বিজ্ঞাপন

রুদ্ধ দিনের গল্প | সারাবাংলা ফোকাস

June 28, 2020 | 3:33 am

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: করোনার সঙ্গে বর্তমানে পুরো পৃথিবী যুদ্ধ করছে। বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়। করোনার আগে আমরা পরিবারকে তেমন সময় না দিলেও এখন পুরো পরিবারকে সময় দেওয়া হচ্ছে। করোনার সময়কালেও বাসায় থেকে টুকটাক কাজ করা হচ্ছে। এছাড়া অনেক অভ্যাস বদলে গিয়েছে। আমাদের উচিত নিজেদের জীবনকে সুন্দর করে সাজানো। একই সঙ্গে পরিবারকে সময় দেওয়া।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (২৭জুন) বিকেলে ‘সারাবাংলা ফোকাস’ অনুষ্ঠানের ‘রুদ্ধ দিনের গল্প’ পর্বে প্যানেলিস্টরা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সারাবাংলা ডটনেটের প্রধান প্রতিবেদক এমএকে জিলানী। ‘রুদ্ধ দিনের গল্প’ নিয়ে হাজির ছিলেন – অভিনয় শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মী মুনিরা ইউসুফ মেমী, সাদিয়া শবনম শান্তু ও নীল হুরেজাহান।

আলোচনায় অভিনয় শিল্পী মুনিরা ইউসুফ মেমী বলেন, আমার সাংস্কৃতিক পরিবারে জন্ম। আমরা ১০ ভাই বোন। ছোট বেলা থেকেই বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। নৃত্যশিল্পী ছিলাম কিন্তু, হয়ে গেলাম অভিনয় শিল্পী।

তিনি বলেন, নিজের চেষ্টা না থাকলে কোনো কিছু করা যায় না। তবে আমার সফলতার পেছনে সবার অবদান আছে। এছাড়াও, আমার একটি সংগঠন আছে। যেখানে ৩৫টি সুবিধাবঞ্চিত পরিবার রয়েছে তাদের নিয়ে কাজ করছি। তাদের সাধ্যমতো সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি। তবে, করোনাকালে সেইভাবে তাদের পাশে থাকতে পারছি না। মোটের ওপর, করোনার সময় পরিবার নিয়ে ভাল সময় কাটছে।

বিজ্ঞাপন

মুনীরা ইউসুফ মেমী আরও বলেন, এই সময়ে আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা উচিত। সুস্থ থাকা আল্লাহর কাছে বড় নেয়ামত। আমাদের ধৈর্য্য ধরতে হবে। করোনায় মধ্যে আমি শুটিং করিনি। তবে সপ্তাহে একদিন বাইরে যাই। খোলা জায়গায় যাই। এই মহামারির সঙ্গে পৃথিবীর ধনী দেশগুলোও পেরে উঠছে না। বই পড়ে, মুভি দেখে সময় কাটছে। জীবন যাপনে আমার তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি।

পাশাপাশি, যোগাযোগের জায়গায় ইন্টারনেট বড় ভূমিকা পালন করছে। আমি যখন ঢাকায় আসি নাটক করতে। তখন বিভিন্নজনেরা বলেছে আমি ঢাকায় এসে নষ্ট হয়ে যাব। এরপর কলেজে আমার কোনো বন্ধু ছিলো না। যে বয়সে বন্ধু নিয়ে হৈ-হুল্লোড় করার কথা সে সময়টা আমি মাটি চাপা দিয়েছি। আমি পড়ালেখা, বাসা, থিয়েটার আর কোচিংয়ে সময় কাটিয়েছি। এমন সময় হতো দুপুরে না খেয়ে থেকেছি। তবে হাল ছাড়িনি। চেষ্টা করে গেছি – বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এদিকে ‘সারাবাংলা ফোকাসে’র এই পর্বে সংষ্কৃতিকর্মী সাদিয়া শবনম শান্তু বলেন, করোনার এই সময়টাকে আমি খুবই উপভোগ (এনজয়) করছি। শুনতে খারাপ লাগলেও আমি লকডাউন ‘এনজয়’ করছি। বিদেশের জীবন ঘড়ির কাটার মতো চলে। আবার যখন বিদেশে চলে যাবো তখন আবার ঘড়ির কাটার মতো জীবন হবে। এখন কাজের জন্য অনেকটা সময় পাচ্ছি।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, মাত্র চার বছর আমেরিকাতে থাকি। করোনা না থাকলে আমি মে মাসের ২৬ তারিখ আমেরিকা চলে যেতাম। আমি বসে থাকার লোক না। জীবন বহমান, চলবে। লকডাউনে কেউ কিন্তু বসে নেই। সবাই সবার কাজ করছে। যতোদিন আপনি বেঁচে আছেন ততোদিন আপনাকে কাজ করতেই হবে।

অন্যদিকে ‘রুদ্ধ দিনের গল্প’ আয়োজনে নীল হুরেজাহান বলেন, একদমই বাসার মধ্যে ঢুকে গেছি। সকালে বের হয়ে রাতে বাসায় ঢোকা ছিল করোনার আগের রুটিন। কিন্তু এখন সব শো না করে দিয়েছি। পুরোপুরি বাসায় বন্দি। প্রথম কিছুদিন বাসায় ভাল লেগেছিলো। কিন্তু লকডাউন কিছু দিন যাওয়ার পর আর নিতে পারছিলাম না।

তিনি বলেন, আমি ঘুরতে ভালোবাসি। আমার জন্ম ফেনীতে। আমার প্রথম কাজ রেডিওতে হলেও আমার সফলতার ক্ষেত্র মূলত টেলিভিশন। নাচ, আবৃত্তি করতাম। বিতার্কিকও ছিলাম। নিজের ইচ্ছাশক্তি থাকলেই সফল হওয়া যায়। আর আমরা যে ধরনের কাজ করি তা একা করার কাজ নয়। এর পেছনে অনেকের অবদান থাকে। সকলের সম্মলিত চেষ্টায় আমাদের সাফল্য আসে। আমার জীবনে সবসময় বাধা আসে। তবে সেদিকে আমি নজর দিই না।

প্রসঙ্গত, ‘সারাবাংলা ফোকাস’ সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সারাবাংলা ডট নেটের বিশেষ আয়োজন। আয়োজনটি প্রতি শনি, সোম ও বুধবার বিকেল চারটায় একযোগে সারাবাংলা’র ফেসবুক পেজ, ইউটিউব চ্যানেল ও গাজী স্যাটেলাইট টেলিভিশন – জিটিভিতে সরাসরি সম্প্রচারিত হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসজে/একেএম

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন