বিজ্ঞাপন

করোনার কারণে পাপিয়ার মামলা তদন্তে ধীর গতি: সিআইডি

July 7, 2020 | 2:55 am

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: গাড়ি বিক্রি ও সার্ভিসিংয়ের ব্যবসার আড়ালে জাল মুদ্রা সরবরাহ, বিদেশে অর্থপাচার ও অবৈধ অস্ত্র রাখাসহ নানা অভিযোগে গ্রেফতার বহিষ্কৃত যুব মহিলা লীগ নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়ার মামলা তদন্ত করোনাভাইরাসের কারণে ধীর গতিতে হচ্ছে। তবে এরই মধ্যে তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (৬ জুলাই) ঢাকায় সিআইডি সদর দফতরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, পাপিয়ার বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে ২৪টি প্রতিষ্ঠানের কাছে তথ্য চাওয়া হয়েছিল। অনেক তথ্য পাওয়া গেছে। কিছু বাকিও রয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ড পাওয়া গেলেও অসুস্থ থাকায় তাকে আনা সম্ভব হয়নি। করোনার মধ্যে চাইলেও সবকিছু করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাই একটু ধীরেই এগুতে হচ্ছে।

অতিরিক্ত আইজিপি মাহবুবুর রহমান বলেন, পাপিয়া ছাড়াও লিবিয়াসহ মানবপাচারের অন্যান্য ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে উঠে এসছে তথ্য-উপাত্তসহ অনেক মূল হোতাদের নাম। তবে তদন্তের স্বার্থেই এখন অনেকের নাম-পরিচয় বলা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ মানব পাচারে যাদের নাম এসেছে, তারা অনেকেই বাইরে আছেন। এখনই তাদের পরিচয় বলে দিলে অন্যরকম হতে পারে।

বিজ্ঞাপন

সিআইডি প্রধান বলেন, আরও যাচাই-বাছাইয়ের প্রয়োজন রয়েছে। তা শেষেই সব জানানো সম্ভব হবে। তবে কুয়েতে গ্রেফতার লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শহীদুল ইসলাম পাপুলের বিষয়টি আন্তর্জাতিকভাবেই বেশ আলোড়ন তৈরি করেছে। এই বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের হওয়ায় এ বিষয়ে কিছু কর্মপদ্ধতি অনুস্মরণ করা হচ্ছে, যেন আদালতে গিয়ে সহজেই তথ্য-প্রমাণের অভাবে পার না পেয়ে যায। তাই একটু দেরি হচ্ছে। তবে যথাযথ প্রমাণ নিয়েই আপনাদের সামনে আবার দ্রুতই হাজির হব আশা করছি।

সিআইডি প্রধান বলেন, মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে তদন্ত শেষে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই মানি লন্ডারিং মামলা করতে হয়। এ বিষয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি। তিন জনের বিষয়ে ফাইল খোলা হয়েছে। অনুসন্ধান চলছে। তা শেষে মামলা হলেই তাদের নাম প্রকাশ করা হবে। এছাড়া ভিকটিম, পাচারকারীসহ দু’টি মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকেও তালিকা পেয়েছি। আমাদের নিজস্ব তালিকা তৈরির কাজটিও চলছে। অতীতেও মানবপাচারের মামলার বিষয়গুলো খতিয়ে দেখে তালিকা সংযোজন-বিয়োজন চলছে। তাই আসলে যাচাই-বাছাই শেষ না হলে বলা সম্ভব নয় আসলে কী পরিমাণ মানবপাচারকারী রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ক্যাসিনো বা পাচারের বিষয়ে সিআইডি ১২টি মানি লন্ডারিং মামলা তদন্ত করছে। এরই মধ্যে খালেদ মাহমুদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা করা হয়েছে। নতুন তথ্য পাওয়ায় সিআইডিও বাদী হয়ে আবার দু’টি মামলা করেছে। তদন্ত করতে গিয়ে আরও কয়েকটি মামলায় নতুন-নতুন তথ্য পাওয়ায় সিআইডি মামলা করবে। তবে তদন্তাধীন মামলার অনেকগুলোর এ মাসেই জমা দেওয়া সম্ভব হবে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইউজে/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন