বিজ্ঞাপন

বিশ্বকাপ ‘বিক্রি’র আলোচনা থামছেই না

July 5, 2020 | 5:37 pm

স্পোর্টস ডেস্ক

২০১১ সালে ভারত-শ্রীলঙ্কার মধ্যকার বিশ্বকাপ ফাইনাল ম্যাচটি পাতানো ছিল- এই অভিযোগের প্রমাণ পায়নি শ্রীলঙ্কা পুলিশ। ফলে তদন্ত সমাপ্তি ঘোষণা করেছে লঙ্কান পুলিশ। এদিকে, অভিযোগ উত্থাপনকারী শ্রীলঙ্কার সাবেক ক্রীড়ামন্ত্রী মহিন্দানন্দ আলুতগামাগে বলছেন, বিশ্বকাপ ফাইনাল পাতানোর প্রমাণ আছে তার কাছে। আইসিসির হাতে প্রমাণ তুলে দিতে চান তিনি।

বিজ্ঞাপন

গত ১৮ জুন বিশ্বকাপ ফাইনাল পাতানোর অভিযোগ তুলেছিলেন মাহিন্দানন্দা আলুথগামাগে। ২০১১ সালে শ্রীলঙ্কার ক্রীড়ামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা আলুথগামাগে বলেছিলেন, আমরা ফাইনাল বিক্রি করেছিলাম। আমি তখন ক্রীড়ামন্ত্রী ছিলাম তবুও এই কথা বলছি। ‘বিক্রি’ শব্দের মাধ্যমে তিনি মূলত ফাইনাল পাতানোর কথা বুঝাতে চেয়েছেন।

এমন অভিযোগ নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন শ্রীলঙ্কার তৎকালীন দলের অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারা, দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য মাহেলা জয়াবর্ধনে ও শ্রীলঙ্কার প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক ও ২০১১ সালে প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করা অরবিন্দন ডি সিলভা। শ্রীলঙ্কান সরকারও গুরুত্বের সঙ্গে নেয় বিষয়টি।

কয়েক দিন আগে লঙ্কান পুলিশের বিশেষ অপরাধ দমন ইউনিট তদন্ত শুরু করে। তদন্তের অংশ হিসেবে অরবিন্দন ডি সিলভা, ২০১১ বিশ্বকাপ খেলা লঙ্কান ক্রিকেটার উপল থারাঙ্গা ও অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারাকে লম্বা সময় ধরে জিজ্ঞেসাবাদ করেছে পুলিশ। পরে লঙ্কান পুলিশের পক্ষ থেকে ‘কোন প্রমাণ মিলেনি’ প্রেক্ষিতে তদন্ত স্থগিত করা হয়।

বিজ্ঞাপন

আলুথগামাগে বলছেন টাকার জোরে এই তদন্ত বন্ধ করা হয়েছে, ‘ক্ষমতাবান ব্যক্তিরা পুলিশি তদন্ত বন্ধ করার জন্য প্রচুর টাকা ঢেলেছে। সে কারণে পুলিশও তদন্ত বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। শ্রীলঙ্কান পুলিশ এ ব্যাপারে সঠিক তদন্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে।’

আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটের প্রধান অ্যালেক্স মার্শালের কাছে কিছু প্রমাণ তুলে ধরবেন বলেছেন আলুথগামাগে। লঙ্কান প্রেসিডেন্টকে এই ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

৯ বছর আগে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে ৬ উইকেটে হারিয়েছিল ভারত। মাহেলা জয়াবর্ধনের সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ২৭৪ রান তোলে প্রথমে ব্যাটিং করা শ্রীলঙ্কা। পরে গৌতম গম্ভিরের ৯৭ ও মহেন্দ্র সিং ধোনির অপরাজিত ৯১ রানের কল্যাণে ৪৮.২ বলেই ছয় উইকেটের জয় নিশ্চিত করে ফেলে ভারত।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএইচএস

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন