বিজ্ঞাপন

বেক্সিমকোর সহায়তায় আইভারমেকটিন নিয়ে গবেষণা করছে আইসিডিডিআরবি

June 17, 2020 | 9:40 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) আক্রান্তদের চিকিৎসায় আইভারমেকটিন নিয়ে পরীক্ষামূলক গবেষণা শুরু করছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র (আইসিডিডিআর,বি)। এই গবেষণায় তাদের আর্থিকভাবে সহায়তা করছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। গবেষণায় রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে কোভিড-১৯ আক্রান্ত প্রাপ্তবয়স্কদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। গবেষণা শেষ হতে সময় লাগবে আনুমানিক দুই মাস।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১৭ জুন) আইসিডিডিআর,বি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আইসিডিডিআর,বি-র আন্ত্রিক ও শ্বাস-প্রশ্বাস রোগের জ্যেষ্ঠ চিকিৎসা বিজ্ঞানী এবং ড. ওয়াসিফ আলী খান এই গবেষণায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

ড. ওয়াসিফ আলী খান বলেন, চলমান মহামারি পরিস্থিতিতে সার্স-কোভ-২-এর বিরুদ্ধে কার্যকর একটি অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ খুঁজে বের করা প্রয়োজন। দুর্ভাগ্যবশত, আমাদের কাছে কোভিড-১৯-এর চিকিৎসা করার মতো কোনো ওষুধ নেই এবং এ ধরনের ওষুধ আবিষ্কার হতে কয়েক দশক লেগে যেতে পারে। তাই আমাদের এমন ওষুধ খুঁজে বের করতে হবে যা বাজারে সহজলভ্য, যার ওপর যথেষ্টভাবে গবেষণা করা হয়েছে, যার পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া কম এবং যা জীবন বাঁচাতে সক্ষম।

গবেষণায় সহায়তা বিষয়ে বেক্সিমকো ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন বলেন, বাংলাদেশে কোভিড-১৯ রোগীদের মধ্যে আইভারমেকটিনের প্রথম র‍্যান্ডমাইজড, সুপরিকল্পিত ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে সহায়তা করতে পেরে আমরা আনন্দিত। এই গবেষণাসহ অন্যান্য দেশে চলমান গবেষণার ফলাফল ইতিবাচক হলে কোভিড-১৯ মহামারির জন্য আইভারমেকটিন একটি অত্যন্ত সাশ্রয়ী মূল্যের সহজপ্রাপ্য সমাধান হিসেবে ভূমিকা পালন করতে পারে।

বিজ্ঞাপন

আইসিডিডিআর,বি’র নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক জন ডি ক্লেমেন্স বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, নতুন করোনাভাইরাস সংক্রমণে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় আইভারমেকটিন কতটা নিরাপদ ও কার্যকর, তা জানার লক্ষ্যে আমাদের এই প্রচেষ্টায় সহায়তা করার জন্য আমি বেক্সিমকো ফার্মাকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বাংলাদেশসহ নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে এই মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য একটি সাশ্রয়ী মূল্যের ও সহজে ব্যবহারযোগ্য চিকিৎসা পদ্ধতি খুঁজে বের করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসায় ওষুধ সন্ধানের অংশ হিসেবে আইভারমেকটিনের ব্যবহার নিয়ে অনেক ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। বেশিরভাগ মানুষের জন্য সাশ্রয়ী এই ওষুধটি নিরাপদ। তবে কারও কারও মধ্যে কিছু পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াও দেখা দিতে পারে। এজন্য রোগীদের শারীরিক, ক্লিনিক্যাল ও গবেষণাগারে পরীক্ষার মাধ্যমে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। হাসপাতাল থেকে ছাড়ার ছয় সপ্তাহ পর ফের পর্যবেক্ষণ করা হবে। গবেষণায় অংশ নেওয়া সব রোগী তাদের শারীরিক অবস্থা অনুযায়ীও প্রচলিত কোভিড-১৯ চিকিৎসা সেবা পাবেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত একটি প্যানেল এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে যুক্ত আছেন। কোভিড-১৯ পরীক্ষায় নিশ্চিতভাবে আক্রান্ত ৪০ থেকে ৬৫ বছর বয়সী আগ্রহী রোগীদের এই গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। যারা মৃদু অসুস্থ এবং সাত দিনের কম সময় ধরে অসুস্থতায় ভুগছেন, এমন রোগীদের এই গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

বিজ্ঞাপন

আইসিডিডিআর,বি জানিয়েছে, আইভারমেকটিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) অনুমোদনপ্রাপ্ত একটি ওষুধ, যা ১৯৮০ সাল থেকে পরজীবীজনিত সংক্রমণ প্রশমনে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তবে এর আগে গবেষণাগারে অনেক ধরনের ভাইরাসনাশক হিসেবেও এটি কাজ করেছে।

এই গবেষণায় কোভিড-১৯-এর চিকিৎসায় নিয়োজিত ঢাকার চারটি হাসপাতালের ৭২ জন রোগীকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। গবেষণাটি কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ও মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সঙ্গে শুরু হয়েছে। বাকি হাসপাতালগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে।

সারাবাংলা/এসবি/টিআর

Tags: , , , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন