বিজ্ঞাপন

৪ জুলাই থেকে ২১ দিনের জন্য লকডাউন ওয়ারী

June 30, 2020 | 6:43 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে রাজধানীর ওয়ারী এলাকার ‘রেড জোন’ চিহ্নিত এলাকাগুলোতে আগামী ৪ জুলাই থেকে লকডাউন কার্যকর করা হবে। পরবর্তী ২১ দিনের জন্য ওই এলাকা থাকবে লকডাউনের আওতায়।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (৩০ জুন) বিকেলে লকডাউন কার্যকরে কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক শেষে এ ঘোষণা দেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নুর তাপস। ৪ জুলাই থেকে ২১ দিন স্থানীয় সরকারের এসওপি অনুযায়ী এই এলাকা লকডাউনের আওতায় থাকবে।

আরও পড়ুন- ওয়ারীর ৮ এলাকা লকডাউন করতে দক্ষিণ সিটিকে নির্দেশ

এর আগে, স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনার পর সোমবার (২৯ জুন) দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে চিঠি দেয় স্থানীয় সরকার বিভাগ। দক্ষিণ সিটির ওয়ারীর আটটি এলাকাকে ‘রেড জোন’ চিহ্নিত করা হয়েছে উল্লেখ করে এলাকাগুলোকে লকডাউন করতে বলা হয় চিঠিতে।

বিজ্ঞাপন

মেয়র তাপস বলেন, গতকাল (সোমবার) আমরা স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে লকডাউন কার্যকরে চিঠি পেয়েছি। চিঠি পাওয়ার পরপরই আমরা কাজ শুরু করি, প্রস্তুতি নিতে শুরু করি। লকডাউনের আওতায় থাকা এলকাগুলো হলো— ওয়ারীর ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের টিপু সুলতান রোড, র‍্যাংকিন স্ট্রিট, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক (জয়কালী মন্দির থেকে বলধা গার্ডেন), জাহাঙ্গীর রোড, নওয়াব রোড, হরে রোড ও ওয়ারী রোড।

লকডাউন কার্যকর করতে দক্ষিণ সিটির সভায় উপস্থিত ছিলেন ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা, ঢাকা মহানগর পুলিশ, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, আইইডিসিআর, স্বাস্থ্য অধিদফতর, এটুআই, ই-ক্যাবসহ সংশ্লিষ্ট সব বিভাগ, সংস্থা ও সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

মেয়র তাপস বলেন, সবার সঙ্গে আলোচনা করে লকডাউন চূড়ান্তভাবে কার্যকরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। লকডাউন এলাকায় আমরা সীমিত যাতায়াতের জন্য দুইটি রোড চালু রাখব। আর সব সড়ক বন্ধ থাকবে। ওষুধ ও জরুরি জিনিসপত্রের দোকান ছাড়া বাকি সব বন্ধ থাকবে। দৈনন্দিন দ্রব্য ই-ক্যাবের সহায়তা নিয়ে পৌঁছে দেওয়া হবে। সার্বক্ষণিক চিকিৎসা সেবা দিতে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ও সিটি করপোরেশন থেকে ব্যবস্থা থাকবে। সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে, আগামী তিন দিন আরও প্রস্তুতি নেওয়া হবে। এ সময়ে স্থানীয়রাও তাদের মতো কিছু প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে পারেন।

বিজ্ঞাপন

লকডাউনের মেয়াদে চলাচলের জন্য কোন দুইটি সড়ক খোলা থাকবে, সেটি এখনও নির্ধারিত হয়নি বলে জানান মেয়র। লকডাউন সময়ে ডিএসসিসির মহানগর জেনারেল হাসপাতালকে আইসোলেশন সেন্টারে পরিণত করা হবে বলেও জানান তিনি।

পূর্ব রাজাবাজারের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ওয়ারির লকডাউন সফল করতেও আশাবাদী বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান তাপস। বর্তমানে ওয়ারীর রেড জোনগুলোতে ৪৬ জন করোনা আক্রান্ত আছেন বলেও জানান তিনি।

সারাবাংলা/এসএইচ/টিআর

Tags: , , , , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন