বিজ্ঞাপন

নির্বাচন কমিশনকে ৮ দফা সুপারিশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির

July 8, 2020 | 3:57 am

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: নির্বাচন কমিশন উত্থাপিত ‘রাজনৈতিক দলসমূহের নিবন্ধন আইন- ২০২০’-এর খসড়া প্রস্তাবনা সম্পর্কে ৮ দফা সুপারিশ তুলে ধরেছে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (৭ জুলাই) এই সুপারিশ নির্বাচন কমিশন সচিব বরাবর লিখিতভাবে পাঠনো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।

সুপারিশে বলা হয়েছে, করোনা মহামারির এক ভয়াবহ দুর্যোগের মধ্যে দেশে রাজনৈতিক দলগুলোর স্বাভাবিক রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক তৎপরতা যখন প্রায় বন্ধ ও সংকুচিত, তখন গণপ্রতিনিধিত্ব আইন (আরপিও) সংশোধনের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের উদ্যোগ চরম দায়িত্বহীনতা ও অবিবেচনাপ্রসূত। কারণ এসব বিষয়ে মতামত গঠনের জন্য যে ধরনের স্বাভাবিক রাজনৈতিক পরিবেশ প্রয়োজন, তা এখন অনুপস্থিত।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি বলছে, জাতীয় জীবনে একটি অস্বাভাবিক দুর্যোগের মধ্যে যে রকম দ্রুততার সঙ্গে এই আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা নির্বাচন কমিশনের সদিচ্ছাকে গুরুতরভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। সরকার ও সরকারি দলকে আরও খুশি রাখতে ও বাড়তি রাজনৈতিক সুবিধা দিতে আইন সংশোধনের এত তড়িঘড়ি কি না— রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের মধ্যে এই উদ্বেগ-উৎকণ্ঠাও তৈরি হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

পার্টির সুপারিশে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় কমিটিসহ সব স্তরের কমিটিতে ন্যূনতম ৩৩ শতাংশ নারী সদস্য অন্তর্ভুক্ত করার বিধান কোনো রাজনৈতিক দলই কার্যকর করতে পারেনি। এখন নির্বাচন কমিশন এই বাধ্যবাধকতা থেকে সরে আসতে চাইছে। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। নারীদের ৩৩ শতাংশ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় কমিটির জন্য ৫ (পাঁচ) বছর ও নিম্নস্তরের কমিটির জন্য ১০ (দশ) বছর সময়সীমা বেঁধে দিয়ে এই বিধান সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুপারিশে আরো বলা হয়েছে, গোটা নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় কালো টাকা, পেশী শক্তি, সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতা ও প্রশাসনিক ‘ম্যানিপুলেশনে’ পর্যবসিত হয়েছে। এ থেকে বেরিয়ে এসে একটি সত্যিকার গণতান্ত্রিক নির্বাচনি ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাবনায় কার্যকর কিছু নেই। সাপ না মেরে নির্বাচন কমিশন দড়ি ধরে টানাটানি করছেন। তাই করোনা মহামারিজনিত দুর্যোগের কারণে অনতিবিলম্বে আরপিও আইন সংশোধনের বিদ্যমান তৎপরতা বন্ধ রাখা প্রয়োজন। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরাসরি ও খোলামেলা আলোচনা না করে আইন সংশোধনের কোনো সুযোগ নেই। জরুরি মনে করলে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে বা অনলাইনে রাজনৈতিক দলসমূহের সঙ্গে পর্যায়ক্রমে নির্বাচন কমিশন সংলাপ বা পরামর্শ সভার আয়োজন করতে পারে বলে সুপারিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন