বিজ্ঞাপন

ফিটনেস ধরে রাখা কঠিন হয়ে যাচ্ছে: নাঈম

June 29, 2020 | 1:56 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

মাঠে খেলা নেই তাই বাসায় জিম, বাসার সামনে খোলা জায়গার রানিং আর বোলিংয়ের মাধ্যমে নিজেকে ফিট রাখার প্রানান্ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন নাঈম হাসান। তিন মাস এভাবেই কেটেছে। কিন্তু আষাঢ় মাসের বৃষ্টিতে এখন আর রানিং, বোলিংয়ের জন্য বাইরে যেতে পারছেন না লাল সবুজের এই প্রতিশ্রুতিশীল অফস্পিনার। অগত্যা চার দেওয়ালের মাঝেই তাকে জিম ও অল্প স্বল্প রানিং চালিয়ে যেতে হচ্ছে। যা কিনা একজন পেশাদার ক্রিকেটারের ফিটনেস ধরে রাখতে পর্যাপ্ত নয় বলে মনে করেন অভিষেক টেস্টে ৫ উইকেট নিয়ে রেকর্ড বইয়ে নাম লেখানো দেশের সর্বকনিষ্ঠ এই অফ স্পিনার।

বিজ্ঞাপন

গেল মার্চে এদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলে প্রথম রাউন্ড শেষে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যায় ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ২০১৯-২০ মৌসুমের খেলা। নাঈম হাসানও ফিরে যান নিজ নগরী চট্টগ্রামে। সরকার ঘোষিত প্রথম লক ডাউনের সময় থেকে শুরু করে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ অবধি ফিটনেসের কাজ পুরো দমেই চালিয়ে গেছেন। কিন্তু আষাঢ়ের খেয়ালী বৃষ্টিতে এখন ফিটনেসের কাজ আর সেই গতিতে চলছে না। গতি শ্লথ হয়ে গেছে, ক্যালরি বার্ন হচ্ছে না ফলে শরীর মুটিয়ে যাচ্ছে। কাজেই নিজের ফিটনেস নিয়ে তাকে বেশ শঙ্কিত মনে হলো।

‘একটু কষ্ট হচ্ছে এই অর্থে যে ফিটনেস ধরে রাখা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। কারণ আমরা খেলা, রানিং ও জিমের মাধ্যমে অনেক ক্যালরি বার্ন করি। এখন শুধু জিম ও বাসার ভেতরে রানিং করা হচ্ছে।’

সোমবার (২৯ জুন) সারাবাংলার সঙ্গে একান্ত আলাপকালে তিনি একথা জানান।

বিজ্ঞাপন

ফিটনেসের পাশাপাশি আরো একটি ভাবনা নাঈমের আছে। সেটা হলো অর্থ ভাবনা। এই ভাবনাটি হত না যদি প্রিমিয়ার লিগ মাঠে গড়াত। কেননা চলতি বছরের শুরুতেই তিনি পরিকল্পনা করেছিলেন এবারের প্রিমিয়ার লিগ খেলে যে অর্থ আসবে তা নিজের ও পরিবারের বেশ কিছু প্রয়োজনে ব্যয় করবেন। কিন্তু অতি ক্ষুদ্রকায় এক অণুজীব তার সেই পরিকল্পনায় পানি ঢেলে দিল। মাঠে লিগ নেই। এদিকে বর্ষাকাল শুরু হয়ে গেছে। তাছাড়া এই মৌসুমের খেলা আদৌ গড়াবে কিনা তা নিয়েও আছে ঘোর শঙ্কা। নিরুপায় হয়ে এখন তাকে শুধুই বিসিবি থেকে প্রাপ্ত মাসিক বেতনের দিকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে। বলে রাখা ভালো চলতি বছরে বিসিবি’র কেন্দ্রীয় চুক্তিতে রুকি কোটায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন নাঈম।

ভাগ্যিস তিনি চুক্তিতে এসেছিলেন। কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকায় বিসিবি থেকে মাসিক বেতন পাচ্ছেন বলেই মহমারিকালে অর্থভাবনা তাকে গ্রাস করতে পারেনি। সেই অর্থে নিজেকে ভাগ্যবানই মনে করছেন চট্টলার এই সন্তান। আর যাই হোক মাস শেষে কর্মস্থল থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ তো পাচ্ছেন। কিন্তু যখন অন্যদের কথা মনে হয়, যাদের রুটি রুজির একমাত্র উৎস এই প্রিমিয়ার লিগ, তখন আবার হৃদয়ের গহীন কোণে ব্যথা অনুভব করেন।

‘এবছর করোনার কারণে কোনো পরিকল্পনাই বাস্তবায়িত হলো না। ভেবেছিলাম প্রিমিয়ার লিগ খেলে যে টাকা পাব সেটা দিয়ে অনেক কিছু করব। যদিও আমি বিসিবি থেকে মাসের বেতন পাই। সেটা পাচ্ছি বলেই ঠিক আছি। আল্লাহর কাছে হাজার শুকরিয়া যে আমরা তাও মাসে মাসে বেতন পাচ্ছি। কিন্তু যারা শুধুই প্রিমিয়ার লিগ খেলে অর্থ উপার্জন করে তাদের কথা একবার ভাবুন। তারা অনেক কষ্ট করছে।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এমআরএফ/এসএস

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন