বিজ্ঞাপন

একদিনের খাবারে বরাদ্দ ৫০০ টাকা, ২০ কোটির তথ্য ভিত্তিহীন: ডিএমসি

July 1, 2020 | 3:28 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: একমাসে দুইশ জন চিকিৎসকের খাবারের খরচ ২০ কোটি টাকা বলে যে তথ্য প্রচার করা হয়েছে, তা ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, কেবল দুইশ চিকিৎসকের খাবার নয়, চিকিৎসক ও নার্সসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী এবং হাসপাতালের অন্য সব স্টাফের দুই মাসের থাকা, খাওয়া ও যাতায়াতের মোট বিল দেখানো হয়েছে ২০ কোটি টাকা।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন এসব তথ্য তুলে ধরেন। এর আগে, মঙ্গলবার (৩০ জুন) কয়েকটি গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে একই কথা জানিয়েছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন- ২০ কোটি টাকার হিসাব মিথ্যা: ঢামেক পরিচালক

সংবাদ সম্মেলনে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালকের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক  ডা. মজিবুর রহমান, অধ্যাপক ডা. বিল্লাল আলম, অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর, উপপরিচালক ডা. আলাউদ্দিন আল আজাদ ও সহকারী পরিচালক ডা. আশরাফুন নাহারসহ অন্যরা।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেন, গত ২ মে হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে কোভিড-১৯ রোগী ভর্তির কার্যক্রম শুরু হয়। তখন থেকেই স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনা অনুযায়ী হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সসহ সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোয়ারেনটাইনে রাখতে কিছু আবাসিক হোটেল ভাড়া নেওয়া হয়। তখন থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত সব স্টাফের থাকা-খাওয়া ও পরিবহন খরচসহ সব খরচ দেখানো হয়েছে এই ২০ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন- ডাক্তারদের থাকা-খাওয়ায় দুর্নীতি হয়নি: সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রী

হাসপাতালের পরিচালক বলেন, জুনের প্রথম দিক হোটেল বাজেট দিয়েছিলাম ২০ কোটি টাকা। ওই সময় প্রতিটি সরকারি হাসপাতালকে এক কোটি টাকা করে দেওয়া হয়েছি। আমরাও সে টাকা পেয়েছিলাম। ওই টাকা থেকে পরিবহন খরচ ও হোটেলে কিছু টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। বাকি টাকা এখনো পাইনি।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, আমাদের স্টাফদের থাকা-খাওয়ার জন্য ৩০টি হোটেল ভাড়া নেওয়া হয়েছে। এর জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছিল। কমটিতে সভাপতি হিসেবে আছেন অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, সদস্য সচিব উপপরিচালক ডা. আলাউদ্দিন আল আজাদ। কমিটির সদস্য হিসেবে আছেন অধ্যাপক ডা. মো. মোজাফ্ফর হোসেন ও ডা. আশরাফুন নাহার। তারা হোটেলে যাতায়াতসহ থাকা-খাওয়া সবকিছুর তদারকি করেন এবং প্রতিটি হোটেলের সঙ্গে আমাদের চুক্তি আছে।

আরও পড়ুন- ২০ কোটি টাকা খাবার বিল অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত অধ্যাপক ডা. বিল্লাল আলম বলেন, বলা হলো— শুধু চিকিৎসকদের খাওয়ার বিল ২০ কোটি টাকা। আমরা কি এমন ডাক্তার যে একটি কলা এক হাজার টাকা দিয়ে কিনে খাব? এসব কথার কোনো ভিত্তি নেই। এতে চিকিৎসক সমাজকে হেয় করা হয়েছে। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। অবশ্যই এর তদন্ত হওয়ার দরকার ছিল।

অধ্যাপক বিল্লাল আরও বলেন, আমরা কিন্তু ইচ্ছা করে হোটেলে থাকি না। হাসপাতালে বা বাড়িতে হোম আইসোলেশনে থাকার সুযোগ থাকলে সেটাই করতাম। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হলো, আমরা একেক বেলায় হাজার হাজার টাকার খাবার খাচ্ছি। এটা দুঃখজনক। যদি স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি হয়ে থাকে, অবশ্যই সেটার তদন্ত করা উচিত। কিন্তু তাই বলে মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে চিকিৎসক সমাজকে সারাদেশের মানুষের কাছে হেয় করার ঘটনাটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএসআর/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন