বিজ্ঞাপন

চবি’র অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের বাসা ভাড়া সংকট নিরসনের দাবি

June 24, 2020 | 5:40 pm

চবি করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: করোনা সংকটের এই সময়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের বাসা ভাড়া সংকট নিরসনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ দাবি করেছে চবি শাখা পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২৪ জুন) দুপুরে তথ্য প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ম্যাকলিন চাকমার সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও করোনাভাইরাস মহামারি চলছে। করোনা সংক্রমণ রোধে মার্চ মাস থেকে সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সব কার্যক্রমও বন্ধ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী এটি পূর্ণাঙ্গ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হলেও চবি প্রশাসন সব শিক্ষার্থীর আবাসনের ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে তীব্র আবাসিক সংকটের কারণে হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে শহর ও ক্যাম্পাসের আশপাশের এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে হচ্ছে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করলেও মাসের পর মাস তাদের বাসা ভাড়া জমা হচ্ছে।

এদিকে, সরকার আগস্ট মাস পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়িয়েছে। এ অবস্থায় বাসা ভাড়াও আগস্ট মাস পর্যন্ত জমা হতে থাকবে। আবাসন সুবিধা থেকে বঞ্চিত এসব অধিকাংশ শিক্ষার্থী নিম্ন মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র পরিবারের হওয়ায় খাওয়া-পরা, বাসা ভাড়াসহ অন্যান্য খরচ মেটানোর জন্য আয়ের উৎস টিউশন ও খণ্ডকালীন চাকরি বর্তমানে পুরোপুরি বন্ধ থাকায় এই সংকট গভীর থেকে গভীরতর আকার ধারণ করছে।

বিজ্ঞাপন

পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ চবি শাখা সভাপতি আশুতোষ চাকমা ও সাধারণ সম্পাদক শ্রাবণ চাকমা যৌথ বিবৃতিতে বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক আদিবাসী শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছেন। অন্য শিক্ষার্থীদের মতো তাদেরও বেশিরভাগ আবাসিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত। অসচ্ছল হওয়ায় করোনার এই সময়ে বাসা ভাড়া নিয়ে আদিবাসী শিক্ষার্থীরা অসহায় হয়ে পড়েছে। আদিবাসী শিক্ষার্থীদের অনেক পরিবারেরই দীর্ঘ সময় ধরে জমতে থাকা এই বাসা ভাড়া দেওয়ার সামর্থ্য নেই।

তারা বলেন, এরই মধ্যে অনেক বাসা মালিক ভাড়া দেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের চাপ দিতে শুরু করেছেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হওয়ার তিন মাস অতিক্রান্ত হতে চললেও বাসা ভাড়া সংকট নিরসনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এ অবস্থায় ক্রমবর্ধমান এই সংকট নিরসনে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা জোর দাবি জানাচ্ছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের বাসা ভাড়া পরিশোধের দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বহন করতে হবে এবং এ সংকট নিরসনে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/সিসি/টিআর

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন