বিজ্ঞাপন

ধর্ষণ মামলার আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত, ৩ পুলিশ সদস্য আহত

June 16, 2020 | 3:10 am

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

নোয়াখালী: নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ছাতারপাইয়া পূর্ব বাজারে সোনাকান্দি এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মিজানুর রহমান (৪০) নামে একজন নিহত হয়েছেন। একদিন আগের এক শিশু শ্রমিককে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ছিলেন তিনি। তাকে নিয়ে তার সহযোগীদের গ্রেফতারে গেলে এ ‘বন্দুকযুদ্ধে’র ঘটনা ঘটে।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (১৩ জুন) রাতে সোনাকান্দি এলাকার কানা শহীদের আস্তানায় বেকারির শিশু শ্রমিককে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। রাতেই বেকারির মালিক থানায় অভিযোগ করলে রোববার (১৪ জুন) বিকেলে গ্রেফতার করা হয় মিজানুরকে। তাকে নিয়ে সোমবার (১৫ জুন) ভোরে অভিযান চালানো হয় তার সহযোগীদের আস্তানায়।

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযানে মিজানুরের সহযোগীরা গুলি করলে ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি, ২ রাউন্ড গুলি ও একটি ছোরা উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহত মিজানের বাড়ি পাশের সোনাইমুড়ি উপজেলার সোনাইমুড়ি পৌরসভার নাওতলা গ্রামে। তার বাবা আলা উদ্দিন। আহত তিন পুলিশ সদস্য হলেন— পিপল দেব, রসুল মীর ও পিয়াস সরকার।

বিজ্ঞাপন

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল বাতেন মৃধা বলেন, রোববার বিকেলে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি মিজানুরকে গ্রেফতার করা হয়। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সোমবার ভোরে তাকে নিয়ে তার সহযোগীদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালায়। পুলিশ সোনাকান্দি এলাকায় পৌঁছালে মিজানুরের সহযোগীরা তাকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর অতর্কিত গুলি ছোঁড়ে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুঁড়লে মিজানের সহযোগীরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মিজানুর রহমানকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি আরও বলেন, এসময় তিন পুলিশ সদস্য পিপল দেব, রসুল মীর ও পিয়াস সরকার আহত হন। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি, ২ রাউন্ড গুলি ও একটি ছোরা উদ্ধার করে। মিজানুরের লাশ নোয়খালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/টিআর

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন