বিজ্ঞাপন

‘রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৩১ ভাগের করোনা সম্পর্কে ধারণা নেই’

June 25, 2020 | 7:29 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া জোরপুর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকরা (রোহিঙ্গা) ভয়াবহ করোনা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের জন্য এ ঝুঁকি বেশি। সেখানকার ৩১ ভাগ মানুষের মধ্যে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই। আর বেশিরভাগ মানুষ করোনা সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা পোষণ করেন। এই অবস্থায় তাদের ঝুঁকি কমাতে সচেতনতামূলক কার্যক্রম নেওয়া জরুরি।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) কেএনএইচ জার্মানির সহযোগিতায় সমাজ কল্যাণ ও উন্নয়ন সংস্থা (স্কাস) প্রকাশিত এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ‘মিট দ্যা প্রেস’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। জরিপ প্রতিবেদন তুলে ধরেন স্কাস চেয়ারম্যান জেসমিন প্রেমা।

মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে উত্থাপিত প্রতিবেদনে ৫ দফা সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ সম্পর্কে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যে যে ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে তা দূরীকরণে স্বাস্থ্য অধিদফতরের জোরালো ভূমিকা প্রয়োজন। কোভিড-১৯ বিষয়ক তথ্যপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে নারীরা পিছিয়ে থাকায় মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়সহ উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো কর্মসূচি নিতে পারে। ধর্মমন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মসজিদভিত্তিক কোভিড-১৯ বিষয়ক জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা যেতে পারে। সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান সাপেক্ষে ক্যাম্পভিত্তিক সব কার্যক্রমে এনজিও ব্যুরো’র মাধ্যমে কোভিড-১৯ সম্পর্কে সচেতনতামূলক কার্যক্রম নিশ্চিত করতে হবে। সর্বোপরি কোভিড-১৯ প্রতিরোধে তথ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমকে সর্বোচ্চ কাজে লাগানোর উদ্যোগ নিতে হবে।

‘কে এন এইচ জার্মানি’র কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর মারুফ রুমি মমতাজ বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করেছে করোনাভাইরাস। রোহিঙ্গা ক্যাম্প জনবহুল হওয়ায় সেখানে ঝুঁকি বেশি থাকবে এটাই স্বাভাবিক। এই ঝুঁকি মোকাবিলায় সচেতনতার বিকল্প নেই। সচেতনতা সৃষ্টিসহ জরিপ প্রতিবেদনের সুপারিশ বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সকলের কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।’

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যে ক্রমবর্ধমান করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি মোকাবিলায় কেএনএইচ জার্মানির সহযোসিতায় স্কাস কক্সবাজার জেলার উখিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্পে শিশু সুরক্ষা, মনোসামাজিক কাউন্সিলিং সেবা, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ ও কোভিড-১৯ এর ঝুঁকিতে থাকা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যে সুরক্ষা উপকরণ বিতরণের কাজ করছে। এই ধারাবাহিকতায় গত মে মাসে করোনাভাইরাস সম্পর্কে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ধারণা ও এ বিষয়ে বিদ্যমান সংকট কিভাবে উত্তরণ করা যায়, সে বিষয়ে এই জরিপ পরিচালনা করেছে। এছাড়া সরকারের সহযোগিতায় অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

মিট দ্যা প্রেসে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন ডিআরইউ সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ, ‘কেএনএইচ জার্মানি’র ন্যাশনাল কো-অডিনেটর মাটিলদা টিনা বৈদ্য, প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মনিরুজ্জামান মুকুল প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এএইচএইচ/পিটিএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন