বিজ্ঞাপন

ঘ্রাণশক্তি চলে যাওয়া ও ডায়রিয়া- যুক্ত হল করোনার লক্ষণে

June 18, 2020 | 12:14 pm

লাইফস্টাইল ডেস্ক

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় করোনাভাইরাস সংক্রমণের কিছু নতুন লক্ষণ প্রকাশ করেছে। জ্বর ও কাশি তো ছিলই এখন যুক্ত হয়েছে ঘ্রাণশক্তি চলে যাওয়া, খাবারেরর স্বাদ না পাওয়া ও ডায়রিয়ার মত লক্ষণ। এছাড়াও মাংস পেশির ব্যাথা, নাক বদ্ধতা, থুতু আসা, অত্যন্ত ক্লান্তি, গলাব্যাথা ও নিঃশ্বাসে কষ্ট ইত্যাদি করোনার সংক্রমণের লক্ষণ। এর আগে যুক্তরাজ্যে প্রথম এই দুই লক্ষণ করোনাভাইরাসের উপসর্গ তালিকায় যোগ করা হয়।

বিজ্ঞাপন

তবে এটাও বলা হচ্ছে সাধারণ ফ্লু হলেও সাধারণত ঘ্রাণ ও স্বাদ নেওয়ার ক্ষমতা চলে যায়। তবে চিকিৎসকদের মতে, যেহেতু করোনা আক্রান্ত অনেক রোগীই ঘ্রাণ ও স্বাদ চলে যাওয়ার অভিযোগ করছেন, তাই একে করোনা সংক্রমণের প্রাথমিক উপসর্গ ধরে দ্রুত শনাক্ত ও চিকিৎসা শুরু করা যায়।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ সিডিসি কোভিড-১৯ এর ৬ টি নতুন উপসর্গ প্রকাশ করে। হঠাত শীত লাগা, হঠাত কাঁপুনিসহ শীত লাগা, পেশি ব্যাথা, মাথাব্যাথা, গলাব্যথা এবং ঘ্রাণ ও স্বাদ নেওয়ার ক্ষমতা লোপ পাওয়া। এছাড়াও তারা কোভিড-১৯ এর জরুরি সতর্কতার লক্ষ্মণ হিসেবে নিঃশ্বাসে কষ্ট, বুকে টানা ব্যাথা বা চাপ অনুভব করা, যৌন উত্তেজনা তৈরি না হওয়া ও মুখ ও ঠোঁটে নীলচে ভাব আসা ইত্যাদিকে যুক্ত করে।

শনিবার (১৩ জুন) প্রকাশিত ভারতের সংশোধিত “ক্লিনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট প্রোটোকলে’ আরও বলা হয়, বয়স্ক ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল এমন রোগীদের ক্ষেত্রে আগের যত লক্ষণ অর্থাৎ- প্রচণ্ড ক্লান্তি, চলাচল করতে না পারা, সতর্কতা কমে যাওয়া, ডায়রিয়া, ক্ষুধামান্দ্য, প্রলাপ করা, ও জ্বরের অনুপস্থতি রয়েছে। ভারতের যংযুক্ত স্বাস্থ্য তথ্য কার্যক্রম ও সংযুক্ত রোগ পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম জুনের ১১ তারিখ কোভিড-১৯ রোগীর উপসর্গ সংক্রান্ত যে ডেটা প্রকাশ করেছে তা অনুযায়ী- জ্বর (২৭ শতাংশ), কফ (২১ শতাংশ), গলা ব্যাথা (১০ শতাংশ), নিঃশ্বাসে কষ্ট (৮ শতাংশ), দুর্বলতা (৭ শতাংশ), সর্দি (৩ শতাংশ) ও অন্যান্য ২৪ শতাংশ।

বিজ্ঞাপন

এসব লক্ষণ ও উপসর্গ প্রকাশের পাশাপাশি তারা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছে। কারণ, করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যাক্তির ফুসফুস থেকে উৎপন্ন ড্রপলেট থেকে ছড়াতে পারে যা কফ, হাঁচি-কাশি ও কথা বলার মাধ্যমে মুখ থেকে বের হতে পারে। এমনকি এই ড্রপলেট কোথাও পড়লে সেখানেও জীবাণু দীর্ঘক্ষণ টিকে থাকতে পারে। তাই কোন সারফেস থেকে মানুষের হাতে করোনাভাইরাস আসলে এবং সেই হাত দিয়ে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করলে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি সারাদিনে কয়েকবার হাত ধোয়া ও চোখে মুখ হাত দেওয়ে থেকে বিরত থাকতে হবে।

সারাবাংলা/আরএফ

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন