বিজ্ঞাপন

‘হ্যাঁ-না ভোটের মাধ্যমে জিয়াউর রহমানে ভোট ডাকাতির কথা সবাই জানে’

June 16, 2020 | 6:32 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দেশে গণতন্ত্র নেই বলে বিএনপি নেতারা বারবার অভিযোগ করলেও বিএনপির মুখে গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না বলে মন্তব্য করেছন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে হ্যাঁ-না ভোটের মাধ্যমে ৯৯ শতাংশ ভোট ডাকাতির কথা দেশবাসী জানে। সামরিক শাসনতন্ত্রের মোড়কে ১৯৭৯ সালের গণতান্ত্রিক নির্বাচন দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে। সেই ইতিহাস এখনো বই-পুস্তক ও জাতীয় স্মৃতিতে উজ্বল। সেই বিএনপি’র মুখে আর যাই হোক, গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না।

মঙ্গলবার (১৬ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এসব কথা বলেন। করোনাভাইরাসের এই সংকটের মধ্যে বিএনপি জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে গণমাধ্যমকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

দলের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনাভাইরাসের আগ্রাসী তাণ্ডবে সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশও অবর্ণনীয় সংকটে রয়েছে। জীবনের পাশাপাশি জীবিকা ও স্বাস্থ্যঝুঁকি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। করোনার ফলে সৃষ্ট সংকট সময়ে সাংবাদিক বন্ধুরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করে চলেছেন। প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে সংবাদকর্মীরা সম্মুখযুদ্ধ হিসেবে অগ্রগণ্য। অধিকাংশ গণমাধ্যমকর্মী দায়িত্বশীলতার সঙ্গে ইতিবাচকভাবে কাজ করে চলেছেন। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দায়িত্বশীল এসব সাংবাদিক বন্ধুদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

বিজ্ঞাপন

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণমাধ্যম সত্য প্রচারে শঙ্কিত। আমরা বলতে চাই, গণমাধ্যম হলো চলমান সমাজের দর্পণ। তারা সত্য প্রচারে নির্ভীক। বরং বিএনপি’র সৃষ্ট গুজব প্রচারে অনীহা রয়েছে তাদের। দেশবাসী লক্ষ করেছে, গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বিভিন্ন আন্দোলনে সরকারবিরোধী প্রচারণায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সব ক্ষেত্রে বিএনপি কিভাবে গুজব ছড়িয়েছে, রাজনৈতিক ফায়দা লোটার অপচেষ্টা চালিয়েছে এবং গুজবভিত্তিক রাজনীতির বৈধতা দিয়েছে।

কাদের বলেন, সেই করোনা সংকটের এই সময় জনগণের পাশে না দাঁড়ানো বিএনপি মিডিয়াবাজির রাজনীতিতে ভাটা পড়ায় তারা গণমাধ্যমকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীররা নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে বাক্যলাপে বীরত্ব প্রদর্শন করছেন।

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, স্বাধীনতার পরপর সদ্য স্বাধীন দেশে দেশবিরোধী নানা অপতৎপরতা শুরু হয়। দেশের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে বিদেশের টাকায় রাতারাতি সংবাদপত্র প্রকাশ করে জাতীয় বিভাজন ও সাম্প্রদায়িকতা আর বীজ বপন করা হয়। সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প থেকে জাতিকে রক্ষা করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বলীয়ান হয়ে সমতাভিত্তিক সমাজ নির্মাণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গণতন্ত্র প্রত্যয়টির চেয়ে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির ওপর জোর দিয়েছিলেন। তিনি জানতেন গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির কায়েম না হলে গণতন্ত্র টেকসই হবে না। বাকশাল ছিল সেই গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার অভিযাত্রা এবং বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান নিজেই বাকশালের কার্যকারী সদস্য ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, বাকশাল কোনো একদলীয় ব্যবস্থা ছিল না। এটি ছিল সব শ্রেণিপেশার সমন্বয়ে একটি জাতীয় দল। মির্জা ফখরুল ইসলাম মন্তব্য করেছেন, বাকশাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে চারটি পত্রিকা ছাড়া সব সংবাদপত্র বন্ধ করে দেওয়া হয়। তার জ্ঞাতার্থে জানাতে চাই, বঙ্গবন্ধু সরকারের সময় দৈনিক, সাপ্তাহিক ও অন্যান্য মিলে ১২৬টির মতো সংবাদপত্র প্রকাশিত হতো। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংবাদপত্রের জগতে বস্তুনিষ্ঠতা ও দায়বদ্ধতা প্রতিষ্ঠার জন্য সাংবাদিকদের মাধ্যমে গঠিত কমিটির সুপারিশে একটি কাঠামো দাঁড় করিয়েছিলেন মাত্র।

এই করোনা সংকট জয়ের লক্ষ্যে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।

ফাইল ছবি

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এনআর/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন