বিজ্ঞাপন

‘মহামারি সময়ে অন্তত ৮ ঘণ্টা ঘুমানো খুব গুরুত্বপূর্ণ’

July 4, 2020 | 10:00 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেছেন, কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে সৃষ্ট স্বাস্থ্যঝুঁকি ও অর্থনৈতিক অনিরাপত্তা আমাদের সকলেরই মনের ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করেছে। যা অনেকেরই নিয়মিত ঘুমকে ব্যাহত করছে। এই মহামারী সময়টিতে পর্যাপ্ত ঘুম খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রতিদিন অন্তত আট ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। এটা আমাদের মন ও শরীর দুটোই ভালো রাখবে।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (৪ জুলাই) নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ সব কথা বলেন অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে কষ্টকর ব্যবস্থাপনাটি হলো শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা বা একে অপরের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা। ইতিবাচক স্পর্শ আমাদের শরীরে ডোপামিন, সেরোটোনিন, অক্সিটোসিন নামের হরমোন নিঃস্বরণ বাড়ায় ও কর্টিসল নিঃস্বরণ কমায় যার ফলে ইতিবাচক অনুভূতির সৃষ্টি হয়। যেমন অনুপ্রেরণা, সন্তুষ্টি, নিরাপত্তা, মানসিক চাপমুক্তি ইত্যাদি। দীর্ঘদিন সংস্পর্শ এড়িয়ে চলার বিষয়টি মানুষের মনে মানসিক দূরত্ব তৈরি করতে পারে।

তিনি বলেন, শিশুর সম্মিলিত বিকাশ বাধাগ্রস্থ হতে পারে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমাতে পারে। এবং অতিরিক্ত মানসিক চাপ তৈরি করতে পারে। এই সময় বাড়ির শিশু ও বয়ষ্কদের বিশেষভাবে যত্ন নিন। মনে রাখবেন যে কোনো দুর্যোগে শিশু ও বয়ষ্করা সবচাইতে বেশি বিপদাপন্ন এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে। বয়ষ্ক মানুষটি হঠাৎ শিশুর মতো অবুঝ হয়ে উঠতে পারে। শিশুরা খিটখিটে বা অস্থির হয়ে উঠতে পারে। তাদের প্রতি সংবেদনশীল হোন।

বিজ্ঞাপন

বিশেষ করে তাদের সামনে কোনো রকম ঝগড়া বা সহিংসতা প্রদর্শন না করার আহ্বানও জানান অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

এ দিন ব্রিফিংয়ে অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড ১৯) আক্রান্ত ২৯ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। ২৯ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১ হাজার ৯৯৭ জনে। এছাড়া একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত ৩ হাজার ২৮৮ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ১ লাখ ৫৯ হাজার ৬৭৯ জন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসবি/এমআই

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন