বিজ্ঞাপন

ডিজিটালাইজড হলো শিক্ষাবৃত্তি কার্যক্রম, টাকা চলে যাবে মোবাইলে

June 22, 2020 | 8:09 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সকল বৃত্তি কার্যক্রম ডিজিটালাইজড করা হয়েছে। এখন থেকে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে বৃত্তির টাকা সরাসরি শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের মোবাইল নম্বরে পৌঁছে যাবে। ফলে তারা দ্রুত সময়েই টাকা পেয়ে যাবে। এতে করে বাঁচবে সরকারের বাড়তি অর্থ ও সময়।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২২ জুন) এক ভার্চুয়াল বৈঠকে ২০১৯-২০ অর্থবছরের (জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত) উপবৃত্তির টাকা বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

এ সময় তিনি বলেন, ‘আগে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে বৃত্তি দেওয়া হতো। এতে শিক্ষার্থীদের টাকা পেতে অনেক ঝামেলা হতো। এখন তথ্যপ্রযুক্তি আমাদের সে ঝামেলা দূর করে দিয়েছে। এখন ডিজিটালাইজড হলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে সকল বৃত্তি কার্যক্রম।’

জানা যায়, প্রতি অর্থবছরে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে এক লাখ ৮৭ হাজার ৩৮৪ জনকে ১৮৭ কোটি টাকার বৃত্তি দেওয়া হয়। বৃত্তি পাওয়া অন্যান্য শিক্ষার্থীদের বরাদ্দকৃত অর্থ পর্যায়ক্রমে অনলাইনে পাঠানো হবে। অনলাইনে বৃত্তি দেওয়ার এ সেবা মুজিববর্ষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উৎসর্গ করা হয়েছে বলেও ওই ভার্চুয়াল বৈঠকে জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

ভাচুয়াল অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর আইসিটিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনায় ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে যে অগ্রগতি সাধিত হয়েছে, তার ফল স্বরূপ আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের কাছে জিটুপি পদ্ধতিতে বৃত্তির অর্থ পৌঁছে দিতে পারছি।’

শিক্ষার্থী নির্বাচন করার পরে তাদের আবেদন দাখিল করতে হবে। এরপর প্রতিষ্ঠান প্রধান অনুমোদন দিয়ে তার তালিকা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে পাঠাবে। সেখানে অনুমোদন হওয়ার পর যাবে ইউএসইও‘র অনুমোদনের জন্য। তারপর স্কিম পরিচালকের কাছে দাখিল ও অনুমোদনের পর সেটার বিল মন্ত্রণালয়ের হিসাবরক্ষণ অফিস থেকে পাস করাতে হবে। বিল পাসের পর শিক্ষার্থীদের বৃত্তির টাকা বিতরণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠাতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংশ্লিষ্ঠ মোবাইল সার্ভিস প্রোভাইডারদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের টাকা তাদের অভিভাবকদের মোবাইলে পৌঁছে দেবে। আর এই পুরো কাজটি হবে অনলাইনে।

উল্লেখ্য, আজ ৪৯২টি উপজেলার প্রায় ২৭ হজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৯ লাখ ৯২ হাজার ৭৮০ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ৩২৮ কোটি ১৪ লাখ ১ হাজার ৯০০ টাকা জিটুপি পদ্ধতিতে (বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে উপবৃত্তি অর্থ সরাসরি প্রত্যেক শিক্ষার্থীর নির্ধারিত মোবাইল অ্যাকাউন্টে পৌঁছে দেওয়া) পাঠানো হয়েছে। ২৪ জুন শিক্ষার্থীদের মোবাইল নম্বরে তাদের উপবৃত্তির টাকা পৌঁছে যাবে।

বিজ্ঞাপন

একই সময়ে শিক্ষামন্ত্রী জিটুপি পদ্ধতিতে ২০১৯ সালের পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৃত্তিপ্রাপ্ত ৮৩ হাজার ৯৬৪ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ১৭ কোটি ৩২ লাখ ৭৬ হাজার ৩৮৫ টাকা প্রদানের কার্যক্রমেরও উদ্বোধন করেন।

ভার্চুয়াল এই অনুষ্ঠানে আরও যুক্ত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম

Tags: , , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন