বিজ্ঞাপন

র‍্যাপিড টেস্টিং কিটের অনুমোদন দিচ্ছে সরকার

June 28, 2020 | 9:01 am

সৈকত ভৌমিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে র‌্যাপিড টেস্ট কিটের অনুমোদন দিতে যাচ্ছে সরকার। এরইমধ্যে এ বিষয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি কাজ করছে। সুনির্দিষ্ট নীতিমালা তৈরি করে সেরো সার্ভিলেন্স, প্লাজমা থেরাপি ও গবেষণার জন্য এই কিট ব্যবহার হতে পারে। এক্ষেত্রে কিটের ব্যবহারের জন্য মান নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি নিতে হবে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমতিপত্র।

বিজ্ঞাপন

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্ভরযোগ্য সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এ বিষয়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর নির্ভরযোগ্য সূত্র নাম প্রকাশ না করার সূত্রে সারাবাংলাকে বলেন, বিশেষজ্ঞরা বলছেন বাংলাদেশে র‍্যাপিড টেস্ট কিট এখন ব্যবহার করার সময় হচ্ছে। এই টেস্ট আমাদের দেশে কখন শুরু হবে সেটা কিন্তু একটা জাতীয় পরিকল্পনার অংশ। এটা ঠিক করবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তথা স্বাস্থ্য অধিদফতর। ওষুধ প্রশাসনের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। ওষুধ প্রশাসন এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত হবে যখন দেশের বাইরে থেকে এই কিট আনা হবে। তখন কিন্তু যে কেউ চাইলে যা খুশি তা আনতে পারবে না। তখন সেটার সেনসিভিটি কত হয়েছে, স্পেসিফিটি কত এগুলো বিবেচনা করা হবে। এছাড়াও এফডিএ’র জরুরি মুহূর্তে ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে কিনা এগুলো বিবেচনা করা হবে। অনুমোদন আছে এমন ভালো কিট নেওয়া হবে বাংলাদেশে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে এই বিষয়ে একটা কমিটিও হয়েছে। কমিটিতে যে বিশেষজ্ঞরা আছেন তারা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিবেন।

সূত্র জানায়, এই কমিটির মতামত নিয়েই নতুন যেকোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। এইক্ষেত্রে শুধু কিট না, ভ্যাকসিন সহ জরুরীভাবে ব্যবহার করা বা ক্লিনিকাল ট্রায়ালের জন্য ব্যবহার করা ওষুধ বিষয়েও কিন্তু এই কমিটির মতামত নিয়েই সিদ্ধান্ত হবে। এছাড়াও নতুন নতুন মাস্ক, পিপিই, ভেন্টিলেটরসহ নতুন নতুন ওষুধের বিষয়েও অনেক কিছু যা আমাদের দেশে তৈরি হচ্ছে সেগুলো নিয়েও মতামত দিবেন বিশেষজ্ঞ কমিটি।

বিজ্ঞাপন

সূত্র বলে, একটি ডায়াগনস্টিকের জন্য ও অপরটি সার্ভিলেন্সের জন্য দুই ধরনের র‍্যাপিড টেস্ট ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সুইজারল্যান্ডের রুশোর সেনসিভিটি হলো ৯৯ শতাংশ কিন্তু এটা ডায়াগনস্টিকের জন্য ভালো এমনটা বলা যায় না। এটাতে বলাই আছে যে সংক্রমণের ১৪ দিন পরে এটা ব্যবহার করা হতে পারে। অর্থাৎ ১৪ দিন পরে এই অ্যান্টিবডি কিটের ৯৯ শতাংশ সেনসিভিটি হবে। এটা যদি সপ্তম কিংবা দশম দিনে করা হয় তবে ভালো সেনসিভিটি পাওয়া যাবে না। অ্যান্টিবডি যদি বিল্ড না হয় তবে সেটা ভালো সেনসিভিটি কীভাবে দেবে? এ ক্ষেত্রে কারও কারও ১০ দিন আবার কারও কারও ক্ষেত্রে ১২ থেকে ১৪ দিনেও অ্যান্টিবডি বিল্ড হওয়া শুরু হয়। এ জন্যেই আসলে এটা ডায়াগনসিসের জন্য ব্যবহার করে লাভ নেই। এটি প্রয়োজন হবে সার্ভিলেন্সের জন্য, গবেষণার জন্য, প্লাজমা থেরাপির জন্য দরকার।

সূত্র জানায়, অ্যান্টিবডি টেস্টেও দুইরকম ভাগ আছে। একটা হচ্ছে যেটা এলাইজার মাধ্যমে ল্যাবরেটরিতে করতে হয়। এক্ষেত্রে আইজিএম আগে আসে, আইজিজি পরে আসে। আইজিএম দিয়ে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার এখন সংক্রমণ কেমন চলছে। এক্ষেত্রে আইজিএম কী পরিমান আছে সেটা বোঝা যায়। আবার সংক্রমণের ১৪ দিন পরে আইজিজি বোঝা যায়। এক্ষেত্রে বোঝা যায় আইজিজি মাত্রা কতো। এক্ষেত্রে বডি ইম্যুনিটি কেমন ডেভেলপ করেছে তা বলা যায়। শুধু পজিটিভ বা নেগেটিভে কিন্তু এগুলো নির্ণয় করা যায় না।

সূত্র আরও বলেন, আবার এই অ্যান্টিবডি টেস্টে দুই ধরনের বিষয় আছে। একটি হলো ল্যাবরেটরি বেইস, অপরটি হলো প্রেগনেন্সী টেস্টের মতো কিটের একটা বিষয়। রুশো যেটা অনুমোদন দিয়েছে সেটা কিন্তু ল্যাবরেটরি বেইস। এই ক্ষেত্রে সরকার এগুলোর অনুমোদনের বিষয়ে ভাবছে যা নিয়ে কাজ করছে বিশেষজ্ঞরা। খুব দ্রুতই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে বলে আশা করছি। এক্ষেত্রে কখন, কেনো ও কিভাবে ব্যবহার হবে এগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও গবেষণা) অধ্যাপক ডা. সানিয়া তহমিনা সারাবাংলাকে বলেন, সাধারণত র‍্যাপিড টেস্ট বলতে আমরা বোঝাই স্ট্রিপ টেস্ট। এই টেস্টের পারফরম্যান্স কেমন হবে সেটা বিবেচনায় রাখতে হয়। যে কোনো স্ট্রিপ টেস্টের বিষয়ে কিছু বিষয় থাকে। যেগুলো নিয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। এ জন্য কিছুটা সময় নিয়ে এটা অনুমোদনের বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করা হচ্ছে। আমরা যদি দেই তবে অ্যান্টিজেন টেস্টকে প্রাধান্য দিতে পারি।

তিনি বলেন, অ্যান্টিজেন টেস্ট হচ্ছে পিসিআর টেস্টের প্রায় কাছাকাছি একটা টেস্ট। যেটা একদম শতভাগ পিসিআরের মতো না কিন্তু একটু তাড়াতাড়ি হবে। সেটাও কিন্তু আবার ওই স্ট্রিপ টেস্ট না। ওটার জন্যেও একটা ছোট যন্ত্র লাগে। সারা পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত যতগুলো র‍্যাপিড কিট ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে সেগুলোর ক্ষেত্রে এই যন্ত্র লাগে। সুইডেন, যুক্তরাষ্ট্র সহ বেশ কিছু দেশে এই পদ্ধতিতে টেস্ট অনুমোদন পেয়েছে। সম্প্রতি ভারতেও এই টেস্টের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আরেকটি টেস্ট প্রক্রিয়া হলো এন্টিবডি টেস্ট। এটার বিষয়েও আমরা ভাবছি কারণ বাংলাদেশে এখন প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ হচ্ছে ক্লিনিকাল ট্রায়াল হিসেবে। এক্ষেত্রে কিছু প্রাসঙ্গিক বিষয়ে সহায়তার জন্য এই টেস্ট প্রয়োজন হতে পারে। তাই বলা যায় এগুলো নিয়ে সরকার চিন্তা ভাবনা করছে।

অধ্যাপক সানিয়া তহমিনা বলেন, এটা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা শেষেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সার্ভিলেন্সের ক্ষেত্রেও এটা ব্যবহার হতে পারে। এক্ষেত্রে আবার IgM ও IgG দুইটা বিষয়ে খেয়াল রাখতে হয়। এগুলোর ক্ষেত্রে আবার একটা সময়সীমা লাগে অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়ার জন্য। এর পরে এই কিটের কার্যকারিতা আসে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, এই টেস্ট অনুমোদনের বিষয়ে ভাবছে সরকার। সেক্ষেত্রে যেহেতু এটা নতুন এক ধরনের টেস্ট তাই অনেক কিছু নিয়েই ভাবা হচ্ছে। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কোয়ালিটি। কিটের সেনসিভিটি ও স্পেসিফিটি কত সে বিষয়ে অবশ্যই প্রাধাণ্য পাবে। এগুলো সব কিছু বিবেচনায় নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক সারাবাংলাকে বলেন, ‘এসব বিষয়ে আমাদের একটি জাতীয় কমিটি আছে। তারা এ বিষয়ে মতামত দিবেন। মতামত দিয়ে দিলে আমরা এটার বিষয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ে চিন্তাভাবনা করব।’

র‍্যাপিড টেস্ট বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া) সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের নমুনা পরীক্ষা এখনো আমরা কাঙিক্ষত মাত্রায় নিতে পারিনি যা সুখকর নয়, আশাব্যঞ্জকও নয়। আমাদের পাশের দেশে হচ্ছে ভারত। সেখানে প্রতি লাখে ৪৫৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পাকিস্তানে ৪৪৪টি ও শ্রীলঙ্কায় ৪২৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নেপালে প্রতি লাখে এক হাজার ৩০০ নমুনা পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। ভুটানে প্রতি লাখে দুই হাজার ৮০০ নমুনা পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। সেই তুলনায় বাংলাদেশে প্রতি লাখে ৩৪৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে বোঝা যায়, আমরা স্বাভাবিকভাবেই কম নমুনা পরীক্ষা করছি। পাশাপাশি আমরা যে নমুনা পরীক্ষা করছি তাতে শনাক্তের সংখ্যা ২০ থেকে ২৫ শতাংশ হচ্ছে। এই সংখ্যা কিন্তু প্রকৃত সংক্রমিত সংখ্যা নয়। অর্থাৎ আমরা যাদের নমুনা পরীক্ষা করছি তাদের মধ্যেই এই ফলাফল পাচ্ছি। এই সংক্রমণ দমনের মূল নীতি বা লক্ষ্য হলো নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে প্রকৃত লোকদের শনাক্ত করব। তাদেরকে আমরা চিকিৎসার জন্য আইসোলেশনে নেব। একই সঙ্গে যারা তাদের সংস্পর্শে এসেছে তাদের আমরা প্রাতিষ্টানিক ভাবে কোয়ারেনটাইনে নেব ১৪ দিনের জন্য। এই কাজ যদি করতে পারি তবে কিন্তু সংক্রমণের মাত্রা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু নমুনা পরীক্ষা যথেষ্ট না হওয়ার সেটা সম্ভব হচ্ছে না।’

তিন বলেন, ‘যে কোনো প্রকারে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে অ্যান্টিজেন ও অ্যান্টিবডি টেস্ট সারা দেশব্যাপী করতে হবে। এছাড়া বাংলাদেশে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণও সম্ভব নয়। সংক্রমণের মাত্রাও বোঝাও সম্ভব নয়।’

ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি ইতোমধ্যেই নীতিমালা তৈরি করেছে। সেই নীতিমালা মেনে ইউএসএফডিএ’র আমব্রেলা গাইডলাইন অন সেরোলজিক্যাল টেস্ট এবং আন্তর্জাতিক স্টান্ডার্ডের এর আলোকে র্যায়পিড অ্যান্টিবডি টেস্ট কিটের জন্য কমবাইন্ড (IgG+IgM) এর জন্য ন্যুনতম সেনসিভিটি ৯০ শতাংশ ও স্পেসিফিটি ৯৫ শতাংশ হতে হবে। এছাড়াও আলাদা আলাদাভাবে IgG এর ক্ষেত্রে ন্যুনতম ৯০ শতাংশ ও স্পেসিফিটি ৯৫ শতাংশ নির্ধারিত হবে। এলিসা মেথডের ক্ষেত্রে র‍্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট কিটের মতোই সেনসিভিটি ও স্পেসিফিটি নির্ধারিত হবে। তবে ডায়াগনস্টিক কিট হিসেবে নয়, শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট সময় পরে অ্যান্টিবডি শনাক্তকরণের জন্য র‍্যাপিড টেস্ট কিট অনুমোদন পেতে পারে। দেশের বিভিন্ন স্থানে সংক্রমণের মাত্রা বিবেচনা করে এবং প্লাজমা থেরাপির সহায়তার জন্যেও র‍্যাপিড টেস্ট কিট অনুমোদন পেতে পারে।

উল্লেখ্য, সিঙ্গাপুরে প্রথম র‍্যাপিড টেস্ট করা হয়। এর পরে দক্ষিণ কোরিয়াতেও র‍্যাপিড টেস্ট প্রয়োগ করা হয়। সেখানে সংক্রমণ সংখ্যা কমানোর জন্য ব্যাপকহারে জন পরীক্ষা করা হয়, তার মধ্যে ছিল সেরোলজিকাল টেস্টও।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তাঁরা সার্স ও মার্সের অভিজ্ঞতা থেকে দ্রুত ও সিদ্ধান্তমূলক অ্যাকশন নিয়েছেন। সারা পৃথিবীতেই এই টেস্ট ব্যাপক প্রশংসিত, দক্ষিণ কোরিয়ার সাফল্যের পিছনে হাসপাতাল পরিকাঠামোর সঙ্গে এই কিটকেও সাফল্যের ভাগ দেওয়া হচ্ছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অবশ্য র‍্যাপিড টেস্টিং নিয়ে সাবধানী পা ফেলেছে। ৮ এপ্রিল তাদের তরফ থেকে বলা হয়, এই টেস্টের সুপারিশ করবার আগে তা যেন যথাযথ জনসংখ্যা ও পরিস্থিতির মধ্যে যাচাই করে নেওয়া হয়। যথাযথ পরীক্ষা না হলে সংক্রমিতরা বাদ পড়ে যেতে পারেন বা অসংক্রমিতরা রোগী হিসেবে চিহ্নিত হতে পারেন, যার জেরে নিয়ন্ত্রণ প্রচেষ্টা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বর্তমানে সাম্প্রতিক প্রমাণাদির ওপর ভিত্তি করে, বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থার সুপারিশ এগুলি কেবলমাত্র গবেষণার কাজে ব্যবহার করা হোক। এগুলি ক্লিনিকাল সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে এই মুহূর্তে ব্যবহার করা উচিত নয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই বক্তব্যে ভাইরাস ও অ্যান্টিবডি চিহ্নিতকরণ, উভয় র‍্যাপিড টেস্টের সম্পর্কেই বলা হয়।

পৃথিবীতে অ্যান্টিজেন ডিটেক্ট করার জন্য মাত্র কয়েকটি নির্ভরযোগ্য কিট রয়েছে। আমেরিকায় ৯ মে আমেরিকান সংস্থা কুইডেলের অ্যান্টিজেন কিট সোফিয়া ২ সার্স অ্যান্টিজেন কিটের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ১৪ মে জাপান সরকার টোকিওর সংস্থা অ্যান্টিজেন টেস্ট কিট অনুমোদন করেছে। ভারতে এস ডি বায়োসেন্সর সংস্থার কিট আইসিএমআর এবং এইমসে পরীক্ষা করা হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ান এই অ্যান্টিজেন কিটের নমুনা পরীক্ষার রেজাল্টে দেখা গিয়েছে এই কিটের ৯৯.৩ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশ ক্ষেত্রে সঠিক নেগেটিভ ফল দিচ্ছে। পজিটিভের ক্ষেত্রে এর সাফল্য ৫০.৬ থেকে ৮৪ শতাংশ, যা ভাইরাল লোডের ওপর নির্ভরশীল।

সারাবাংলা/এসবি/একে

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন