বিজ্ঞাপন

জনসভা করে ভোট চাওয়া সংবিধান পরিপন্থী : আমির খসরু

March 6, 2018 | 12:19 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম ব্যুরো: জনসভা করে প্রধানমন্ত্রীর নৌকায় ভোট চাওয়া সংবিধান পরিপন্থী বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া জেলে থাকলেও বিএনপির প্রধানমন্ত্রীর জনসভার চেয়ে কয়েকগুণ বড় জনসভা করার ক্ষমতা আছে।

মঙ্গলবার (৬ মার্চ) চট্টগ্রাম নগর বিএনপির দলীয় কার্যালয় কাজির দেউড়ির নাসিমন ভবনের সামনে কেন্দ্রঘোষিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এই কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

আমির খসরু বলেন, অনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী সারাদেশ ঘুরে জনসভা করছেন। নৌকা মার্কায় ভোট চাচ্ছেন। এক বছর আগে ভোট খোঁজার কারণ কি? কারণ প্রধামন্ত্রী বুঝতে পেরেছেন উনার পায়ের নিচে মাটি নেই। প্রধানমন্ত্রী বুঝতে পেরেছেন আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণভাবে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শুধু ভোট চাচ্ছেন না, জনগণকে শপথও করাচ্ছেন। জনসভা থেকে জনগণকে শপথ করানো সংবিধান আইন এবং নৈতিকতার পরিপন্থী। জনগণের উপর আস্থা হারিয়ে তাদের শপথ পড়িয়ে ভোট পাবার চেষ্টা করছেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, আমরা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে চাই। প্রধানমন্ত্রী খুলনায় জনসভা করেছেন। আমরাও ১০ মার্চ খুলনায় জনসভা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সার্কিট হাউজ ময়দান চেয়েছি। সেখানে প্রধানমন্ত্রী জনসভা করলেও আমাদের অনুমতি দিচ্ছে না। হাদিস পার্ক চেয়েছি। সেখানেও গড়িমসি করছে। ঢাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে চেয়েছি। সেখানেও অনুমতি দিচ্ছে না।

বিজ্ঞাপন

আমির খসরু বলেন, আমাদের যদি অনুমতি দেওয়া হয়, তাহলে বেগম খালেদা জিয়া জেলে থাকলেও আমরা বিএনপির সিনিয়র নেতারা প্রধানমন্ত্রীর চেয়ে কয়েকগুণ বড় জনসভা করতে পারব।

সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো ক্ষমতা দখলের প্রক্রিয়া চালাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছেন আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, দেশের জনগণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আগামী নির্বাচনে তারা আওয়ামী লীগের নৌকাকে ডুবিয়ে দেবে।

মানববন্ধনে নগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, অবৈধ সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে বেশিদিন কারাগারে আটকে রাখতে পারবে না। আমরা আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ধীরে ধীরে কঠোর থেকে কঠোরতর করব। বেগম জিয়াকে সরকার মুক্তি দিতে বাধ্য হবে।

নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে নেওয়ার পর আওয়ামী লীগ চেয়েছিল আমরা যেন হরতাল-অবরোধ করি। আমাদের কর্মসূচিতে ২০১৪ সালের মতো আওয়ামী লীগ সহিংসতা করে বিএনপির নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে নিতে চেয়েছিল। আমরা সরকারের ষড়যন্ত্রে পা দিইনি। আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি অব্যাহত রাখব এবং ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো আরেকটি নির্বাচন সরকারকে করতে দেব না।

বিজ্ঞাপন

নগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, নগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন লিপু, নগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন দীপ্তি, নগর মহিলা দলের সভানেত্রী মনোয়ারা বেগম মনি ও সাধারণ সম্পাদক জেলি চৌধুরী এবং নগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু।

সারাবাংলা/আরডি/ এমএইচ

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন