বিজ্ঞাপন

শিল্পীদের অবসাদ থেকে মুক্ত হতেই এই আড্ডাঃ শর্মিলা বন্দ্যোপাধ্যায়

June 15, 2020 | 12:37 pm

আশীষ সেনগুপ্ত

করোনার ভয়াল গ্রাসে একে একে বন্ধ হয়ে গেছে সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রতিটি ক্ষেত্র। চলমান বৈশ্বিক সংকটের এই অবরুদ্ধ দিনে ভালো নেই আমাদের শিল্পীরাও। প্রায় তিন মাস হতে সাংস্কৃতিক অঙ্গন স্থবির। শিল্পেই যাদের জীবন চলে তারা আজ কর্ম হারিয়ে দিশেহারা। নতুন অনুষ্ঠান নেই। নেই কোন ঘরোয়া আসর। এমন এক কঠিন পরিস্থিতিতে মানসিক অবসাদে ভুগছেন অনেকেই। এই অবসাদ থেকে মুক্ত হতেই ‘গাছ গ্রীন হ্যান্ডস’ আয়োজন করেছে মনোবিশ্লেষণমুলক আলোচনা- ‘লকডাউনে সোশ্যাল মিডিয়ায় শিল্পচর্চা ও তার ভবিষ্যৎ’। আজ (সোমবার) তাদের পেইজে দুই বাংলার নৃত্য, সংগীত ও নাট্যকলার তিন জন বিশিষ্ট জনের সঙ্গে এই আড্ডায় থাকবেন একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও একজন উদ্যোক্তা।

বিজ্ঞাপন

‘লকডাউনে সোশ্যাল মিডিয়ায় শিল্পচর্চা ও তার ভবিষ্যৎ’ নিয়ে আড্ডায় নৃত্য নিয়ে কথা বলবেন বাংলাদেশের নৃত্যাঙ্গনের প্রথিতযশা নৃত্যশিল্পী ও নৃত্য শিক্ষক শর্মিলা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই আয়োজন ও তার সাম্প্রতিক কর্মকান্ড নিয়ে কথা বললেন সারাবাংলা’র সঙ্গে_ ‘করোনাকালিন এই সময়টাতে অনেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছে। এই অবসাদ থেকে মুক্তির একমাত্র পথ পছন্দের কাজে ডুবে থাকা। যে কাজটার প্রতি ভালোবাসা আছে সেটাতে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখে নিজের চর্চাটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। যেমন মঞ্চে বা অনুষ্ঠানে নাচ করেও নাচ নিয়ে থাকা যায়’।

শর্মিলা বন্দ্যোপাধ্যায় তার সাম্প্রতিক কর্মকান্ড নিয়ে বললেন, ‘অনেকেই এখন নাচের অনলাইন ক্লাস শুরু করছে, কিন্তু আমি সেটা করোনাকালিন লকডাউন শুরু হওয়ার সাথে সাথেই শুরু করে দিয়েছি। তার প্রধান কারণ ছিল আমার শিক্ষার্থীরা। আমরা বড়রা মানসিক ভাবে অনেক শক্ত। মনটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। কিন্তু শিক্ষার্থীদের অনেকেই বয়সে নবীন বা শিশু। আবার অনেকেই তরুন। তাদের মনের জোর কম। এই অবস্থায় তারা মনের দিক থেকে ভেঙ্গে পড়ছে, অবসাদে ভুগছে। তাই তাদেরকে ব্যস্ত রাখতেই আমি একেবারে শুরু থেকেই অনলাইনে ক্লাস চালু করে দিয়েছিলাম। পাশাপাশি আমি নতুন একটা প্রযোজনার পরিকল্পনা করেছি- যেটার প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ অনেকটা শেষ করেছি’।

বিজ্ঞাপন

আড্ডা প্রসঙ্গে তিনি বললেন, ‘ইতিমধ্যে ভারতীয় দূতাবাসের ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টার থেকে আয়োজিত অনলাইনে রবীন্দ্র নৃত্য শেখানোর ক্লাসটা শেষ করেছি। এটা করতে গিয়ে আমাকে আবার প্রচুর পড়াশুনা করতে হয়েছে। কারন একজন রবীন্দ্রনাথকে সহজ ভাবে শিক্ষার্থীদের কাছে তুলে ধরার কাজটা কিন্তু সহজ নয়। এভাবে একটার পর একটা কাজ আমি করে যাচ্ছি এই লকডাউনের বন্দীদশায়। যাতে নাচের লোকজন নাচেই সম্পৃক্ত থাকে। আমার লকডাউনে করা যাবতীয় কাজ নিয়েই কথা শুনতে ওপার বাংলার ‘গাছ গ্রীন হ্যান্ডস’ থেকে আমাকে আহ্বান জানালো তাদের আড্ডায় অংশ নিতে। আমারও মনে হল যে, আমার কাজ গুলো সবাইকে জানানো দরকার, যাতে তারাও কাজে উৎসাহ পায়। তাই এই আড্ডায় অংশ নিচ্ছি’।

‘লকডাউনে সোশ্যাল মিডিয়ায় শিল্পচর্চা ও তার ভবিষ্যৎ’ নিয়ে আড্ডায় সবাইকে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে শর্মিলা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘এই আড্ডাটার একটা বিশেষ দিক হচ্ছে- এটা একটা মনোবিশ্লেষণমুলক আলোচনা। বলা যায় একেবারে মনের উপর। এখানে একজন মনোবিশ্লেষকও থাকবেন। যিনি এই সময়টাতে শিল্পীদের মনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কথা বলবেন। আমার মনে হয় আই মুহূর্তে এটার খুব প্রয়োজন। আমার নিজেরও অনেক কিছু জানা হবে। আমাদের এভাবে আরো কতদিন থাকতে হবে, সেটা তো আমরা জানিনা। তাই আমি মনে করি এই আড্ডাটাতে সবারই অংশ নেয়া দরকার’।

‘লকডাউনে সোশ্যাল মিডিয়ায় শিল্পচর্চা ও তার ভবিষ্যৎ’ নিয়ে আড্ডায় শর্মিলা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ আরো থাকবেন অধ্যাপিকা ও নাট্য পরিচালক অনুরাধা কুন্ডা, অধ্যাপিকা ও সংগীতশিল্পী শ্রুতি গোস্বামী, উদ্যোক্তা উত্তরণ চৌধুরী ও সাইকোলজিস্ট দিব্যাঙ্গনা বিশ্বাস। সুদীপ রাহা’র সঞ্চালনায় এই আয়োজন প্রচারিত হবে আজ (সোমবার) ‘গাছ গ্রীন হ্যান্ডস’র পেইজে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায়।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এএসজি

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন