বিজ্ঞাপন

নামের মিল থাকায় কারাগারে থাকা সেই ঢালী মুক্তি পেলেন

July 6, 2020 | 7:20 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: সাজাপ্রাপ্ত হয়ে পলাতক থাকা এক আসামির সঙ্গে নামের অংশ বিশেষ মিল থাকায় খুলনার সালাম ঢালীকে মুক্তি দিয়েছেন বাগেরহাট জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। এ ব্যাপারে পুলিশ দোষ স্বীকার করে প্রতিবেদনও দেয়। এর আগে গত ৭ জুলাই সালাম ঢালীর আটকাদেশ চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়।

বিজ্ঞাপন

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না, ইয়াদিয়া জামান ও শাহিনুজ্জামান। একই বিষয়ে অন্য এক রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

‘আসামি না হয়েও জেল খাটছেন খুলনার সালাম ঢালী’ শিরোনামে একটি অনলাইনে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে গত ৫ জুলাই প্রকাশিত ওই সংবাদ সংযুক্ত করে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র এবং আইনজীবী শিশির মনির পৃথক রিট দায়ের করেন।

রিটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব পুলিশের মহাপরিদর্শক, কারা মহাপরিদর্শক, খুলনার পুলিশ সুপার, খুলনার জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।

বিজ্ঞাপন

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পক্ষে শুনানি করবেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না, ইয়াদিয়া জামান ও শাহিনুজ্জামান।

রিট আবেদনে সালাম ঢালির পরিচয় নিশ্চিতকরণে তাকে সশরীরে অথবা ভার্চুয়ালভাবে হাইকোর্টে হাজির করা, তাৎক্ষণিক মুক্তি দেওয়া এবং তার আটক আদেশ অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করার নির্দেশনা চাওয়া হয়।

আইনজীবী শিশির মনির জনান, শফিজ উদ্দিনের ছেলে মো. আব্দুস সালামের পরিবর্তে জেল খাটছেন মফিজ উদ্দিন ঢালির ছেলে মো. সালাম ঢালি। গত ৩ জুলাই একটি দৈনিকের অনলাইন ভার্সনে ‘নামের মিল, আসল আসামির পরিবর্তে জেল খাটছেন মুদি দোকানি’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।

বিজ্ঞাপন

এই ঘটনা আমাদের নজরে আসার পর যোগাযোগ করে সকল তথ্য সংগ্রহ করি এবং মামলার যাবতীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করি। আমি সন্তুষ্ট হই যে, সালাম ঢালি প্রকৃত আসামি নয়। তাই আজ হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের আদালতে একটি রিট মামলা দায়ের করি। রিটে সালাম ঢালিকে দ্রুত মুক্তির আবেদন করি। সাথে সাথে এই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যব্স্থা নেওয়ার জন্য আবেদন জানাই। একই সঙ্গে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়।

সালাম ঢালীর মুক্তির পর আইনজীবী শিশির মনির জানান, মুক্তি হলেও তার ক্ষতিপূরণ চাওয়া হবে। বুধবার হাইকোর্টে বিষয়টি শুনানি হবে বলেও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, সালাম ঢালির বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়, অভিযোগ রয়েছে, আসামির নাম, বাবার নামের এবং ঠিকানার একাংশ নামে মিল থাকায় নিরাপরাধ মো. সালাম ঢালী (৩৮) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার প্রকৃত আসামির নাম মো. আব্দুস সালাম। মূল আসামিকে বাঁচাতে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ভুল ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

‘অনুসন্ধানীতে জানা যায়, চলতি বছরের গত ১১ মার্চ রাত ১২টায় খুলনার সোনাডাঙ্গা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সঞ্জিত কুমার মণ্ডল সদর থানা এলাকার ৬০/১৮, শের-ই-বাংলা রোডের বাসিন্দা সালাম ঢালীকে গ্রেফতার করেন। মো. সালাম ঢালীর পিতার নাম মফিজ উদ্দিন ঢালী। সালাম ঢালী এখন কারাগারে রয়েছেন। প্রায় চার মাস ধরে নিরাপরাধ মুদি দোকানি সালাম ঢালী বাগেরহাটের কারাগারে সাজা ভোগ করছেন। অন্যদিকে প্রকৃত অপরাধী মো. আব্দুস সালাম খুলনার সোনাডাঙ্গা থানাধীন শেখপাড়া মেইন রোডের মৃত শফিজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি এখন পলাতক রয়েছেন।’

বিজ্ঞাপন

‘মূলত নিজের নাম, বাবার নাম ও ঠিকানায় একাংশ মিল থাকার সুযোগ নিয়ে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। তবে মামলার বিবরণে উল্লেখিত প্রকৃত আসামির নাম, পিতার নাম বা ঠিকানা কোনোটাতেই পুরোপুরি মিল নেই বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

সারাবাংলা/এজেডকে/এমআই

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন