm

আশীষ সেনগুপ্ত

থিয়েটার ফ্যাক্টরি দেশের নাট্যাঙ্গনের একটি নবীন নাট্যসংগঠন। এখনও তিন বছর পার করেনি। অথচ এই স্বল্পসময়ে তাদের কার্যক্রম দিয়ে নাট্যামোদী মহলে সবার দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম হয়েছে। থিয়েটার ফ্যাক্টরি তাদের প্রথম মঞ্চ প্রযোজনা ‘আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে’ নাটক প্রযোজনা করে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়। নাটকটি ২০১৯ সালের ২৫ জুলাই মঞ্চে আসার সাথে সাথেই বছরের অন্যতম সেরা প্রযোজনা হিসেবে নাট্যজন, নাট্যসমালোচক ও পত্রপত্রিকার প্রশংসা অর্জন করতে থাকে।

বিজ্ঞাপন

করোনার কারণে লকডাউনের আগেই খুব অল্প সময়ের মাঝে দেশে ও দেশের বাইরে নাটকটির ১৫ টি সফল প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। মোহন রাকেশের মূল থেকে নাটকটি অনুবাদ করেন অংশুমান ভৌমিক। নির্দেশনার দায়িত্বে ছিলেন অলোক বসু।এবছর ৭ মার্চ থিয়েটার ফ্যাক্টরি দর্শকদের সামনে নিয়ে আসে তাদের প্রথম পথনাটক ‘তালিকা’। কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে বাংলাদেশ পথনাটক উৎসবের সমাপনী দিনে প্রদর্শিত ‘তালিকা’ নাটকটিও সকলের মনোযোগ কাড়তে সক্ষম হয়।

‘থিয়েটার ফ্যাক্টরি’র সব কর্মকাণ্ডে থাকে অভিনবত্ব। এবার তারা আয়োজন করেছে অনলাইনে ২ দিনের ‘আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে’ উৎসব। আগামী ১লা আষাঢ় (১৫ জুন) সোমবার ও ২রা আষাঢ় (১৬ জুন) মঙ্গলবার রাত ৯ টায় অনুষ্ঠিতব্য ২ দিনের এ ‘আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে’ আমন্ত্রিত শিল্পী ও বক্তা হিসেবে অংশ নেবেন দেশবরেণ্য আবৃত্তি শিল্পী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়, রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী বুলবুল ইসলাম, মহাদেব ঘোষ, নজরুলসঙ্গীতশিল্পী শারমিন সাথী ইসলাম, বিজন মিস্ত্রী, নাট্যজন অংশুমান ভৌমিক ও মাসুম রেজা। এছাড়া ‘আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে’ নাটক থেকে সংলাপ শোনাবেন রামিজ রাজু, সঞ্জিতা শারমিন, শামসুন নাহার, আর কে এমন মোহসেন, সুরভী রায়, হাসানুজ্জামান, মিশাল সমাপ্ত প্রমুখ অভিনয়শিল্পীবৃন্দ।

বিজ্ঞাপন

অনলাইন ‘আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে’ উৎসবটির আয়োজন সম্পর্কে থিয়েটার ফ্যাক্টরির প্রধান কারিগর অলোক বসু সারাবাংলা’কে জানালেন, ‘আসলে এ পরিকল্পনাটা আমাদের একবছর আগের। হল সংকট ও অন্যান্য কারণে চিন্তাভাবনা থাকা সত্ত্বেও গত বছর আষাঢের প্রথমদিন আমরা নাটকটি মঞ্চে আনতে পারিনি। উদ্বোধনী শো হয় শ্রাবণ মাসের মাঝামাঝি সময়ে। তখনই আমরা ঠিক করেছিলাম এ বছর পহেলা আষাঢ় ও পরেরদিন মিলে দুদিনের এক উৎসব আয়োজন করবো। সন্ধ্যায় নাটকের প্রদর্শনী হবে আর বিকেল থেকে গান-আবৃত্তি হবে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে সেটা আর সম্ভব হচ্ছে না। তাই আমরা উৎসবটিকে একটু অন্যভাবে সাজিয়েছি। বর্তমান বাস্তবতায় আমরা অনলাইনে উৎসবটি করতে যাচ্ছি’।

অলোক বসু আরো জানালেন, ‘পারফর্মিং আর্টসে দর্শকদের উপস্থিতিটা অন্যতম প্রধান শর্ত। আমরা আজ তার থেকে দূরে থাকতে বাধ্য হচ্ছি। কী আর করা, দৈ-এর স্বাদ এখন ঘোলেই মিটাতে হচ্ছে। আমরা আশাবাদী হয়তো নতুন করেও আমরা কিছু মানুষ পাবো যারা আমাদের আয়োজনে আমাদের সাথে থাকবে। হয়তো তারা নাটকটি দেখতে পাবে না কিন্তু নাটকটি সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পাবে। সেটাইবা এ মুহূর্তে কম কিসে? তাছাড়া স্বনামধন্য শিল্পীদের গান, আবৃত্তি ও কথা শোনার সু্যোগ মিলবে’।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এএসজি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন