বিজ্ঞাপন

অবৈধ লাইটার জাহাজ সরিয়ে দিলো নৌপুলিশ, পদ্মাসেতুতে স্বস্তি

June 15, 2020 | 11:14 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ‘অবৈধভাবে’ পাথর খালাস করতে নিয়ে আসা জাহাজ পদ্মাসেতু প্রকল্পের সীমানা থেকে বের করে দিয়েছে নৌপুলিশ। এতে স্বস্তি ফিরেছে প্রকল্প এলাকায়। সোমবার (১৫ জুন) সকালে পদ্মাসেতু প্রকল্প এলাকায় নৌপুলিশ হজির হয়ে জাহাজগুলোকে সরিয়ে দিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

নৌপুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি আতিকুল ইসলাম জানান, ‘গতকাল (রোববার) প্রকল্প থেকে বিষয়টি অবহিত করা হয় আমাকে। পরে আমরা নৌপুলিশের পক্ষ থেকে জাহাজগুলোকে দ্রুত এলাকা ছেড়ে চলে যেতে নির্দেশ দেই। এরপর আজ (সোমবার) সকালে পদ্মানদীর সেতু এলাকা থেকে ভাই ভাই ট্রেডার্সের আনা সব জাহাজ বের করে দেওয়া হয়।’

আরও পড়ুন- পদ্মাসেতু এলাকায় জাহাজ নোঙর করে পাথর খালাস, প্রকল্পে অস্বস্তি

নৌপুলিশের ফরিদপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমিত চৌধুরী সারাবাংলাকে জানান, প্রকল্প থেকে আমাদের জানানো হয়েছিল, অবৈধ বেশকিছু জাহাজ প্রকল্পের ভেতরে ঢুকে বেসরকারি মাল খালাসের চেষ্টা করছে। তারা বিভিন্ন এলাকা থেকে ৪০০ শ্রমিককে নিয়ে এসেছে। এতে করে প্রকল্পের ভেতরে থাকা দেশি-বিদেশি শ্রমিক ও প্রকৌশলীদের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মাল লোড-আনলোডের অনুমতি না থাকায় আমরা জাহাজগুলোকে সরিয়ে নিতে বলেছিলাম। এরপর তারা আরও একরাত সময় নেয়। এরপর সকালে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এর আগে প্রকল্পের জায়গা দখল করে বাণিজ্যিক উদ্যেশ্যে মালামাল খালাসের জন্য জেটি গেড়েছিল বিভিন্ন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ‘ভাই ভাই ট্রেডার্স’ প্রকল্পের আইসোলোটেড পরিবেশ ভঙ্গ করে জবরদখলের মাধ্যমে দিয়ে পাথর খালাসের চেষ্টা চালায়। এরপর প্রকল্পের কাজ বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কায় শুরু থেকে সরিয়ে নিতে বলা হলেও ‘জোরজবরদস্তি’ অভিযোগ উঠে ভাই ভাই ট্রেডার্সের বিরুদ্ধে। এমনকি তারা বিভিন্ন ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামও ব্যবহার করে পদ্মাসেতু প্রকল্প এলাকা ব্যবহার করতে চায়। তাদের সেই চেষ্টা রুখে দেন পদ্মাসেতুর প্রকল্প কর্মকর্তারা।

জাহাজ মালিক সূত্র জানায়, ভাই ভাই ট্রেডার্স পদ্মাসেতুর বড় সাপ্লাইয়ার পরিচয় দিয়ে তাদের জাহাজে মাল তুলে এখানে আনলোড করার কথা বলে। কিন্তু এখানে জাহাজ আনার পর দেখা যায়, তাদের কোনো অনুমোদন নেই। মাল আনলোড করা পর্যন্ত কাজ জাহাজ কোম্পানির ছিল। কিন্তু যে জায়গায় আনলোড করা হবে, সেটি ঠিক করার দায়িত্ব ছিল সরবরাহকারীর। এখন জাহাজ খালি না করায় ক্ষতির মুখে পড়ছেন জাহাজ মালিক।

এর আগে, জাহাজগুলো সেতু এলাকায় নোঙর করে মাল খালাস করার চেষ্টা করলে প্রকল্পের কাজের পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশকে অবহিত করেছিল সেতু কৃর্তপক্ষ। এরপরও নানা ‘তদবির’ ও ‘জোরজবরদস্তি’ করে পাথার খালাসের চেষ্টা চালায় ভাই ভাই ট্রেডার্স। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ফাস্ট ট্র্যাক মেগা প্রকল্পে বহিরাগতহদের এমন জোরজবস্তিতে অস্বস্তি দেখা দিয়েছিল প্রকল্পে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছিলেন জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী। তারা জানান, প্রকল্প এলাকায় জাহাজ সমাবেশ ঘটিয়ে মাল লোড-আনলোডের কোনো অনুমোদন দেখাতে পারেনি ‘ভাই ভাই ট্রেডার্স’।

বিজ্ঞাপন

প্রকল্প সূত্র জানায়, সম্প্রতি প্রকল্পের ভেতরে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করে ‘ভাই ভাই ট্রেডার্স’ ১৬টি লাইটার জাহাজ নোঙর করে। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করে বহিরাগত লোক জড়ো করে প্রকল্পের ‘আইসোলেটেড’ পরিবেশ বিঘ্ন ঘটানো হচ্ছিল। বিষয়টি প্রথমে প্রকল্প থেকে সেতু কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। পরে সেতু কর্তৃপক্ষ বিষয়টি পুলিশ-প্রশাসনকে জানায়।

সারাবাংলা/এসএ/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন